পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

"ভালো আছি", বললেন পরিবহ ; পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ার আশায় সাধারণ মানুষ

By

Published : Jun 13, 2019, 3:24 AM IST

BJP-র চিকিৎসক সেলের নেতা তথা বাঁকুড়ার সদ্য নির্বাচিত সাংসদ সুভাষ সরকার গতকাল দেখা করেন আক্রান্ত জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে । জানতে চান তাঁর শারীরিক অবস্থা । পরিবহ জানান, অনেকটাই সুস্থ তিনি । বলেন, "ভালো আছি ।"

পরিবহ মুখার্জি

কলকাতা, 13 জুন : রীতিমত অচলাবস্থা । রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অসহায় রোগীর পরিবারের পথ অবরোধের চেষ্টা । কোথাও আবার কাকুতি-মিনতি । আপনজনকে বাঁচানোর আর্জি । অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রেই তাতে মন ভেজেনি চিকিৎসক ও জুনিয়র ডাক্তারদের । দিনভর জটিল হয়েছে পরিস্থিতি । টুকরো টুকরো অনেক ছবির কোলাজ সারাদিন ফ্রেমবন্দী হয়েছে সংবাদমাধ্যমের । যার গুরুতর আঘাতের জন্য প্রতিবাদ চিকিৎসকদের, সেই পরিবহ মুখার্জি এখন অনেকটাই সুস্থ । গতকাল তিনি বলেন, "ভালো আছি ।"

BJP-র চিকিৎসক সেলের নেতা তথা বাঁকুড়ার সদ্য নির্বাচিত সাংসদ সুভাষ সরকার গতকাল দেখা করেন পরিবহর সঙ্গে । জানতে চান তার শারীরিক পরিস্থিতি । মল্লিক বাজারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পরিবহ জানান, অনেকটাই সুস্থ তিনি । বলেন, "ভালো আছি ।"

এই সংক্রান্ত খবর :জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ

সোমবার রাতে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল । একদিকে জুনিয়র ডাক্তার, অন্যদিকে মৃতের পরিবার , মাঝে পুলিশ । সেই খণ্ডযুদ্ধের মাঝে গুরুতর জখম হন পরিবহ । রাতেই তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় মল্লিক বাজারের ওই বেসরকারি হাসপাতালে । অস্ত্রোপচার হয় তাঁর । সেখানে চিকিৎসকরা জানান, প্রচণ্ড জোরে আঘাত লাগায় কপালের উপরে করোটির সামনের একটা অংশ তুবড়ে ভিতরে ঢুকে গেছে । মঙ্গলবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, আপাতত বিপন্মুক্ত তিনি । সেই পরিবহ আজ উঠে বসেছেন । কথা বলেছেন পরিবারের সঙ্গে । চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পুরোপুরি সুস্থ না হলেও, আর আশঙ্কার কোনও কারণ নেই । যদিও তাঁকে এখনও পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা ।

এই সংক্রান্ত খবর :রোগীমৃত্যুর জেরে উত্তেজনা NRS-এ, ছাড়া হয়নি মৃতদেহ ; ব্যাহত পরিষেবা

ঘটনার জেরে আদিল হারুন আদিল, শেখ আনোয়ার, শেখ ইমতিয়াজ, শেখ বাদল সহ ৫ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল । গতকাল তাদের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত । লালবাজার সূত্রের খবর, 19 জুন পর্যন্ত তাদের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি ছিল অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে । সেই দাবি ইতিমধ্যেই পূরণ হয়েছে । তারপর চিকিৎসকদের একটি মহল বলে, গ্রেপ্তার করে লাভ কী, তাদের জামিন পেতে অসুবিধা হবে না । সেই জামিন আটকে দিয়েছে পুলিশ । আদালত ঘটনার তদন্তের জন্য পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছে ।

এই সংক্রান্ত খবর :রণক্ষেত্র NRS, বুধবার রাজ্যজুড়ে OPD বয়কটের ডাক ডাক্তারদের

তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধ্যায় প্রাথমিক ঝামেলার পর বিষয়টি মিটে গেছিল । পরে রাতে যখন মৃতদেহ নিতে যায় পরিবারের লোকজন, তখন জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি ছিল, যে ব্যক্তি তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন তাকে ক্ষমা চাইতে হবে । অভিযোগ, পরিবারের লোকজনের হাতে দেহ তুলে দিতে অস্বীকার করে তারা । সেই সূত্রে বাধে গোলমাল ।

লালবাজার সূত্রে খবর, জুনিয়র ডাক্তার এবং রোগীর পরিজনদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয় । মূলত লাঠিচার্জ করা হয় রোগীর পরিবারের লোকজনের উপর । প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সেই সময় মারমুখী ছিল দু'পক্ষই । পুলিশের দাবি, মৃতের পরিবারের লোকজনকে লাঠিচার্জ করে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল অনেকটাই । পিছনে ছিল জুনিয়র ডাক্তাররা । সেই সময় কোনওভাবে কাছাকাছি চলে আসেন পরিবহ এবং তাঁর এক বন্ধু । তখনই ঘটে যায় ঘটনা ।
প্রাথমিক তদন্তে যা উঠে আসছে তাতে দোষ ছিল দু'পক্ষেরই । যদিও কলকাতা পুলিশের সিনিয়র কর্তা জানাচ্ছেন, ঘটনায় CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে । সেই ফুটেজের বিশ্লেষণ চলছে । তার পরেই বোঝা যাবে কী ভাবে ঘটেছিল ঘটনাটি । এখন প্রশ্ন উঠেছে, আন্দোলনকারীদের দাবি পূরণ হওয়ার পর এবার চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক হবে তো ?

পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ার আশায় বুক বাঁধছে রোগীদের পরিবার ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details