বারাবাঙ্কি (উত্তরপ্রদেশ), 16 ফেব্রুয়ারি: স্বামীর সন্দেহ স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়েছেন। শুধু সন্দেহ নয়,শুক্রবার সকালে স্ত্রীর প্রেমিকের লেখা প্রেমপত্রও পান স্বামী। স্ত্রীর সঙ্গে বচসা বাধে। অভিযোগ, শেষমেশ স্ত্রীর গলা শরীর থেকে আলাদা করে দিলেন। তারপর কাটা মুণ্ড নিয়ে হাঁটা দিলেন পুলিশ স্টেশনের দিকে। তাঁকে এভাবে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে দেখে অবাক হয়ে যান স্থানীয়রা। খবর যায় পুলিশে। রাস্তা থেকেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত স্বামীকে। শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের বারাবাঙ্কিতে এমনই ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবকের নাম অনিল কানোজিয়া। বাড়ি বারাবাঙ্কির ফতেপুর কোতোয়ালির বাসারা গ্রামে। পেশায় শ্রমিক অনিলের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে বিবাদ চলছিল গত কয়েকদিন ধরে। তার মধ্যে স্ত্রীর পরকীয়ার বিষয়টি ছিল মুখ্য। স্থানীয়রা পুলিশকে জানিয়েছেন, এ নিয়ে প্রায়শই ঝগড়া হত দু'জনের।
একই ঘটনা ঘটে এদিন সকালেও। বাড়ি থেকে স্বামী একটি প্রেমপত্র খুঁজে পান। পড়ে বুঝতে পারেন এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে এই চিঠিটি লিখেছেন। এ নিয়ে নতুন করে বচসা শুরু হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, অচিরেই সেই ঝগড়া বড় আকার নেয়। স্ত্রীকে মারধর করতে শুরু করেন । মারের চোটে একসময় খাটে গিয়ে পড়েন স্ত্রী। অনুমান,তখনই স্ত্রীর গলা শরীর থেকে আলাদা করে দেন স্বামী।
গত কয়েক বছরে দেশের নানা প্রান্তে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। মাত্র দু'দিন আগে ভালোবাসার দিনে এমনই ভয়াবহ এক দৃশ্য দেখেছে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর। গৌতম গুছাইত নামে এক ব্যক্তি স্ত্রীর গলা কেটে খুন করেন। শুধু তাই নয় বারাবাঙ্কির অনিলের মতোই গৌতম রাস্তায় একইভাবে ঘুরছিলেন। পরে পার্কের বেঞ্চেও কাটা মুণ্ডু পাশে রেখে বসে থাকতে দেখা যায় গৌতমকে। খবর পেয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
- বিয়ের মাত্র দু'মাসেই ভাঙল সংসার ! পুলিশের বাড়ির বাইরে আত্মঘাতী স্বামী
- একহাতে কাটা মুন্ডু, অন্য হাতে অস্ত্র ! স্ত্রী'কে খুনের পর পুলিশের জন্য অপেক্ষা ব্যক্তির
- প্রেমিককে নিয়ে প্ল্যান করে স্বামীকে খুন! রাস্তায় দেহ রেখে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর