নয়াদিল্লি, 20 সেপ্টেম্বর: সংসদের শীতকালিন অধিবেশনে 'এক দেশ, এক ভোট' বিল পেশ করতে পারে কেন্দ্র ৷ সেই বিলের বিরুদ্ধে সমর্থন জোগাড় করতে এবার আসরে নেমেছে কংগ্রেস ৷ ইতিমধ্যেই হাত শিবির তাদের অবস্থানও স্পষ্ট করেছে ৷ কংগ্রেসের মতে, ক্ষমতাসীন এনডিএ সরকারের লোকসভায় প্রয়োজনীয় সংখ্যা নেই ৷ সেদিক থেকে 'এক দেশ, এক নির্বাচন' বিলটির সাংবিধানিক সংশোধনী চাইলে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতারও প্রয়োজন হবে।
কংগ্রেস নেতাদের মতে, 543 সদস্যের সংসদে এনডিএ-র মাত্র 293 সদস্য রয়েছেন ৷ তবে সংবিধান সংশোধনীর জন্য 362 সদস্যের অনুমোদন প্রয়োজন। লোকসভা সাংসদ প্রণিতি শিন্ডে বলেন, "এটা স্পষ্ট যে লোকসভায় এনডিএ-র সংখ্যাগড়িষ্ঠতা নেই। তাই, শীতকালীন অধিবেশনে সরকার যদি এমন কোনও বিল আনে তবে এটি তীব্র বিরোধিতার মুখোমুখি হবে। আমরা সংসদে ইন্ডিয়া জোটের সমর্থনও জোগাড় করব। আমরা বিশ্বাস করি 'এক দেশ এক নির্বাচন' একটি অবাস্তব ধারণা ৷”
'এক দেশ, এক নির্বাচন' সংক্রান্ত প্রস্তাবে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে ৷ কিন্তু এই ব্যবস্থা লাগু করতে সাংবিধানিক সংশোধনের প্রয়োজন । আর তা করতে সংসদের উভয় কক্ষে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন। কংগ্রেস নেতাদের দাবি, শুধু হাত শিবিরই নয়, বিজেপির বেশ কয়েকটি জোট শরিক এবং অন্যান্য আঞ্চলিক দলও কেন্দ্রের এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে। গত কয়েকদিন ধরে, কংগ্রেসের সহযোগী সমাজবাদী পার্টি, এনসিপি (শরদ পাওয়ার), আরজেডি 'এক দেশ, এক নির্বাচন' পরিকল্পনার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে জানিয়েছে ৷ এই প্রস্তাবকে তাঁরা বিজেপির ষড়যন্ত্র বলে ব্যাখ্যা করেছে। অন্যদিকে, আপ এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় দেশে একযোগে নির্বাচন করার জন্য কেন্দ্রের পদক্ষেপের নিন্দা করে জানিয়েছে, এটি আদতে দেশের সার্বভৌমত্ব কাঠামোর উপর আক্রমণ ৷
বিরোধীরা জনগণকে এও জানাবে, কীভাবে 1952 সালে সারা দেশে একসঙ্গে নির্বাচন হয়েছিল ৷ তবে পরবর্তীতে রাজ্য সরকারগুলি ভেঙে পড়া এবং রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়ায় তা করা যায়নি। এই পটভূমিতে, ভবিষ্যতে যে একই রকম ঘটবে না তার কোনও গ্যারান্টি নেই। কংগ্রেস নেতাদের মতে, সরকার যদি আর্থিকভাবে লাভবান হতে এতই আগ্রহী হয় তবে বড় কর্পোরেটদের হাজার হাজার কোটি টাকার কর দেওয়ার আগে কেন দু'বার ভাবছে না ?
এআইসিসি নেতা অজয় কুমার বলেন, "যখনই নির্বাচন আসে বিজেপি কিছু অভিনব ধারণা উপস্থাপন করে। কেন হরিয়ানা, জম্মু ও কাশ্মীর, মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনের সময় মনে হল ? আসলে এই সবই কর্মসংস্থান এবং মূল্যবৃদ্ধি ইস্যু থেকে জনসাধারণের মনোযোগ সরিয়ে দেওয়ার জন্য ৷"