পুনে, 21 ফেব্রুয়ারি: গত সপ্তাহে পুনে শহর ও কুরকুমবে অভিযান চালিয়ে 600 কেজি এমডি মাদক বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ প্রশাসন ৷ বুধবার ফের পুনের বিশরান্তওয়াড়ি ও কুরকুমব থেকে সমপরিমাণ এমডি মাদক বাজেয়াপ্ত করেছে পুনে পুলিশের নারকোটিস বিভাগ ৷ অন্যদিকে, গোয়েন্দাদের অন্য একটি দল দিল্লিতে অভিযান চালিয়ে 800 কোটি টাকার এমডি মাদক বাজেয়াপ্ত করেছে ৷ সব মিলিয়ে উদ্ধার হওয়া এই বিপুল পরিমাণ এমডি মাদকের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে 3200 কোটি টাকা ৷
পুনে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গত সপ্তাহের উদ্ধার হওয়া 600 কেজি এমডি মাদকের বাজারমূল্য ছিল 1200 কোটি টাকা ৷ সেটি উদ্ধার হয়েছিল, পুনে শহর ও কুরকুমব থেকে ৷ সেই সূত্র ধরে তদন্তে নেমে, 18 ফেব্রুয়ারি ফের পুনের সোমবার পেঠ এলাকায় অভিযান চালিয়ে 2 কেজি মাদক বাজেয়াপ্ত হয় ৷ তবে, সবচেয়ে বড় মাদকের কনসাইনমেন্ট ধরা পড়ে 20 ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ, বুধবার ৷ জানা গিয়েছে, কুরকুমব ও বিশরান্তওয়াড়ি এলাকায় একটি বড় মাদকপাচারের কনসাইনমেন্টের খবর পায় পুনে পুলিশের নারকোটিক সেল ৷
সেই মতো পুলিশ ফোর্স নিয়ে ওই এলাকায় হানা দেয় নারকোটিক সেল ৷ অভিযানে ফের 600 কেজি মাদক বাজেয়াপ্ত হয় ৷ তবে, এবারের উদ্ধার হওয়া মাদকের বাজারদর কমবেশি 1100 কোটি টাকা ৷ ওই একই সূত্রে পুনে পুলিশ জানতে পারে দিল্লিতেও একটি মাদকের কনসাইনমেন্ট পৌঁছেছে ৷ ফলে দিল্লিতেও একটি দলকে পাঠায় পুনের নারকোটিক বিভাগ ৷ সেখান থেকে উদ্ধার হওয়া এমডি মাদকের বাজারমূল্য আটশো কোটি বলে জানা গিয়েছে ৷ সবমিলিয়ে গত সাতদিনের মধ্যে পুনে ও দিল্লি মিলিয়ে এই 3200 কোটি টাকার এমডি মাদক বাজেয়াপ্ত করেছেন গোয়েন্দারা ৷
এই সাফল্যের জন্য মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ পুনে পুলিশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ৷ এমনকি পুনে পুলিশের মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে এই ভূমিকা অন্যান্য রাজ্যের পুলিশের কাছে উদাহরণ হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন ফড়নবিশ ৷ এই মাদক উদ্ধারের ঘটনায় পুনে পুলিশ মোট তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ৷ তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ও 1985 সালের মাদক আইনের একাধিক ধারায় মামলারুজু করেছে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন:
- এসটিএফের অভিযানে উদ্ধার দেড় কোটির মাদক, গ্রেফতার তিন পাচারকারী
- ফের সাফল্য এসটিএফের, এনজেপি রেল স্টেশন থেকে 15 লক্ষের মাদক-সহ গ্রেফতার মহিলা পাচারকারী
- 'খারাপ সময় অনেক শিক্ষা দিয়েছে'- ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই নিয়ে মুখ খুললেন বাদশা