ETV Bharat / business

জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যে GST বাবদ আয় বাড়ল 10%, ইঙ্গিত নতুন রেকর্ডের - WEST BENGAL GST COLLECTION

নবান্ন সূত্রের খবর, এই বছর রাজ্য সরকারের জিএসটি মারফত আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল, এখনও পর্যন্ত তার থেকেও বেশি রাজস্ব সংগ্রহ হয়েছে।

Nabanna
রাজ্যে GST বাবদ আয় বাড়ল 10% (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 23, 2025, 9:38 AM IST

কলকাতা, 23 ফেব্রুয়ারি: বঙ্গের অর্থনীতিতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ব্যবসায়িক কার্যকলাপের প্রসার স্পষ্টভাবেই প্রতিফলিত হচ্ছে রাজস্ব আয়ের পরিসংখ্যানে। রাজ্য সরকারের সাম্প্রতিক হিসেব বলছে, গত অর্থ বছরের জানুয়ারির তুলনায় এই বছর জানুয়ারিতে রাজ্যের জিএসটি সংগ্রহ বেড়েছে প্রায় 10.2 শতাংশ। চলতি অর্থবর্ষে এপ্রিল থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে জিএসটি আদায় হয়েছে 38,400 কোটি টাকা ৷ গত অর্থবর্ষের প্রথম দশ মাসে রাজ্যের জিএসটি বাবদ আদায়ের পরিমাণ ছিল 34,800 কোটি টাকা।

নবান্ন সূত্রের খবর, এই বছর রাজ্য সরকারের জিএসটি মারফত আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল, এখনও পর্যন্ত তার থেকেও বেশি রাজস্ব সংগ্রহ হয়েছে। শুধু জিএসটি-ই নয়, অন্যান্য কর এবং রাজস্ব খাত মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত 15,000 কোটি টাকারও বেশি আয় হয়েছে রাজ্যের। সবচেয়ে বেশি জিএসটি আদায় হয়েছে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে, যা রাজ্যের অর্থনীতির শক্তিশালী অবস্থানকে আরও একবার স্পষ্ট করেছে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, রাজ্যের মানুষের হাতে নগদের প্রবাহ বৃদ্ধির ফলে ক্রয়ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। রাজ্য সরকারের একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প, যেমন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, কৃষকবন্ধু এবং স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মতো উদ্যোগগুলি বাংলার আর্থিক গতিশীলতাকে উৎসাহিত করেছে। এর ফলে বাজারে চাহিদা বেড়েছে এবং রাজ্যের পণ্য ও পরিষেবা শিল্পের উল্লেখযোগ্য বিকাশ ঘটেছে।

রাজ্যের অর্থ দফতরের এক আধিকারিকের মতে, এই আয় বৃদ্ধি নতুন জনমুখী প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে রাজ্যকে আরও বেশি সুযোগ করে দেবে। তৃণমূল সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, সামাজিক প্রকল্পগুলির পরিধি আরও বাড়ানো হতে পারে, যা পরোক্ষভাবে রাজ্যের অর্থনৈতিক পরিকাঠামোকে আরও মজবুত করবে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, চলতি অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে এই প্রবণতা বজায় থাকলে রাজ্যের জিএসটি মারফত আয় নতুন উচ্চতায় পৌঁছতে পারে। পাশাপাশি, রাজ্য সরকারের রাজস্ব সংগ্রহ আরও বৃদ্ধি পেলে তার প্রভাব সরাসরি পড়বে জনমুখী প্রকল্পগুলিতেও।

এই মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার প্রায় 94টি জনমুখী প্রকল্প চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। যেখানে দেখা গিয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বারবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা বলা হলেও জনকল্যাণ কর্মসূচির রূপায়ণের ক্ষেত্রে কোথাও বরাদ্দ কাটছাঁট করা হয়নি। আর সেই জায়গা থেকে জিএসটি বাবদ আয় বৃদ্ধি উন্নয়নমূলক কাজে যে গতি আনবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

রাজনৈতিক মহলের একাংশের কথায়, এই মুহূর্তে রাজ্যের সামগ্রিক আর্থিক স্বাস্থ্য যে ইতিবাচক পথে এগোচ্ছে, তা স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে এই পরিসংখ্যান থেকে। রাজস্ব বৃদ্ধি রাজ্যের অর্থনীতির স্থিতিশীলতা এবং সামগ্রিক প্রবৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা ভবিষ্যতে আরও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করবে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

