কাটিহার (বিহার), 17 ফেব্রুয়ারি: মোটা অঙ্কের টাকা ঋণ নিয়েছিলেন স্ত্রী। তারপর থেকেই তার আর কোনও খোঁজ মিলছিল না। এদিকে পাওনাদারের লাগাতার তাগাদায় অতিষ্ঠ হয়ে ওঠা স্বামী শেষমেশ নিলেন চরম পদক্ষেপ। অভিযোগ, মেয়ে-সহ তিন সন্তানকে জ্যান্ত পুড়িয়ে নিজেও গায়ে আগুন দেন দিলেন ব্যক্তি ৷ তিন সন্তানের বয়স 8 থেকে 12 বছরের মধ্যে। আগুনে তিন সন্তানের প্রাণ গেলেও কোনওরকমে বেঁচে গিয়েছেন ওই ব্যক্তি। বিহারের কাটিহারের একটি গ্রামের এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
ঘটনার তদন্ত শুরু করে একাধিক চমকে ওঠার মতো তথ্য হাতে এসেছে পুলিশের। কয়েকটি সূত্র ধরে তদন্ত করে জানা গিয়েছে, এই ব্যক্তির স্ত্রী একটি সংস্থার থেকে বেশ মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়েছিলেন। তবে এরপর থেকেই তিনি কার্যত উধাও হয়ে যান। যোগাযোগ রাখতেন না স্বামীর সঙ্গেও। তাঁর নাগাল না-পেয়ে পাওনাদার স্বামীকে বিরক্ত করতে শুরু করে। ক্রমশ তা সহ্যের সীমা অতিক্রম করতে থাকে।
কোনওভাবেই এর থেকে মুক্তি মিলছলি না স্বামীর। সময় যত এগোতে থাকে ততই জটিল হতে থাকে পরিস্থিতি। কারও থেকেই কোনও সাহায্য পাচ্ছিলেন না ওই ব্যক্তি। শেষমেশ তিন সন্তানকে জ্যান্ত পুড়িয়ে নিজের গায়েও আগুন দিয়ে দেন তিনি। তিন সন্তানের কান্নার আওয়াজ পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্থানীয়রা। স্থানীয়রাই সকলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। যদিও চিকিৎসকরা তিন সন্তানের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন।
পাশাপাশি, গুরুতর জখম ব্যক্তির চিকিৎসা শুরু হয়েছে। ঋণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গ্রামের প্রাক্তন প্রধান দিলীপ শাহ। তবে ধারের টাকা ছাড়া আরও কয়েকটি কারণেও স্বামী এবং স্ত্রীর সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল বলে মনে করেন তিনি। এই বিষয়টি জানার কাজ শুরু করেছে পুলিশ। পরিবারের বেশ কয়েকজন পরিচিতদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করা হয়েছে। একইসঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তির স্ত্রী কোথায় থাকতে পারেন, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
- ভর সন্ধ্যায় জনবহুল এলাকায় স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি কোপাল স্বামী, থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ
- ইংরেজবাজারে জোড়া খুনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য, বিক্ষোভ উত্তেজিত জনতার
- শারীরিক সম্পর্কে করতে না চাওয়ায় স্ত্রী-কে শ্বাসরোধ করে খুন, গ্রেফতার অভিযুক্ত স্বামী