ধুবুলিয়া, 12 এপ্রিল: হোটেলের ঘরে যুবকের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ৷ দেহ আটকে বিক্ষোভ দেখাল স্থানীয়রা ৷ শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে, নদিয়ার ধুবুলিয়া থানার সিংহাটিতে 34 নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে অবস্থিত একটি হোটেলে ৷ অভিযোগ ওই হোটেলে দেহব্যবসা ও মাদক কারবারের মতো বেআইনি কাজকর্ম হয় ৷ আর ওই যুবকের মৃত্যু সেই বেআইনি কাজকর্মের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের ৷ যার প্রতিবাদে ওই হোটেলে ভাঙচুর ও 34 নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয় ৷
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সিংহাটি এলাকায় একাধিক হোটেলে মধুচক্র চালানো হচ্ছে ৷ সঙ্গে মাদক কারবার চলছে ৷ পুলিশ পুরো বিষয়টি জানা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ৷ এমনকি প্রায়শই হোটেলগুলিতে সমাজবিরোধীদের আনাগোনা লেগে থাকে ৷ আর দেহ উদ্ধারের মতো ঘটনা আকছাড় ঘটে চলেছে ৷ কিন্তু, প্রতিবার পুলিশ বিষয়টিকে ধামাচাপা দিয়ে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ স্থানীয়দের দাবি, আজকের ঘটনা যে হোটেলে ঘটেছে, সেটি কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির ৷ ফলে পুলিশ সব জেনেও চুপ করে থাকে ৷
তবে, আজ যুবকের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয় ৷ সকাল থেকেই স্থানীয়রা জমায়েত শুরু করে হোটেলের গেটের সামনে ৷ এরপর জোর করে ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর চালানো হয় ৷ 34 নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে উত্তেজিত জনতা ৷ যার জেরে যানজট তৈরি হয় সেখানে ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে ধুবুলিয়া ও আশেপাশের থানা থেকে বাহিনী পাঠানো হয় ৷ পুলিশ দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে, এই ইস্যুতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে, বিক্ষোভ তুলে নেয় ৷
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হালিম শেখ বলেন, "এই হোটেলের দীর্ঘদিন ধরেই মাদকের ব্যবসা চলে ৷ পাশাপাশি মধুচক্রের চলে এই হোটেলে ৷ পুলিশের নাকের ডগায় কীভাবে একটা হোটেলে এই বেআইনি কাজ চলছে ?"
ঘটনার নিন্দা করে নদিয়া জেলা যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মনসুর শেখ বলেন, "প্রশাসন তাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গ দিয়ে বিষয়টি দেখছে ৷ একটি হোটেলের মধ্যে এই ধরনের খুনের ঘটনা কিছুতেই প্রশ্রয় দেওয়া যায় না ৷ সাধারণ মানুষ ইতিমধ্যেই উত্তেজিত হয়ে হোটেল ভাঙচুর এবং জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছে ৷ আমরা চাই এই ঘটনায় যারা অভিযুক্ত, তারা গ্রেফতার হোক ৷"
আরও পড়ুন: