হায়দরাবাদ, 11 মে: নতুন মাইলফলক অর্জন করল ইসরো ৷ অ্যাডিটিভ ম্যানুফ্যাকচারিং (এএম) প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি তরল রকেট ইঞ্জিনের সফল পরীক্ষা করলেন দেশের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা ৷ মাত্র 655 সেকেন্ডের মধ্যে এই পরীক্ষাটি শেষ করেন বিজ্ঞানীরা ৷ পিএসএলভি (পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিক্যাল) এর পিএস4 ইঞ্জিনে এই নতুন তরলটি পরীক্ষা করা হয় ৷
প্রচলিত পদ্ধতিতে নির্মিত এই পিএস4 ইঞ্জিনটি পিএসএলভি-এর চতুর্থ পর্যায়ের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ৷ বায়ুশূন্য অবস্থায় এই ইঞ্জিনের বলপ্রয়োগের ক্ষমতা 7.33 কিলোনিউটন ৷ পিএসএলভি-র প্রথম পর্যায়ের বিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাতেও (রিঅ্যাকশন কন্ট্রোল সিস্টেম) এই ইঞ্জিনটিকে ব্যবহার করা হয় ৷ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, লিকুইড প্রোপালসন সিস্টেম সেন্টার (এলপিএসসি) দ্বারা নির্মিত এই ইঞ্জিনে অক্সিডাইজার হিসেবে নাইট্রোজেন টেট্রোক্সাইড ব্যবহার করা হয় ৷ সেইসঙ্গে প্রেসার-ফেড অবস্থায় জ্বালানী হিসেবে মোনো মিথাইল হাইচড্রেজিন ব্যবহার করা হয়েছে এই ইঞ্জিনে ৷
জানা গিয়েছে, অ্যাডিটিভ ম্যানুফ্যাকচারিং প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য এই ইঞ্জিনটিকে পুনর্গঠন করেছে এলপিএসসি ৷ যার ফলে তরল রকেট ইঞ্জিনের সফল পরীক্ষার ক্ষেত্রে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি ইসরোর বিজ্ঞানীদের ৷ সংস্থার তরফে জানান হয়েছে, নতুন এই ইঞ্জিনে রয়েছে লেজার পাউডার বেড ফিউশন ৷ নয়া এই প্রযুক্তির মাধ্যমে রকেটে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশের সংখ্যা কমানো যাবে ৷
শুধু তাই নয়, বিশেষ এই প্রযুক্তির মাধ্যমে রকেট ইঞ্জিন থেকে ওয়েল্ড জয়েন্টগুলির সংখ্যা কমানো সম্ভব হয়েছে ৷ যার ফলে একদিকে প্রতি ইঞ্জিনে কাঁচামাল ব্যবহারে উল্লেখযোগ্যভাবে সাশ্রয় করা সম্ভব হয়েছে ৷ অন্যদিকে নয়া এই প্রযুক্তির সাহায্যে সামগ্রিক উৎপাদনের সময় কমেছে 60 শতাংশ ৷ সম্পূর্ণ দেশীয় ভাবে তৈরি এই ইঞ্জিনের সফল পরীক্ষা করা হয় ওড়িশার মহেন্দ্রগিড়িতে অবস্থিত ইসরো-র প্রোপালসন কমপ্লেক্সে ৷ উল্লেখ্য, নয়া এই এম পিএস4 ইঞ্জিনটিকে খুব শীঘ্রই পিএসএলভি প্রোগ্রামের অন্তর্ভুক্ত করতে চলেছে ইসরো ৷
আরও পড়ুন:
