রাঁচি, 28 সেপ্টেম্বর: ঝাড়খণ্ডের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি এনডিএ-র শরিক আজসু পার্টি (AJSU) এবং জনতা দল ইউনাইটেড (JDU)-এর সঙ্গে জোট করেই লড়াই করবে ৷ শনিবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এমনটাই ঘোষণা করেছেন। হিমন্ত বিজেপির তরফে ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের পর্যবেক্ষক ৷ তিনি জানিয়েছেন, জোট শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
এদিন রাঁচিতে সাংবাদিকদের অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "বিজেপি আজসু পার্টি এবং জেডিইউ-এর সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে ঝাড়খণ্ড ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। জোটের বিষয়ে এবং 99 শতাংশ আসনেই শরিকদের সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছে। বাকি একটি বা দুটি আসন নিয়ে আলোচনা চলছে ৷ এটিও দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে ৷" হিমন্ত বিশ্ব শর্মা আরও জানান, এ বিষয়ে দলের তরফে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পিতৃ পক্ষের পরে করা হবে ৷ আগামী 2 অক্টোবর শেষ হবে পিতৃ পক্ষ। ঝাড়খণ্ডের 81 সদস্যের বিধানসভার নির্বাচন চলতি বছরের শেষের দিকে হওয়ার কথা রয়েছে। এখনও দিন ঘোষণা না হলেও সবপক্ষই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।
অন্যদিকে, অসমের চা বাগানে কর্মরত আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকদের ওবিসির পরিবর্তে তফশিলী জাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন ইতিমধ্যেই চিঠি পাঠিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে ৷ এই বিষয়ে হিমন্ত জানান, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন তার উত্তর তিনি লিখিতভাবে দেবেন। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, "ওই চিঠির উত্তর মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন নিজেই জানেন। হেমন্ত সোরেনকে জিজ্ঞাসা করা উচিত, কেন তাঁর স্ত্রী কল্পনা সোরেন ঝাড়খণ্ডের কোনও উপজাতি আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না ? এসবের উত্তর তাঁদের ঘরেই রয়েছে।"
মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন সম্প্রতি অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন। তাতে তিনি জানান, অসমের চা বাগানে এখনও 70 লক্ষেরও বেশি লোকের ওবিসি মর্যাদা রয়েছে। তাঁদের তফশিলী জাতির মর্যাদা দিতে হবে। ওবিসি মর্যাদা থাকায় ওই শ্রমিকরা টি-ট্রাইব সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে না। যদি অসম সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধা হয় তাহলে ঝাড়খণ্ড একটি উচ্চ পর্যায়ের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করতে প্রস্তুত বলেও জানান হিমন্ত। (পিটিআই)