অযোধ্যা, 3 ফেব্রুয়ারি: অযোধ্যায় চলিত তরুণীকে ধর্ষণ ও নৃশংস খুনের ঘটনায় সোমবার 3 জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ ৷ শনিবার একটি নালা থেকে বছর বাইশের এক তরুণীর নগ্ন ও ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় ৷ যোগীরাজ্যে নৃশংস এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর ৷
অযোধ্যার এই ঘটনা যেন 2012 সালের 16 ডিসেম্বর রাতে নির্ভয়াকাণ্ডের স্মৃতি উসকে দিল ৷ পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, রামনগরীর এই দলিত তরুণীকে ধর্ষণের পর হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয় ৷ শুধু তাই নয়, যৌনাঙ্গে লাঠি ঢুকিয়ে দেওয়া এবং চোখ উপরে নেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে পুলিশকে জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার ৷ এছাড়াও নির্যাতিতার শরীরে একাধিকবার ব্লেড দিয়ে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে ৷ তরুণীকে খুন করে ফেলে দেওয়া হয় নদর্মায় ৷ নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা জানান, তাঁদের মেয়ের দেহ এমনই নৃশংস অবস্থাতেই উদ্ধার করা হয় ৷
ঘটনাক্রমে জানা যায়-
- গত 30 জানুয়ারি রাতে বাইশের বছরের মেয়েটি নিখোঁজ হন ৷ মেয়েকে সারা গ্রাম খোঁজাখুঁজি শুরু করেন বাড়ির লোকজন ৷ প্রতিবেশী ও বাড়ির লোকজন সকাল পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান না-মেলায় পুলিশের দ্বারস্থ হন ৷ শনিবার অর্থাৎ 1 ফেব্রুয়ারি সকালে মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজতে খুঁজতে একটি নর্দমায় তরুণীর দেহ দেখতে পান ৷ তখন তরুণীর শরীরে কোনও জামাকাপড় ছিল না ও হাত-পা ভাঙা অবস্থায় বাঁধা ছিল ৷ চোখ উপড়ে নেওয়ারও চেষ্টা করা হয়েছিল দলিত পরিবারের মেয়েটির ৷
- পরিবারের তরফে আরও জানা গিয়েছে, মেয়েটির সারা শরীরে ব্লেডের আঘাত ছিল ৷ গোপনাঙ্গে লাঠিও ঢোকানো হয়েছে বলেও পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে জানান ৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সমস্ত নমুনা সংগ্রহ করে ৷ পুলিশের তরফে পরিবারকে জিজ্ঞাসা করা হয়, কারও সঙ্গে তাঁদের মেয়ের কোনও শত্রুতা রয়েছে কি না ? উত্তরে তাঁরা জানান, না ৷ কারও প্রতি তাঁদের কোনও সন্দেহ নেই বলেও জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার। সরকারের কাছে মেয়ের বিচারের সাহায্য চেয়েছেন পরিবারের সদস্যরা ৷
পুলিশের বক্তব্য
অযোধ্যা ধাম থানার পুলিশ আধিকারিক আশুতোষ তিওয়ারি বলেন, "পরিবারের সদস্যরা এই ঘটনায় কাউকে নিয়েই কোনও সন্দেহ প্রকাশ করেননি। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।" পাশাপাশি পুলিশের তরফে আজ জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় 3 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