ETV Bharat / state

সেই রাতে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে কী ছক কষে প্রণয়-প্রসূন, পুলিশকে জানাল আহত কিশোর - TANGRA TRIPPLE MURDER CASE

ট্যাংরা-কাণ্ডে নাবালককে জিজ্ঞাসাবাদ ৷ তদন্তকারীদের হাতে একাধিক তথ্য ৷

Tangra Tripple Murder Case
সেই রাতে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে কী ছক কষে প্রণয়-প্রসূন, পুলিশকে জানাল আহত কিশোর (ফাইল চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 22, 2025, 9:15 PM IST

কলকাতা, 22 ফেব্রুয়ারি: একই পরিবারের ছয় জন সদস্য ৷ তিনজন নারী ও তিন পুরুষ ৷ তিন নারীর নিথর দেহ বাড়িতে ফেলে রেখে মঙ্গলবার রাতে গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন তিনি পুরুষ সদস্য ৷ তার পর তাঁরা কী পরিকল্পনা করেন, কী কী করেন, সবটাই এবার জানতে পেরেছে কলকাতা পুলিশ ৷

কলকাতার ট্যাংরা থানা এলাকার অতুল শূর রোডের বাসিন্দা দে পরিবারের মর্মান্তিক ঘটনায় যে নাবালক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তার কাছ থেকেই সেই রাতের ঘটনাক্রমের বিস্তারিত তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা ৷ এমনটাই জানা গিয়েছে কলকাতা পুলিশ সূত্রে ৷

কী সেই তথ্য ? তা নিয়ে আপাতত মুখে কুলুপ এঁটেছেন তদন্তকারীরা ৷ এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘ওই নাবালকের সঙ্গে কথা বলে আমরা একাধিক তথ্য জানতে পেরেছি ৷" তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই তা প্রকাশ করা ঠিক হবে না বলেও তিনি জানিয়েছেন ৷

উল্লেখ্য, বুধবার সকালে ট্যাংরার বাড়ি থেকে দে পরিবারের দুই বধূ রোমি ও সুদেষ্ণার দেহ উদ্ধার হয় ৷ প্রসূনের নাবালিকা মেয়ের দেহও উদ্ধার হয় সেদিন ৷ ওই দিন ভোরে ইএম বাইপাসে অভিষিক্তা মোড়ের কাছে গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হন দুই ভাই প্রণয় ও প্রসূন এবং প্রণয়ের ছেলে ওই নাবালক ৷ তাঁদের ভর্তি করা হয় বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ৷ শনিবার প্রণয় ও তাঁর ছেলেকে এনআরএস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে ৷ প্রসূন এখনও ওই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷

এর মধ্যেই ওই নাবালকের সঙ্গে কথা বলেছে কলকাতা পুলিশের তদন্তকারীরা৷ লালবাজার সূত্রের খবর, ওই নাবালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন যে প্রসূন ও প্রণয় এই ঘটনা ঘটানোর আগে নিজেদের মধ্যে একাধিকবার আলোচনা করেছিল । কীভাবে এই হত্যা ঘটানো হবে, তা নিয়ে বিস্তর আলাপ-আলোচনা হয়েছিল । তার পরও তাঁরা কীভাবে মরবেন, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি ৷

ওই নাবালক পুলিশকে জানিয়েছে, প্রথমে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের দিকে তাঁরা যান ৷ সেখানে বড় কোনও গাড়িতে ধাক্কা মেরে মৃত্যু পরিকল্পনা ছিল তাঁদের ৷ সেক্ষেত্রে অন্য গাড়ির যাত্রীদের আহত-নিহত হওয়ার শঙ্কার কথা ভেবে সিদ্ধান্ত বদল করেন প্রণয়-প্রসূন ৷ এর পর গঙ্গায় ঝাঁপ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয় ৷ সেই পরিকল্পনাও বাতিল হয়ে যায় ৷ শেষ পর্যন্ত বাইপাসে মেট্রোর পিলারে ধাক্কা মেরে তাঁরা নিজেদের শেষ করার সিদ্ধান্ত নেন ৷

