বারাবাঙ্কি, 24 মে: পুলিশের এ কী আচরণ! জেলা পুলিশের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে কোনও কারণ ছাড়াই বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল ৷ ভাইপোর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাঠ ছিল না ৷ কাকা সেই কাঠ আনতে বনাধিকারিকের কাছে যান ৷ কাকার সঙ্গে ছিলেন তাঁর শ্যালক ৷ এরপর বনকর্তার মৌখিক অনুমতি পেয়ে তাঁরা জঙ্গলে কাঠ কাটতে গিয়েছিলেন ৷ তখনই সেখানে উদয় হন পুলিশ অফিসার ৷ তাঁদের দেখেই বেধড়ক মারধর করতে থাকে পুলিশ ৷ এদিকে ভাইপোর মৃতদেহ তখনও শ্মশানে পড়ে রয়েছে ৷ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে ৷ এই পরিস্থিতিতে বুধবার রাতের বদলে ভাইপোর শেষকৃত্য বৃহস্পতিবার সম্পন্ন হয় ৷ বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা গভীর রাতে থানায় পৌঁছে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ৷ পরে অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ ৷
ঘটনাপ্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের জায়েদপুর থানা এলাকার মুক্তিপুর মাজরে বিবিপুরের বাসিন্দা হনুমান প্রসাদ ৷ তাঁর বছর পঁয়ত্রিশের ছেলে রাকেশ বুধবার দুপুর দু'টোর দিকে জমিতে কাজ করছিলেন ৷ চাঁদিফাটা রোদে হঠাৎ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হন রাকেশ ৷ তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাকেশকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ পরিবার-পরিজনরা রাকেশের দেহ সৎকারের জন্য শ্মশানে নিয়ে যান ৷ কিন্তু কাঠ নিয়ে সমস্যা দেখা দেয় ৷ স্থানীয় বনপালকে তাঁরা এই সমস্যার কথা মৌখিকভাবে জানান ৷ এরপর রাকেশের কাকা নবকিশোর তাঁর শ্যালককে নিয়ে নদীর ধারে কাঠ কাটতে যান ৷