ETV Bharat / state

বাঘাযতীনে চারতলা ফ্ল্যাটবাড়ি হেলে পড়ার ঘটনায় রিপোর্টে মিলল না জলাভূমির হদিস - BAGHAJATIN BUILDING COLLAPSE

বাঘাযতীনে চারতলা ফ্ল্যাটবাড়ি হেলে পড়া ঘটনার রিপোর্ট জমা পড়ল ৷ তদন্ত করে বিল্ডিং বিভাগ যে রিপোর্ট জমা করেছে, তাতে 7টি মূল বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে।

BAGHAJATIN BUILDING COLLAPSE
বাঘাযতীনে হেলে পড়া চারতলা ফ্ল্যাটবাড়ি (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 22, 2025, 9:06 AM IST

কলকাতা, 22 জানুয়ারি: বাঘাযতীনে চারতলা ফ্ল্যাটবাড়ি হেলে পড়া ঘটনার 7 দিনের মাথায় বিল্ডিং বিভাগের ডিজি চুড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিলেন পুর কমিশনারের টেবিলে। রিপোর্টে বিপর্যয়ের 7টি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে ৷ এর মূল বিষয়টি হল ওই চারতলা ফ্ল্যাটবাড়ি যেখানে তৈরি হয়েছে, তার রেকর্ডে জলাভূমি বলে কোনও উল্লেখ নেই। জমি হিসেবে উল্লেখ রয়েছে ৷

গত মঙ্গলবার দুপুরে বাঘাযতীনে আচমকাই হেলে পড়ে একটি চারতলা ফ্ল্যাটবাড়ি । সন্ধ্যা গড়াতেই সেই ফ্ল্যাট ভাঙার কাজ শুরু করে দেয় কলকাতা পুরসভা । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল, পুরসভা এবং পুলিশ । ঘটনার দিন থেকেই বিল্ডিং বিভাগের ডিজি'র নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞদের মতামত বিভিন্ন বিষয় পরীক্ষা করে। এরপর প্রাথমিকভাবে একটি রিপোর্ট জমা করেন। তবে 7 দিনের মাথায় এই ঘটনার তদন্ত করে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা করল বিল্ডিং বিভাগ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলকাতা পুর কমিশনের ধবল জৈনের নেতৃত্বে এই রিপোর্ট জমা পড়েছে বলেই খবর কলকাতা কর্পোরেশন সূত্রে। পৌর কমিশনারের পর্যবেক্ষণের পর সেই রিপোর্ট যাবে কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে।

কলকাতা কর্পোরেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্ত করে বিল্ডিং বিভাগ যে রিপোর্ট জমা করেছে তাতে 7টি মূল বিষয়ের উল্লেখ আছে। সেগুলি হল, পুর আইনের তোয়াক্কা না-করেই প্রোমোটারের বেপরোয়া কর্মকান্ডের জেরে বিপত্তি। তবে জলাজমি ভর্তি করে চারতলা এই ফ্ল্যাটবাড়ি তৈরির যে অভিযোগ উঠেছিল, রিপোর্টে জলাভূমির কোনও হদিস নেই। কেন্দ্রের ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং এজেন্সি-র ম্যাপ অনুসারে ওই জায়গায় জলাভূমি ছিল না। তবে ওই বহুতলটি সম্পূর্ণ অবৈধভাবে তৈরি হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে ৷

কোনও নকশা অনুমোদন যেমন করেনি, ঠিক তেমনই যে নকশার ভিত্তিতে বিল্ডিংটি তৈরি হয়েছে, তার হদিস মেলেনি। বাড়ি তৈরির সময় স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারের বাধ্যতামূলকভাবে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু এই বিল্ডিং তৈরির ক্ষেত্রে তা নেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, হেলে পড়া বাড়ি সোজা করতে গেলে আগে মাটির পরীক্ষা করতে হয়, সেটা না-করেই হরিয়ানার একটি সংস্থাকে দিয়ে কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছিল। লিফটিং-এর কাজে যে যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল, তা ছিল নিম্নমানের। বাড়ি লিফটিং করা আগে বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়, এক্ষেত্রে সে সব কিছুর তোয়াক্কা করা হয়নি। এ কাজ করতে গেলে সর্বদাই উপস্থিত থাকতে হয় স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারকে ৷ এক্ষেত্রে শুরু থেকেই তিনি ছিলেন না।

