নালন্দা, 23 সেপ্টেম্বর: হাসপাতালের শৌচাগার থেকে মিলেছিল অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির 'দেহ' । ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়েছিল ৷ আচমকারই স্ট্রেচার নড়ে উঠল । তিনি উঠে বসলেন । বললেন, "আমি বেঁচে আছি, কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আমায় !" আশপাশের লোকজনও কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলেন না প্রথমে । এমনই অভাবনীয় ঘটনার সাক্ষী বিহারের নালন্দা জেলার সর্দার শরিফ হাসপাতাল ।
জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে হাসপাতালের একটি শৌচাগার পরিষ্কার করতে গিয়েছিলেন এক সাফাই কর্মী । সেখানেই রাকেশ কুমার নামে এই ব্যক্তিকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। সাফাই কর্মী বাকিদেরও খবর দেন। সকলেই মনে হয়, এই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের এক চিকিৎসকও মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন ৷ তবে এখানেই উঠে গিয়েছে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন ৷
প্রথমত, হাসপাতালের শৌচাগার ওই ব্যক্তি গিয়ে অচেতন হয়ে পড় রইলেন অথচ দীর্ঘ সময় কেউ কিছু জানতে পারল না কেন ? তাছাড়া ডাক্তার কেন পরীক্ষা বুঝতে পারলেন না যে, ওই ব্যক্তি কোনও কারণে অচেতন হয়ে গিয়েছেন। তাঁর মৃত্যু হয়নি। একইসঙ্গে নিয়ম অনুযায়ী, ময়নাতদন্তের আগে মৃতের শংসাপত্র দরকার হয় । এখানে সেই শংসাপত্র তৈরি হওয়ার আগেই কী করে ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু হল ?
'নতুন জীবন' ফিরে পেয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথাও বলেন রাকেশ । তিনি স্থানীয় একটি গ্রামের বাসিন্দা । তাঁর দাবি, সকালে হাসপাতালে এসেছিলেন ওষুধ কিনতে ৷ কিন্তু তিনি হাসপাতালে শৌচাগারে গিয়ে কীভাবে অচেতন হয়ে পড়লেন ? তার ব্যাখ্যা দিতে পারেননি তিনি। ঘটনা সম্পর্কে নালন্দা থানার এএসআই বিয়াস প্রসাদ জানান, শৌচাগারে দেহ উদ্ধার হয়েছে খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে আসি । তখন ওই ব্যক্তি অচেতন অবস্থায় পড়েছিলেন ৷ পরে আচমকাই তাঁর জ্ঞান ফিরে আসে। ওই ব্যক্তির সঙ্গে কী হয়েছিল, তা জানার চেষ্টা হচ্ছে ৷