কিভ, 23 অগস্ট: পোল্যান্ড থেকে লম্বা ট্রেন-সফরে ইউক্রেনে পৌঁছে গিয়েছিলেন আগেই ৷ কিভ পৌঁছেই ইউক্রেনের ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ হিস্ট্রি-তে রাশিয়া-ইউক্রন যুদ্ধে নিহত শিশুদের শ্রদ্ধা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী ৷ তাঁকে স্বাগত জানান ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি ৷ মোদি তাঁকে আলিঙ্গন করেন ৷ পাশাপাশি কিভে পৌঁছে মহাত্মা গান্ধির প্রতি শ্রদ্ধাও নিবেদন করেন মোদি।
আবেগঘন জেলেনস্কিকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন মোদি (ইটিভি ভারত) এক্স হ্যান্ডেলে মোদি লেখেন, "বাপুর আদর্শ সর্বজনীন এবং লক্ষ লক্ষ মানুষকে আশা দেয়। আমরা সবাই যেন মানবতার কাছে তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করি।" আরও একটি বার্তায় নরেন্দ্র মোদি লেখেন, "জেলেনস্কি এবং আমি কিভের মাল্টিমিডিয়া মার্টিরোলজিস্ট এক্সপোজিশনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি। রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধে যে শিশুরা প্রাণ হারিয়েছে তাদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল ৷" এদিনই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে এক বৈঠক হওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। ভারত, ইউক্রেনের তো বটেই, গোটা বিশ্বই এখন তাকিয়ে আছে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের দিকে।
বিশেষ বিষয় হল, রাশিয়া সফরের ঠিক ছ'সপ্তাহ পর ইউক্রেন সফরে আজ পৌঁছলেন মোদি। যুদ্ধের মধ্যে দু'দেশেই সফর করেছেন এমন গুটিকয়েক বিশ্বনেতাদের মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী অন্যতম। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ইউক্রেন সফর নিয়ে সে দেশের জনগণ আশা করছেন তিনি হয়তো যুদ্ধ বন্ধ করার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারবেন ৷ প্রধানমন্ত্রী নিজেও বিভিন্ন সময়ে এই কথা জানিয়েছেন ৷ সম্প্রতি মস্কো সফরেও তাঁর মুখে যুদ্ধ বন্ধের কথা শোনা গিয়েছে ৷ উল্লেখ্য, 1991 সালে স্বাধীন হয় ইউক্রেন। তারপপর মোদিই প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি ইউক্রেনের সফরে গিয়েছেন। 1991 সালের আগে পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্গত ছিল ইউক্রেন।
এর আগে পোল্যান্ডে গিয়েছিলেন মোদি । 45 বছর পর কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী সে দেশে যান । সেখান থেকে ট্রেনে ইউক্রনে আসেন। এই ট্রেন সফর অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে দেশের বিভিন্ন অংশে অস্ত্র থেকে শুরু করে যাবতীয় সামগ্রী পাঠতে এই রেলপথই ব্যবহার ররে ইউক্রেন। সেদিক থেকে এই রেলপথে মোদিকে দেশে নিয়ে আসা অবশ্যই একটি বড় কূটনতিক পদক্ষেপ । এর আগে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও এই পথেই ইউক্রেন পৌঁছন ।