ETV Bharat / state

সোশাল মিডিয়ায় ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে প্রেমের নামে প্রতারণা, আত্মঘাতী যুবক

Fake Account in Social Media: সোশাল মিডিয়ার প্রতারণার ফাঁদ ৷ 20 হাজার টাকা চেয়ে একাধিকবার ব্ল্যাকমেল ৷ টাকা দিতে না পেরে আত্মঘাতী ডায়মন্ড হারবারের যুবক ৷

Fake Account in Social Media
প্রেমের নামে প্রতারণা
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 27, 2024, 8:22 PM IST

ডায়মন্ড হারবার, 27 ফেব্রুয়ারি: সোশাল মিডিয়ায় প্রেমের ফাঁদে পড়ে আত্মঘাতী যুবক ৷ মৃতের নাম পবিত্র পাইক (21) ৷ দক্ষিণ 24 পরগনার ডায়মন্ড হারবার থানার অর্ন্তগত পাতড়া এলাকার আগ্নেশ্বরের বাসিন্দা ৷ রবিবার বিকেলে নিশাকে একটি হোয়াটসঅ্যাপে ভয়েস মেসেজ পাঠিয়ে, এর কিছুক্ষণ পরই ওই যুবকের ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ওই যুবক আত্মহত্যা করেছেন ৷ তবে তদন্ত শুরু হয়েছে ৷

পরিবার সূত্রে খবর, মাস ছয়েক আগে ওই যুবকের সোসাল মিডিয়ায় নিশা সরদার নামে একটি মেয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় ৷ সম্পর্ক ক্রমে ভালোবাসায় পরিণত হয় ৷ ফোন নম্বর আদান-প্রদান হয় ৷ এরপরই ওই অ্য়াকাউন্ট থেকে বিভিন্ন ভাবে টাকা চাওয়া হয় পবিত্রও কাছ থেকে ৷ ধাপে ধাপে বেশ কয়েকহাজার টাকা দিয়েছিল ওই যুবক ৷ সম্প্রতি বেশ কয়েকবার পবিত্র নিশাকে বলে দেখা করতে বলে ৷ সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্ট (নিশা) থেকে উত্তর আসে টাকার বিনিময়ে দেখা করতে পারে ৷ শেষ পর্যন্ত দেখা হয়নি ৷

উপরন্তু সোশাল মিডিয়ার নিশা নামের অ্যাকাউন্ট থেকে ওই যুবকের কাছ থেকে 20 হাজার টাকা চাওয়া হয় ৷ পবিত্র সেই টাকা দিতে অস্বীকার করাতেই সমস্যার সৃষ্টি হয় ৷ পবিত্রর ফোন ব্লক করে দেয় নিশা (এই নামেই ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল) ৷ যদিও পরে ওই যুবকের এক আত্মীয় জানায় বাস্তবে নিশা নামের কোনও মেয়ের অস্তিত্ব নেই ৷ রবিবার বিকেলে নিশাকে একটি হোয়াটসঅ্যাপে ভয়েস মেসেজ পাঠায় পবিত্র। এরপরই পবিত্রর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ৷ পরিবারের লোকজন সেটি উদ্ধার করে ডায়মন্ডহারবার জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন ।

মৃতের দাদা সুজিত পাইকের অভিযোগ, "আমার ভাই সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেক অ্যাকাউন্টের জালে জড়িয়ে গিয়েছিল।রবিবার ভাইয়ের কাছে প্রায় 20 হাজার টাকার মতন চাওয়া হয়েছিল ৷ ভাই টাকা না দেওয়ায়, নম্বর ব্লক করে দেয় ৷ সেইসঙ্গে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে । তার জেরেই ভাই আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে ।"

পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ এই প্রসঙ্গেই ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুপান্তর সেনগুপ্ত জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় যে অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে যুবক কথোপকথন করত সেই অ্যাকাউন্ট ইতিমধ্যেই সাইবার ক্রাইমের নজরে আনা হয়েছে। এটি ভুয়ো নাকি আসল তা জানাতে তদন্ত শুরু হয়েছে । পাশাপাশি যে ফোন নম্বরে ওই যুবক টাকা পাঠিয়েছিল সেই নম্বারটি ট্রেস করার চেষ্টা করা হচ্ছে । খুবহ শীঘ্রেই আসল সত্য সামনে আসবে বলে তিনি জানান ৷

আরও পড়ুন:

