কোটা, 29 জানুয়ারি: সমস্ত প্রশাসনিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ফের আত্মহত্যার ঘটনা কোটায় ৷ এবার জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেইন পরীক্ষার দেওয়ার আগে সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতী এক ছাত্রী ৷ জয়েন্টের প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে সে মানসিক চাপে ছিল বলে পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে ৷ সেই চাপ থেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিল কি না ছাত্রী, তদন্ত করে দেখছে পুলিশ ৷ সুইসাইড নোটে ছাত্রী লেখে, "সরি মা-বাবা ৷ আমি জয়েন্ট দিতে পারব না । তাই সুইসাইড করছি । আমি পরাজিত ৷ আমি সবচেয়ে খারাপ মেয়ে ৷ আত্মহত্যা করাটাই আমার কাছে একমাত্র বিকল্প পথ ৷"
তবে কোনও কোচিং ক্লাসে নয়, সোমবার নিজের বাড়ি থেকেই দেহ উদ্ধার হয়েছে ছাত্রীর ৷ ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের কোটার বোরখেদা থানা এলাকার মনপুরায় ৷ পরিবারের লোকজন ওই ছাত্রীকে এমবিএস হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । খবর পেয়ে বোরখেদা থানার পুলিশ এমবিএস হাসপাতালের পৌঁছয় । এরপরেই দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয় ৷
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার সকাল সাড়ে 9টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। মৃত ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের দাবি, তাঁদের মেয়ে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল । অনেক দিন ধরেই মানসিক চাপে ছিল সে । পুলিশ পরিবারের সদস্যদের থেকেও পড়ুয়া সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছে। তবে পুলিশ ছাত্রীর ঘর থেরে একটি সুইসাইড নোট খুঁজে পায়, যাতে মৃত্যুর কারণ উল্লেখ রয়েছে বলে দেখা যায়। পুলিশ তদন্ত করছে, ময়নাতদন্তের পর ছাত্রীর দেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে ।
মৃতের তুতো ভাই বিক্রম সিং জানান, আত্মঘাতী পড়ুয়া অনলাইনে কোচিং নিচ্ছিল। গত বছরই সে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা দিয়েছে ৷ যেখানে সে কম নম্বর পাওয়ায় পুনরায় সে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল ৷ এর পাশাপাশি জয়েন্ট এন্ট্রান্সেরও প্রস্তুতি নিচ্ছিল সে। তাঁর প্রবেশিকা পরীক্ষা ছিল 30 বা 31 জানুয়ারি । পরীক্ষা নিয়ে সে প্রতিনিয়ত মানসিক চাপে ভুগছিল। আত্মঘাতী ছাত্রীর পরিবার ঝালাওয়ার জেলার আকাবাদ গ্রামের বাসিন্দা ৷ তবে কোটায় তাদের নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। বাবা বিজয় সিং ব্যাংকের নিরাপত্তাকর্মী বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন:
- কোটায় আত্মঘাতী বাংলার ছাত্র! উদ্ধার নিট পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত দেহ
- কোটায় নিট প্রস্তুতিরত ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
- কোটার পড়ুয়াদের আত্মহত্যার প্রবণতা কমাতে পড়ার চাপ কমানোর সুপারিশ বিশেষজ্ঞ কমিটির