নানদরবার (মহারাষ্ট্র), 14 নভেম্বর: তিনি সংবিধান পড়েননি। তাঁর কাছে সংবিধানের পাতাগুলি সাদা ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এই ভাষাতেই জবাব দিলেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি ৷ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতির হাতে প্রায়শই লাল মলাটের একটি পকেট সংবিধান দেখা যায় ৷ দুটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারেও এই লাল রঙের সংবিধান হাতে নিয়েই বক্তৃতা দিচ্ছেন তিনি ৷ তা নিয়েই তাঁকে কটাক্ষ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এবার তাঁর জবাব দিলেন রাহুল।
"রাহুল গান্ধির হাতে ধরা এই সংবিধানের পাতাগুলি সাদা এবং তাতে কিছুই লেখা নেই।" দিন কয়েক আগে এভাবেই রাজীব-তনয়কে আক্রমণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ৷ গত 10 নভেম্বর মহারাষ্ট্রে নির্বাচনী প্রচারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "ওরা (কংগ্রেস) সংবিধানের নামে একটা লাল বই দেখাচ্ছে ৷ প্রচ্ছদে লেখা 'ভারতের সংবিধান' কিন্তু বইয়ের পাতাগুলি সাদা, কিছুই লেখা নেই ৷ ওরা বাবাসাহেবকে কতটা ঘৃণা করে সেটা এখান থেকেই বোঝা যায় ৷"
এর জবাবে এদিন মহারাষ্ট্রের নানদরবারে একটি জনসভা থেকে রাহুল গান্ধি বলেন, "লাল রঙের সংবিধানটি নিয়ে বিজেপির আপত্তি রয়েছে ৷ আমাদের কাছে রংটা কোনও বিষয় নয় ৷ আমরা সংবিধান সংরক্ষণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ৷" প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আক্রমণ করে রায়বরেলির কংগ্রেস সাংসদ রাহুল আরও বলেন, "সংবিধানের ভিতরে কী লেখা আছে, সে বিষয়ে তাঁর (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি) কোনও ধারণাই নেই ৷ তাই তিনি বলেন যে বইটা সাদা, কিছু নেই ৷ রাহুল গান্ধি শুধু একটা লাল বই দেখান ৷ বইয়ের রংটা নয়, আমাদের কাছে ভিতরে কী লেখা আছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ ৷ এখানে যা বলা আছে, তার জন্য আমরা জীবন দিতেও প্রস্তুত ৷"
গত 9 নভেম্বর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী প্রচারে লাল রঙের সংবিধানের বিষয়টি তুলে ধরেন ৷ তিনি বলেন, "দু'দিন আগে রাহুল গান্ধির কীর্তি ফাঁস হয়ে গিয়েছে ৷ কেউ একজন তাঁর (রাহুল গান্ধি) ওই লাল রঙের সংবিধানের কপি হাতে পেয়েছিলেন ৷ তখন দেখা গিয়েছিল বইটির পাতাগুলি সাদা ৷" পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীশ রাহুলকে 'শহুরে নকশাল এবং নৈরাজ্যবাদী' বলে আক্রমণ করেছিলেন ৷