কলকাতা, 22 জানুয়ারি: বাঘাযতীনে চারতলা ফ্ল্যাটবাড়ি হেলে পড়া ঘটনার 7 দিনের মাথায় বিল্ডিং বিভাগের ডিজি চুড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিলেন পুর কমিশনারের টেবিলে। রিপোর্টে বিপর্যয়ের 7টি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে ৷ এর মূল বিষয়টি হল ওই চারতলা ফ্ল্যাটবাড়ি যেখানে তৈরি হয়েছে, তার রেকর্ডে জলাভূমি বলে কোনও উল্লেখ নেই। জমি হিসেবে উল্লেখ রয়েছে ৷

গত মঙ্গলবার দুপুরে বাঘাযতীনে আচমকাই হেলে পড়ে একটি চারতলা ফ্ল্যাটবাড়ি । সন্ধ্যা গড়াতেই সেই ফ্ল্যাট ভাঙার কাজ শুরু করে দেয় কলকাতা পুরসভা । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল, পুরসভা এবং পুলিশ । ঘটনার দিন থেকেই বিল্ডিং বিভাগের ডিজি'র নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞদের মতামত বিভিন্ন বিষয় পরীক্ষা করে। এরপর প্রাথমিকভাবে একটি রিপোর্ট জমা করেন। তবে 7 দিনের মাথায় এই ঘটনার তদন্ত করে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা করল বিল্ডিং বিভাগ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলকাতা পুর কমিশনের ধবল জৈনের নেতৃত্বে এই রিপোর্ট জমা পড়েছে বলেই খবর কলকাতা কর্পোরেশন সূত্রে। পৌর কমিশনারের পর্যবেক্ষণের পর সেই রিপোর্ট যাবে কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে।

কলকাতা কর্পোরেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্ত করে বিল্ডিং বিভাগ যে রিপোর্ট জমা করেছে তাতে 7টি মূল বিষয়ের উল্লেখ আছে। সেগুলি হল, পুর আইনের তোয়াক্কা না-করেই প্রোমোটারের বেপরোয়া কর্মকান্ডের জেরে বিপত্তি। তবে জলাজমি ভর্তি করে চারতলা এই ফ্ল্যাটবাড়ি তৈরির যে অভিযোগ উঠেছিল, রিপোর্টে জলাভূমির কোনও হদিস নেই। কেন্দ্রের ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং এজেন্সি-র ম্যাপ অনুসারে ওই জায়গায় জলাভূমি ছিল না। তবে ওই বহুতলটি সম্পূর্ণ অবৈধভাবে তৈরি হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে ৷

কোনও নকশা অনুমোদন যেমন করেনি, ঠিক তেমনই যে নকশার ভিত্তিতে বিল্ডিংটি তৈরি হয়েছে, তার হদিস মেলেনি। বাড়ি তৈরির সময় স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারের বাধ্যতামূলকভাবে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু এই বিল্ডিং তৈরির ক্ষেত্রে তা নেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, হেলে পড়া বাড়ি সোজা করতে গেলে আগে মাটির পরীক্ষা করতে হয়, সেটা না-করেই হরিয়ানার একটি সংস্থাকে দিয়ে কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছিল। লিফটিং-এর কাজে যে যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল, তা ছিল নিম্নমানের। বাড়ি লিফটিং করা আগে বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়, এক্ষেত্রে সে সব কিছুর তোয়াক্কা করা হয়নি। এ কাজ করতে গেলে সর্বদাই উপস্থিত থাকতে হয় স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারকে ৷ এক্ষেত্রে শুরু থেকেই তিনি ছিলেন না।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.