নয়াদিল্লি, 27 মার্চ: ইডি'র গ্রেফতারিকে বেআইনি বলে দাবি করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল ৷ গ্রেফতারি ও ট্রায়াল কোর্টের নির্দেশকে খারিজ করে তাঁকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আরজি জানিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রী ৷ সেই শুনানিতেই এদিন দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়ে দিল, কেজরির গ্রেফতারিকে হস্তক্ষেপ করবে না দিল্লির শীর্ষ আদালত ৷
আপ প্রধানের আবেদনের ভিত্তিতে 2 এপ্রিলের মধ্যে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে তাদের প্রতিক্রিয়া জানানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷ একই সঙ্গে আদালত জানিয়ে দিয়েছে, পরবর্তী শুনানি হবে 3 এপ্রিল ৷ 23 মার্চ দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্ট কেজরিওয়ালকে ইডি হেফাজতে পাঠিয়েছে ৷ 28 মার্চ সেই জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৷ আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে স্ত্রী সুনীতা কেজরিওয়াল দাবি করেছেন, ইডি মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করেছে অরবিন্দকে ৷ আগামী 28 মার্চ আদালতে সবকিছু প্রকাশ করবেন কেজরিওয়াল ৷
আবগারী দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বেশ কয়েকবার নোটিশ পাঠিয়েছিল ইডি ৷ প্রতিবারই হাজিরা এড়িয়ে যান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ৷ শেষ পর্যন্ত রক্ষাকবচ চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ৷ যদিও তাঁকে রক্ষাকবচ দেয়নি রাজ্যের শীর্ষ আদালত ৷ 21 মার্চ সন্ধ্যায় তাঁর বাসভবনে হাজির হয়ে প্রথমে তল্লাশি চালায় ইডি ৷ তার পর তাঁকে গ্রেফতার করে ৷
রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে 24 মার্চ দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করা হয় কেজরিওয়ালের তরফে ৷ জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন করা হয় ৷ রবিবার শুনানির জন্য আবেদন করা হয় ৷ কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয় দিল্লি হাইকোর্টের তরফে ৷ বদলে শুনানির দিন ধার্য করা হয় বুধবার ৷
আরও পড়ুন:
- আবগারি দুর্নীতি নিয়ে ইডি-কেন্দ্রকে নিশানা কেজরি-পত্নী সুনীতার
- আপের 'ঘেরাও' কর্মসূচি, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে 144 ধারা
- বিশ্লেষণ: জেলবন্দি অবস্থায় অরবিন্দ কেজরিওয়াল কি পারেন সরকার চালাতে ?