মুম্বই, 17 মার্চ: সিবিআই-ইডি এবং ইভিএম ছাড়া লোকসভা নির্বাচনে জিততে পারবেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কের 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার' সমাপ্তি অনুষ্ঠান থেকে এভাবেই প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন রাহুল গান্ধি। একঝাঁক বিরোধী দলের নেতাকে পাশে বসিয়ে বেকারত্ব থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইস্যুতে তোপ দাগেন কংগ্রেসের এই প্রাক্তন সভাপতি। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন, মহারাষ্ট্রের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শরদ পাওয়ার ও উদ্ধব ঠাকরে থেকে শুরু করে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহেবুবা মুফতি, বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বি যাদব-সহ বিভিন্ন বিজেপি বিরোধী দলের নেতারা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত থাকায় আসতে পারেননি সমাজবাদী পার্টির প্রধান তথা উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। পূর্ব ঘোষণা মতোই বাম ও তৃণমূলের কোনও নেতা অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন না।
সভা থেকে রাহুল জানান, সমাজে যেভাবে ঘৃণা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তার থেকে দেশকে মুক্তি দিতে এবং বেকারত্ব ও মুদ্রাস্ফীতির মতো সমস্যার সঙ্গে লড়তেই তিনি দুটি যাত্রার আয়োজন করেন। এরপর কংগ্রেস-সহ বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতার বিজেপিতে যোগ দেওয়ার নিয়েও মন্তব্য করেন রাহুল। তিনি বলেন, "এই রাজ্যের (মহারাষ্ট্রের) এক প্রবীণ নেতা কংগ্রেস ছেড়েছেন। আমার মায়ের সামনে কেঁদে বলেছেন, সোনিয়াজি আমার বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি নেই। আমি গ্রেফতার হতে চাই না। শিবসেনা থেকে শুরু করে এনসিপির নেতারা এমনি এমনি বিজেপিতে যোগ দেননি। তাঁদের ভয় দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।" নিজের ভাষণে একাধিকবার 'শক্তি' শব্দটির ব্যবহার করেছেন রাহুল। এ প্রসঙ্গে হিন্দুশাস্ত্রেরও উল্লেখ করেন তিনি। পাশাপাশি বলেন, "এই শক্তির উপর নির্ভর করেই আমরা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ব।"