নয়াদিল্লি, 3 জুন: ইন্ডিয়া জোটের নেতাদের দিল্লিতে থাকতে বলল কংগ্রেস। দলের তরফে শরিক নেতাদের মঙ্গলবার রাত অথবা বুধবার সকাল পর্যন্ত দিল্লিতে থাকতে বলা হয়েছে। জোটের ফলাফল কেমন হচ্ছে তা দেখে দ্রুত যাতে রাজনৈতিক কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, তার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত। প্রত্যাশামতো আসন না-পেলে দ্রুত সাংবাদিক বৈঠক থেকে শুরু করে ধরনার মতো কর্মসূচি করতে যাতে সমস্যা না হয়, সে কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি সরকার গড়ার মতো জায়গা তৈরি হলেও দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেক্ষেত্রেও জোটের শীর্ষ নেতারা দিল্লিতে থাকলে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে।
লোকসভা নির্বাচনের সব খবর পড়ুন এখানে
জানা গিয়েছে, এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তৃণমূলের তরফে কাউকে কলকাতা থেকে দিল্লি নিয়ে আসা হচ্ছে কি না তা স্পষ্ট হয়। পাশাপাশি দিল্লিতে থাকা তৃণমূলের কোনও নেতাকে মমতা কোনও বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছন কিনা তাও স্পষ্ট নয়। এমনিতেই শুরু থেকে ইন্ডিয়া জোটে তৃণমূলের অবস্থান বেশ খানিকটা জটিল।
কয়েক মাস আগে মমতা ঘোষণা করেন বাংলায় কোনও জোট হবে না । পরে নির্বাচনী সভা থেকে মমতা একবার বলেন, সরকার গড়লে ইন্ডিয়াকে বাইরে থেকে তৃণমূল সমর্থন করবে। পরে তিনি দাবি করেন, তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে। তৃণমূল ইন্ডিয়া জোটে আগেও ছিল এখনও আছে এবং পরেও থাকবে। এমনই আবহে কংগ্রেসের আহ্বানে সাড়া দিলেন মমতা।
সপ্তম দফার ভোট শেষে এক্সিট পোল থেকে কার্যত স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে, এবারও ক্ষমতায় ফিরছেন মোদি । আসন বাড়লেও বিরোধীরা তেমন ছাপ ফেলতে পারছে না । তবে ইন্ডিয়া জোট এই হিসেব মানতে নারাজ। সোনিয়া গান্ধি থেকে শুরু করে অরবিন্দ কেজরিওয়াল বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রা বারবার জানিয়েছেন, এক্সিট পোল যা বলছে তা মিলবে না ।
সোমবার সকালে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সোনিয়া দাবি করেন এক্সিট পোল যা বলছে বাস্তব হবে ঠিক তার উলটো। একদিন আগে মমতা দাবি করেছেন, দু'মাস আগেই এই এক্সিট পোলের ফলাফল তৈরি করা হয়েছে। বিজেপির নির্দেশে একটি সংস্থা এই কাজ করেছে। এমনই আবহে শরিক নেতাদের দিল্লিতে থাকতে বলে বিজেপির উপর মনস্তাত্বিক চাপ বাড়াতে চাইছে বিরোধীরা ।