পটনা, 25 জুন: ইকোনমিক অফেন্সেস ইউনিটের তরফে নিট-এর প্রশ্নফাঁসের তদন্তে উঠে আসা সমস্ত তথ্যপ্রমাণ সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ৷ সিবিআই এখন প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ তদন্ত করছে ৷ বিহার পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গেও সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা বৈঠকও করেছেন ৷ তাঁদের থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও নেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা ৷
বিহার পুলিশ ও ওই রাজ্য়ের ইকোনমিক অফেন্সেস উইংস সিবিআইয়ের কাছে যে নথি জমা দিয়েছে, এর মধ্যে রয়েছে 48 ঘন্টা আগে প্রশ্নফাঁস হওয়া, আগের রাতে প্রশ্ন উদ্ধার, পুড়ে যাওয়া প্রশ্ন ৷ এছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদ সংক্রান্ত একাধিক নথি জমা দেওয়া হয়েছে ৷
তদন্তকারীরা এই ঘটনায় ধৃত সব অভিযুক্তকে একে একে জেরা করবে ৷ এই মামলায় এখনও পর্যন্ত বিহার থেকেএক জন মহিলা-সহ 13 জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে । এদের মধ্যে আবার পাঁচজন পরীক্ষার্থী ৷ ঝাড়খণ্ডের দেওঘর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ছ’জন অভিযুক্তকে । দেওঘর থেকে তার সাইবার অপরাধের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা ৷ এই চক্রটি বিহারের শেখপুরা জেলার শেখপুরসরাই থানার মসিমপুর গ্রামের বাসিন্দা সাইবার প্রতারক রঞ্জন কুমারের জন্য কাজ করে । তদন্তকারীরা এখন রঞ্জন কুমারকে খুঁজছে ৷
এদিকে এই মামলায় 13 জন অভিযুক্তের জামিন ও প্রধান অভিযুক্ত সঞ্জীব মুখিয়ার আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি মঙ্গলবার হয় আদালতে ৷ আদালত সরকারি আইনজীবীকে জানিয়েছে যে এই মামলা এখন সিবিআইয়ের কাছে গিয়েছে ৷ তাই এই মামলার শুনানি এখন থেকে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে হবে ৷ তাই সেখানেই মামলার সমস্ত কাগজপত্র জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ সঞ্জীব মুখিয়ার আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি 15 জুলাই হবে ৷
নিটের প্রশ্নফাঁসের মামলায় প্রথমমে তদন্ত শুরু করেছিল বিহার, গুজরাত ও রাজস্থান পুলিশ ৷ বিহার ও গুজরাতের একটি করে মামলা ও রাজস্থানের তিনটি মামলার তদন্ত এখন সিবিআই করছে ৷ মহারাষ্ট্রেরও একটি মামলার তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে এসেছে ৷ ইতিমধ্যেই এই সব মামলায় এফআইআর নথিভুক্ত করেছে সিবিআই । এবার হাতে আসা তথ্য খতিয়ে দেখে ও অভিযুক্তদের জেরা করে সিবিআই মূল অভিযুক্তের সন্ধান করতে চায় ৷