নয়াদিল্লি, 11 নভেম্বর:সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন সঞ্জীব খান্না ৷ সোমবার রাষ্ট্রপতি ভবনে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের 51তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন তিনি ৷ তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ৷ 2025 সালের 13 মে পর্যন্ত এই দায়িত্বভার সামলাবেন সঞ্জীব খান্না ৷
গত শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ৷ তাঁকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানান সুপ্রিম কোর্টের বিচারক, আইনজীবী ও কর্মচারীরা ৷ উল্লেখ্য, তাঁর উত্তরসূরী হিসেবে গত 16 অক্টোবর বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নাম সুপারিশ করেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ৷ তাঁর সেই সুপারিশ অনুযায়ী, গত 24 অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় কেন্দ্রের তরফে ৷
দিল্লির এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে 1960 সালের 14 মে জন্ম হয় বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার ৷ তাঁর বাবা দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি দেবরাজ খান্না ৷ সেন্ট স্টিফেন কলেজ থেকে স্নাতক হওয়ার পর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ল সেন্টার থেকে আইন নিয়ে পড়াশোনা শেষ করেন বিচারপতি খান্না ৷ এরপর 1983 সাল থেকে আইনজীবী হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি ৷ দিল্লির বার কাউন্সিলের আইনজীবীও ছিলেন বিচারপতি খান্না ৷
এরপর 2004 সালে দিল্লির ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটরির কৌশুলি হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি ৷ 2005 সালে দিল্লি হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন বিচারপতি খান্না ৷ 2006 সালে স্থায়ী বিচারপতি হন তিনি ৷
এরপর 2019 সালের 18 জানুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি ৷ এরপর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় তাঁকে বিচারকের আসনে দেখা গিয়েছে ৷ জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার বিলুপ্তি অর্থাৎ সংবিধানের 370 ধারা বিলোপ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে সর্বোচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চে তিনি ছিলেন ৷ এছাড়াও, নির্বাচনী বন্ড, আফগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিন সংক্রান্ত মামলার মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিচার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেছেন বিচারক সঞ্জীব খান্না ৷