লখনউ, 29 জানুয়ারি: পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটতেই উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ৷ চতুর্দিকে যখন তাঁর রাজ্যের প্রশাসনিক অব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে তখন বৈঠক সেরে বেরিয়ে জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি জানান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৷ অন্তত বার চারেক ফোন করে তাঁর থেকে পরিস্থিতির খোঁজ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে মুখ্যমন্ত্রী যোগী বলেন,"প্রায় 8-10 কোটি ভক্ত আজ প্রয়াগরাজে উপস্থিত ৷ ভক্তদের চলাচলের কারণে সঙ্গমের দিকে ক্রমাগত চাপ রয়েছে । আখড়া মার্গে ব্যারিকেড পার হওয়ার চেষ্টা করলে কয়েকজন ভক্ত গুরুতর আহত হন । তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে । গতকাল রাতে মৌনী অমাবস্যার মহরত শুরু হওয়ার পর থেকে প্রচুর সংখ্যক ভক্ত আসছেন । প্রধানমন্ত্রী এখনও পর্যন্ত চারবার পরিস্থিতির খোঁজ নিয়েছেন । কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেলও পরিস্থিতির ক্রমাগত রিপোর্ট নিচ্ছেন ।"
মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বক্তব্য (ইটিভি ভারত) তবে পদপিষ্ট হওয়ার নেপথ্যে পুণ্যার্থীদের ব্যারিকেড ভাঙার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন যোগী ৷ তাঁর কথায়,"সঙ্গমের ধারে পুলিশি ব্যারিকেড করা ছিল ৷ সেই ব্যারিকেড ভাঙার ফলেই ভিড় অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে ৷ তবে এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে ৷ সাধুসন্তদের সঙ্গে আলোচনা করে ফের অমৃতস্নান শুরু হয়েছে ৷ পুলিশ প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে ৷"
কোটি কোটি ভক্ত সমাগম নিয়ে তাঁর বক্তব্য,"প্রয়াগরাজের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ভিড়ের পরিমাণ অনেক বেশি । বিভিন্ন আখড়ার সাধুরা বিনীতভাবে বলেছেন যে, ভক্তদের প্রথমে পবিত্র ডুব দিতে হবে ৷ ভিড় কমলে আখড়াগুলি পবিত্র ডুবের জন্য এগিয়ে যাবে । ত্রিবেণী সঙ্গম, নাগ বাসুকি মার্গ এবং সঙ্গম মার্গে প্রচুর ভিড় রয়েছে । আমি ভক্তদের কাছে অনুরোধ করছি কোনও গুজবে কান দেবেন না । পুরো কুম্ভ এলাকায় ঘাট তৈরি করা হয়েছে, শুধু ত্রিবেণী সঙ্গমের দিকে ভিড় করবেন না । ভক্তদের নিকটবর্তী যে ঘাট রয়েছে সেখানেই পবিত্র স্নান করা উচিত । আমরা আহতদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করছি । ভক্তদের তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য রেলওয়ে প্রয়াগরাজ অঞ্চলের বিভিন্ন স্টেশন থেকে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে ।"
এক্স পোস্টে শোকপ্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লেখেন,"প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে তা খুবই দুঃখজনক । যারা এতে তাদের পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছেন তাদের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা । সেই সঙ্গে সকল আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি । স্থানীয় প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা প্রদানে নিয়োজিত রয়েছে । এই বিষয়ে, আমি মুখ্যমন্ত্রী যোগীজির সঙ্গে কথা বলেছি এবং আমি রাজ্য সরকারের সঙ্গে অবিরাম যোগাযোগ করছি ।"