  1. প্রেমিকাকে খুন করে রান্নাঘরে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ, গ্রেফতার প্রেমিক ও তার দিদি
  2. জমি থেকে উদ্ধার গৃহবধূর রক্তাক্ত মৃতদেহ! খুনের কারণ পারিবারিক বিবাদ না ত্রিকোণ প্রেম?
  3. ত্রিকোণ প্রেমের জের ! স্কুলের লাইব্রেরিতে দুই সহকর্মীকে গুলি করে আত্মহত্যার চেষ্টা শিক্ষকের

ডায়মন্ড হারবার, 27 ফেব্রুয়ারি: সোশাল মিডিয়ায় প্রেমের ফাঁদে পড়ে আত্মঘাতী যুবক ৷ মৃতের নাম পবিত্র পাইক (21) ৷ দক্ষিণ 24 পরগনার ডায়মন্ড হারবার থানার অর্ন্তগত পাতড়া এলাকার আগ্নেশ্বরের বাসিন্দা ৷ রবিবার বিকেলে নিশাকে একটি হোয়াটসঅ্যাপে ভয়েস মেসেজ পাঠিয়ে, এর কিছুক্ষণ পরই ওই যুবকের ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ওই যুবক আত্মহত্যা করেছেন ৷ তবে তদন্ত শুরু হয়েছে ৷

পরিবার সূত্রে খবর, মাস ছয়েক আগে ওই যুবকের সোসাল মিডিয়ায় নিশা সরদার নামে একটি মেয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় ৷ সম্পর্ক ক্রমে ভালোবাসায় পরিণত হয় ৷ ফোন নম্বর আদান-প্রদান হয় ৷ এরপরই ওই অ্য়াকাউন্ট থেকে বিভিন্ন ভাবে টাকা চাওয়া হয় পবিত্রও কাছ থেকে ৷ ধাপে ধাপে বেশ কয়েকহাজার টাকা দিয়েছিল ওই যুবক ৷ সম্প্রতি বেশ কয়েকবার পবিত্র নিশাকে বলে দেখা করতে বলে ৷ সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্ট (নিশা) থেকে উত্তর আসে টাকার বিনিময়ে দেখা করতে পারে ৷ শেষ পর্যন্ত দেখা হয়নি ৷

উপরন্তু সোশাল মিডিয়ার নিশা নামের অ্যাকাউন্ট থেকে ওই যুবকের কাছ থেকে 20 হাজার টাকা চাওয়া হয় ৷ পবিত্র সেই টাকা দিতে অস্বীকার করাতেই সমস্যার সৃষ্টি হয় ৷ পবিত্রর ফোন ব্লক করে দেয় নিশা (এই নামেই ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল) ৷ যদিও পরে ওই যুবকের এক আত্মীয় জানায় বাস্তবে নিশা নামের কোনও মেয়ের অস্তিত্ব নেই ৷ রবিবার বিকেলে নিশাকে একটি হোয়াটসঅ্যাপে ভয়েস মেসেজ পাঠায় পবিত্র। এরপরই পবিত্রর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ৷ পরিবারের লোকজন সেটি উদ্ধার করে ডায়মন্ডহারবার জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন ।

মৃতের দাদা সুজিত পাইকের অভিযোগ, "আমার ভাই সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেক অ্যাকাউন্টের জালে জড়িয়ে গিয়েছিল।রবিবার ভাইয়ের কাছে প্রায় 20 হাজার টাকার মতন চাওয়া হয়েছিল ৷ ভাই টাকা না দেওয়ায়, নম্বর ব্লক করে দেয় ৷ সেইসঙ্গে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে । তার জেরেই ভাই আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে ।"

পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ এই প্রসঙ্গেই ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুপান্তর সেনগুপ্ত জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় যে অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে যুবক কথোপকথন করত সেই অ্যাকাউন্ট ইতিমধ্যেই সাইবার ক্রাইমের নজরে আনা হয়েছে। এটি ভুয়ো নাকি আসল তা জানাতে তদন্ত শুরু হয়েছে । পাশাপাশি যে ফোন নম্বরে ওই যুবক টাকা পাঠিয়েছিল সেই নম্বারটি ট্রেস করার চেষ্টা করা হচ্ছে । খুবহ শীঘ্রেই আসল সত্য সামনে আসবে বলে তিনি জানান ৷

আরও পড়ুন:

  1. প্রেমিকাকে খুন করে রান্নাঘরে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ, গ্রেফতার প্রেমিক ও তার দিদি
  2. জমি থেকে উদ্ধার গৃহবধূর রক্তাক্ত মৃতদেহ! খুনের কারণ পারিবারিক বিবাদ না ত্রিকোণ প্রেম?
  3. ত্রিকোণ প্রেমের জের ! স্কুলের লাইব্রেরিতে দুই সহকর্মীকে গুলি করে আত্মহত্যার চেষ্টা শিক্ষকের
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.