নয়াদিল্লি, 3 অক্টোবর: কৃষকদের পর মহাত্মা গান্ধি ! ফের তাঁর মন্তব্য ঘিরে তৈরি হল বিতর্ক ৷ 2 অক্টোবর গান্ধি জয়ন্তী ছিল। একই দিনে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীরও জন্ম ৷ বুধবার মহাত্মা গান্ধিকে নিয়ে একটি মন্তব্যে করে বিতর্কে জড়ালেন অভিনেত্রী তথা সাংসদ কঙ্গনা রানাওয়াত ৷ যদিও পরে তিনি সেই পোস্টটি মুছে দেন ৷
জাতির জনক মহাত্মাকে নিয়ে হিমাচল প্রদেশের বিজেপি সাংসদ সোশাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, "দেশের তো পিতা হয় না ৷ দেশের তো সন্তান (লাল) হয় ৷ ধন্য আমাদের ভারত মায়ের সন্তান ৷" পরে তাঁর এই পোস্টটি আর দেখতে পাওয়া যায়নি ৷
স্বাভাবিকভাবে 'কুইন' অভিনেত্রীর এহেন মন্তব্যে বিতর্ক তৈরি হয় ৷ কংগ্রস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাতে কঙ্গনার তীব্র সমালোচনা করেন ৷ তিনি বলেন, "বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাওয়াত মহাত্মা গান্ধির জন্ম জয়ন্তীতে তাঁকে নিয়ে অত্যন্ত কুরুচিকর কটাক্ষ করেছেন ৷ যাঁরা গডসের পুজো করেন, তাঁরা বাপু এবং শাস্ত্রীজির মধ্যে একটা বিভেদ টানার চেষ্টা করেন ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কি তাঁর দলের এই নতুন গডসে ভক্তকে মন থেকে ক্ষমা করতে পারবেন ? জাতির জনক আছেন । দেশের সন্তানও আছেন, দেশের শহিদরাও আছেন ৷ প্রত্যেকেই শ্রদ্ধেয় ৷"
লোকসভা ভোটের আগে মার্চ মাসে শ্রীনাতে কঙ্গনা রানাওয়াতকে নিয়ে পোস্টের জেরে বিতর্কে জড়ান ৷ তবে মহাত্মা গান্ধিকে নিয়ে করা সাম্প্রতিক পোস্টের জন্য পঞ্জাবের বিজেপি নেতা মনোরঞ্জন কালিয়ার তোপের মুখেও পড়েছেন কঙ্গনা ৷ কালিয়ার বলেন, "গান্ধিজীর 155তম জন্ম জয়ন্তীতে কঙ্গনা রানাওয়াতের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করছি ৷ তাঁর ছোট্ট রাজনৈতিক কেরিয়ারে তিনি বিতর্কিত মন্তব্য করার একটা অভ্য়াস তৈরি করে ফেলেছেন ৷" সোশাল মিডিয়ায় তিনি আরও বলেন, "রাজনীতি কঙ্গনার ক্ষেত্র নয় ৷ রাজনীতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ৷ কিছু বলার আগে সবার ভাবনা-চিন্তা করা উচিত। তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য দলকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ৷"
সম্প্রতি কৃষক আইন ফিরিয়ে আনার কথা জানিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন মাণ্ডীর সাংসদ কঙ্গনা ৷ তিনি জানিয়েছিলেন, দেশের কৃষকদের উন্নতির স্বার্থে কৃষি আইন ফিরিয়ে আনা হোক ৷ এনিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে ভারতীয় জনতা পার্টি ৷ পরে অভিনেত্রী সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো বার্তায় তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন ৷