কর-শুল্ক বাবদ কেন্দ্র থেকে বঙ্গের প্রাপ্তি কতটা? রইল 10 অর্থবর্ষের হিসেব

অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে দেশে শেষ থেকে তিনে বাংলা! বাজেটের আগে নজর আয়-ব্যয়ে

কলকাতা, 23 ফেব্রুয়ারি: বঙ্গের অর্থনীতিতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ব্যবসায়িক কার্যকলাপের প্রসার স্পষ্টভাবেই প্রতিফলিত হচ্ছে রাজস্ব আয়ের পরিসংখ্যানে। রাজ্য সরকারের সাম্প্রতিক হিসেব বলছে, গত অর্থ বছরের জানুয়ারির তুলনায় এই বছর জানুয়ারিতে রাজ্যের জিএসটি সংগ্রহ বেড়েছে প্রায় 10.2 শতাংশ। চলতি অর্থবর্ষে এপ্রিল থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে জিএসটি আদায় হয়েছে 38,400 কোটি টাকা ৷ গত অর্থবর্ষের প্রথম দশ মাসে রাজ্যের জিএসটি বাবদ আদায়ের পরিমাণ ছিল 34,800 কোটি টাকা।

নবান্ন সূত্রের খবর, এই বছর রাজ্য সরকারের জিএসটি মারফত আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল, এখনও পর্যন্ত তার থেকেও বেশি রাজস্ব সংগ্রহ হয়েছে। শুধু জিএসটি-ই নয়, অন্যান্য কর এবং রাজস্ব খাত মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত 15,000 কোটি টাকারও বেশি আয় হয়েছে রাজ্যের। সবচেয়ে বেশি জিএসটি আদায় হয়েছে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে, যা রাজ্যের অর্থনীতির শক্তিশালী অবস্থানকে আরও একবার স্পষ্ট করেছে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, রাজ্যের মানুষের হাতে নগদের প্রবাহ বৃদ্ধির ফলে ক্রয়ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। রাজ্য সরকারের একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প, যেমন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, কৃষকবন্ধু এবং স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মতো উদ্যোগগুলি বাংলার আর্থিক গতিশীলতাকে উৎসাহিত করেছে। এর ফলে বাজারে চাহিদা বেড়েছে এবং রাজ্যের পণ্য ও পরিষেবা শিল্পের উল্লেখযোগ্য বিকাশ ঘটেছে।

রাজ্যের অর্থ দফতরের এক আধিকারিকের মতে, এই আয় বৃদ্ধি নতুন জনমুখী প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে রাজ্যকে আরও বেশি সুযোগ করে দেবে। তৃণমূল সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, সামাজিক প্রকল্পগুলির পরিধি আরও বাড়ানো হতে পারে, যা পরোক্ষভাবে রাজ্যের অর্থনৈতিক পরিকাঠামোকে আরও মজবুত করবে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, চলতি অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে এই প্রবণতা বজায় থাকলে রাজ্যের জিএসটি মারফত আয় নতুন উচ্চতায় পৌঁছতে পারে। পাশাপাশি, রাজ্য সরকারের রাজস্ব সংগ্রহ আরও বৃদ্ধি পেলে তার প্রভাব সরাসরি পড়বে জনমুখী প্রকল্পগুলিতেও।

এই মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার প্রায় 94টি জনমুখী প্রকল্প চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। যেখানে দেখা গিয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বারবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা বলা হলেও জনকল্যাণ কর্মসূচির রূপায়ণের ক্ষেত্রে কোথাও বরাদ্দ কাটছাঁট করা হয়নি। আর সেই জায়গা থেকে জিএসটি বাবদ আয় বৃদ্ধি উন্নয়নমূলক কাজে যে গতি আনবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

রাজনৈতিক মহলের একাংশের কথায়, এই মুহূর্তে রাজ্যের সামগ্রিক আর্থিক স্বাস্থ্য যে ইতিবাচক পথে এগোচ্ছে, তা স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে এই পরিসংখ্যান থেকে। রাজস্ব বৃদ্ধি রাজ্যের অর্থনীতির স্থিতিশীলতা এবং সামগ্রিক প্রবৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা ভবিষ্যতে আরও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করবে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

কর-শুল্ক বাবদ কেন্দ্র থেকে বঙ্গের প্রাপ্তি কতটা? রইল 10 অর্থবর্ষের হিসেব

অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে দেশে শেষ থেকে তিনে বাংলা! বাজেটের আগে নজর আয়-ব্যয়ে

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.