নয়াদিল্লি, 23 এপ্রিল: স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী যদি আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি না-মানেন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধেও কি পদক্ষেপ করবে কমিশন ? 16 মার্চ, লোকসভা ভোটের দিন ঘোষণার সময় একাধিকবার এই প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছিলেন রাজীব কুমার ও তাঁর ফুল বেঞ্চ ৷ এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ঘৃণা ভাষণের অভিযোগে সরব হল বিরোধী শিবিরের একাধিক দল ৷
21 এপ্রিল, রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজস্থানের বাঁসওয়ারায় প্রচারে গিয়েছিলেন ৷ সেই প্রচার মঞ্চ থেকে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নাম না-করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে সুবিধে পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন ৷ তিনি বলেন, "দেশের সম্পত্তি কাদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হবে ? যাদের বেশি সন্তান রয়েছে, যারা অনুপ্রবেশকারী তাদের মধ্য়ে ?"
সোমবার কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ফের বলেন, "কংগ্রেসের শেহজাদা বলেছে, তারা তদন্ত করে দেখবে কে কত টাকা আয় করছে ৷ কার কত সম্পত্তি আছে ৷ আপনার ক'টা বাড়ি আছে, কত টাকা আছে ৷ তারপর এই সব সম্পত্তি নিয়ে নেবে ৷ ম্যানিফেস্টো বলছে, তারা মা-বোনেদের সোনার হিসেব কষবে ৷ আর তারপর তা বিলিয়ে দেবে ৷ মনমোহন সিংয়ের সরকার প্রায় বলত, দেশের সম্পত্তিতে মুসলমানদেরই প্রথম অধিকার ৷ এই শহুরে নকশালরা মা-বোনেদের মঙ্গলসূত্রটাও ছাড়বে না ৷"