কিন্তু সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি৷ আপাতত তিনজনই হাসপাতালে ভর্তি ৷ তাঁদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা ৷ কলকাতা পুলিশের ধারণা, এই ঘটনায় আরও রহস্য লুকিয়ে রয়েছে ৷ তদন্ত এগোলে আরও তথ্য সামনে আসবে ৷

কলকাতা, 22 ফেব্রুয়ারি: একই পরিবারের ছয় জন সদস্য ৷ তিনজন নারী ও তিন পুরুষ ৷ তিন নারীর নিথর দেহ বাড়িতে ফেলে রেখে মঙ্গলবার রাতে গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন তিনি পুরুষ সদস্য ৷ তার পর তাঁরা কী পরিকল্পনা করেন, কী কী করেন, সবটাই এবার জানতে পেরেছে কলকাতা পুলিশ ৷

কলকাতার ট্যাংরা থানা এলাকার অতুল শূর রোডের বাসিন্দা দে পরিবারের মর্মান্তিক ঘটনায় যে নাবালক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তার কাছ থেকেই সেই রাতের ঘটনাক্রমের বিস্তারিত তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা ৷ এমনটাই জানা গিয়েছে কলকাতা পুলিশ সূত্রে ৷

কী সেই তথ্য ? তা নিয়ে আপাতত মুখে কুলুপ এঁটেছেন তদন্তকারীরা ৷ এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘ওই নাবালকের সঙ্গে কথা বলে আমরা একাধিক তথ্য জানতে পেরেছি ৷" তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই তা প্রকাশ করা ঠিক হবে না বলেও তিনি জানিয়েছেন ৷

উল্লেখ্য, বুধবার সকালে ট্যাংরার বাড়ি থেকে দে পরিবারের দুই বধূ রোমি ও সুদেষ্ণার দেহ উদ্ধার হয় ৷ প্রসূনের নাবালিকা মেয়ের দেহও উদ্ধার হয় সেদিন ৷ ওই দিন ভোরে ইএম বাইপাসে অভিষিক্তা মোড়ের কাছে গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হন দুই ভাই প্রণয় ও প্রসূন এবং প্রণয়ের ছেলে ওই নাবালক ৷ তাঁদের ভর্তি করা হয় বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ৷ শনিবার প্রণয় ও তাঁর ছেলেকে এনআরএস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে ৷ প্রসূন এখনও ওই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷

এর মধ্যেই ওই নাবালকের সঙ্গে কথা বলেছে কলকাতা পুলিশের তদন্তকারীরা৷ লালবাজার সূত্রের খবর, ওই নাবালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন যে প্রসূন ও প্রণয় এই ঘটনা ঘটানোর আগে নিজেদের মধ্যে একাধিকবার আলোচনা করেছিল । কীভাবে এই হত্যা ঘটানো হবে, তা নিয়ে বিস্তর আলাপ-আলোচনা হয়েছিল । তার পরও তাঁরা কীভাবে মরবেন, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি ৷

ওই নাবালক পুলিশকে জানিয়েছে, প্রথমে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের দিকে তাঁরা যান ৷ সেখানে বড় কোনও গাড়িতে ধাক্কা মেরে মৃত্যু পরিকল্পনা ছিল তাঁদের ৷ সেক্ষেত্রে অন্য গাড়ির যাত্রীদের আহত-নিহত হওয়ার শঙ্কার কথা ভেবে সিদ্ধান্ত বদল করেন প্রণয়-প্রসূন ৷ এর পর গঙ্গায় ঝাঁপ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয় ৷ সেই পরিকল্পনাও বাতিল হয়ে যায় ৷ শেষ পর্যন্ত বাইপাসে মেট্রোর পিলারে ধাক্কা মেরে তাঁরা নিজেদের শেষ করার সিদ্ধান্ত নেন ৷

কিন্তু সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি৷ আপাতত তিনজনই হাসপাতালে ভর্তি ৷ তাঁদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা ৷ কলকাতা পুলিশের ধারণা, এই ঘটনায় আরও রহস্য লুকিয়ে রয়েছে ৷ তদন্ত এগোলে আরও তথ্য সামনে আসবে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.