কোটপুতলি (রাজস্থান), 23 ডিসেম্বর: ফের গভীর কুয়োয় পড়ল শিশু ৷ রাজস্থানের কোটপুতলি এলাকার কিরাতপুরে খেলতে গিয়ে 150 ফুট গভীর কুয়োয় পড়ে গেল তিন বছরের একটি শিশু। শিশুটির কুয়োয় পড়ে যাওয়ার খবর পেয়ে ভিড় জমান স্থানীয়রা। এদিকে পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। ডিএসপি রাজেন্দ্র বর্ধক জানান, এ বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য মিলেছে। পুলিশ কর্মীরা, অ্যাম্বুলেন্স থেকে শুরু করে জেসিবি নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে।
কোটপুতলির এসডিএম ব্রিজেশ চৌধুরী জানিয়েছেন, দুটি মেয়ে একসঙ্গে খেলছিল ৷ সেই সময়ে পা পিছলে প্রায় 150 ফুট গভীর কুয়োয় পড়ে যায় ওই মেয়েটি। পরে পরিবারের লোকজন ঘটনাটি পুলিশ প্রশাসনকে জানায়। এনডিআরএফ ও এসডিআরএফের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেয়েটিকে উদ্ধারের কাজ শুরু করেছে। পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা কুয়োর চারপাশে ব্যারিক্যাডও করে রেখেছেন। ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, যে কুয়োয় মেয়েটি পড়েছিল সেটি কয়েকদিন আগে তার বাবা-ই তৈরি করেছিলেন।
ইতিমধ্যে জেলা সদর থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন ডিওয়াইএসপি রাজেন্দ্র বুরদক এবং সারুন্দ থানার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইমরান। এছাড়া উদ্ধার অভিযানে পুলিশ বাহিনী, অ্যাম্বুলেন্স ও জেসিবি মেশিন মোতায়েন করা হয়েছে। মেয়েটিকে বের করে আনতে দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়েছে। ত্রাণ কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে প্রশাসন ও স্থানীয় জনগণও।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। মেয়েটির নিরাপত্তার জন্যও মানুষ প্রার্থনা করছে। কয়েক দিন আগে দৌসাতেও একটি শিশু একটি কুয়োয় পড়ে গিয়েছিল। প্রশাসন সে সময় শিশুটিকে উদ্ধারে হিমশিম খেয়েছিল ৷ কিন্তু ওই শিশুকে বাঁচানো যায়নি। খোলা কুয়ো ঢেকে রাখার জন্য সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিক নির্দেশ জারি করা হয়েছিল ৷ কিন্তু তা আদৌ কার্যকর করা যায়নি।
রাজস্থান পুলিশ তার অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করে খোলা কুয়ো সম্পর্কে সতর্ক থাকার জন্য আবেদন করেছে। এই আবেদনে পুলিশ লিখেছে, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় খোলা শুকনো কুয়ো এবং শুকনো কুয়োগুলি মানুষের জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব গর্তে পড়ে শুধু শিশুরা নয়, বড়রাও মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন।