কৃষ্ণনগর, 29 এপ্রিল: তীব্র গরমে আদালতের এজলাসেই মৃত্যু হল এক যুবকের । ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণনগর জেলা ও দায়রা আদালতে । মৃত যুবকের নাম মেহবুব হাসান মোল্লা । বয়স আনুমানিক 36 বছর ।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো সোমবারও কৃষ্ণনগর জেলা ও দায়রা আদালতে মামলার শুনানি চলছিল । এজলাসে হাজির ছিলেন মেহবুব হাসান মোল্লা ৷ যুবক তাঁর কাকার সঙ্গে কোনও একটি মামলায় সাক্ষী দিতে এসেছিলেন । আদালতের চতুর্থতলায় যখন এজলাসে সেই মামলার কাজকর্ম চলছিল ঠিক তখন একটি দেওয়ালের সঙ্গে হঠাৎ হেলান দিয়ে মাথা নীচু করে ফেলেন ওই যুবক । তাঁর অসুস্থ হওয়ার বিষয়টি আদালতের আইনজীবীরা বুঝতে পারেন ৷ তাঁকে তড়িঘড়ি অন্য একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে জল দিয়ে সুস্থ করার চেষ্টা করা হয় । এরপর আদালতের বিভিন্ন কর্মীদের সাহায্যে যুবককে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয় । তবে হাসপাতালের চিকিৎসকরা যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন ।
পরিবার সূত্রে খবর, মৃত যুবকের বাড়ি কৃষ্ণনগরের আনন্দবাস এলাকায় । যুবকের কাকা সাহাফুল মোল্লা বলেন, "ভাইপো চারতলায় সাক্ষী দিতে গিয়েছিল । আমি নীচে দাঁড়িয়ে ছিলাম । ফোনে এক আইনজীবী মারফত জানতে পারি, ভাইপোর শরীর খারাপ হয়েছে । তড়িঘড়ি আমি নিজেও উপরে যাই । এরপর পুলিশ এবং আইনজীবীদের সাহায্যে আমার ভাইপোকে হাসপাতালে নিয়ে আসি । সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ।"
অন্যদিকে কৃষ্ণনগর আদালতের আইনজীবী অমরেশ প্রামাণিকের কথায়, "আমাদের আদালতেরই কিছু কর্মী যুবকের শারীরিক অসুস্থতার বিষয়টি বুঝতে পারেন । এরপরই তড়িঘড়ি আমরা ওকে অন্য ঘরে নিয়ে যাই এবং জল দিয়ে সুস্থ করার চেষ্টা করি । পরবর্তীকালে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । আর সেখানেই যুবককে মৃত বলে জানানো হয়।" তবে আইনজীবী এবং যুবকের পরিবারের প্রাথমিক অনুমান, তীব্র গরমের সানস্ট্রোকের কারণেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে । তবে ময়নাতদন্তে রিপোর্ট হাতে এলেই নিশ্চিত হওয়া যাবে, আসলে কী কারণে যুবকের মৃত্যু হল ।
আরও পড়ুন: