ETV Bharat / state

লক্ষ্য ছাব্বিশের ভোট! কলকাতার নাগরিক মন জিততে তৃণমূলের হাতিয়ার জনমুখী পুর বাজেট - KOLKATA MUNICIPAL CORPORATION

পরপর তিন বছরের ঘাটতি সত্ত্বেও নাগরিকদের মন রাখতে বিভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দ বৃদ্ধি ৷

KOLKATA MUNICIPAL CORPORATION
কলকাতা পুরনিগম (ফাইল ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 22, 2025, 8:46 PM IST

কলকাতা, 22 ফেব্রুয়ারি: বছরখানেক পরই রাজ্যে বিধানসভা ভোটের দামামা বেজে যাবে ৷ তাই পরপর তিন বছরের ঘাটতি সত্ত্বেও জনমুখী বাজেটের দিকেই মন দিয়েছে কলকাতা পুরনিগম ৷ 2025-26 অর্থবর্ষের জন্য যে বাজেট পেশ করা হয়েছে, সেখানে পুর-পরিষেবার মান বৃদ্ধির দিকেই নজর দেওয়া হয়েছে ৷ সেই কারণেই বরাদ্দ বেড়েছে পানীয় জল সরবরাহ থেকে শুরু করে জঞ্জাল সাফাই, বস্তি উন্নয়ন থেকে রাস্তা নির্মাণ, আলোক সজ্জা থেকে পার্কিং একাধিক খাতে ।

আগামী অর্থবর্ষে কলকাতা পুরনিগমের ঘাটতির পরিমাণ হতে পারে প্রায় 114 কোটি টাকা ৷ 2023-24 ও 2024-25 আর্থিক বছরেও কর্পোরেশনের ঘাটতির মধ্যে দিয়েই চলেছে ৷ এই দুই অর্থবর্ষে পুরনিগমের ঘাটতির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে 146 কোটি ও 112 কোটি ৷

Kolkata Municipal Corporation
কলকাতা পুরনিগমের অধিবেশন (নিজস্ব ছবি)

তবে কোষাগারের হাল যেমনই থাক, তার জেরে যাতে মনক্ষুন্ন না হন নাগরিক মহল, সেদিকে নজর দিয়েছে বর্তমান তৃণমূল পরিচালিত বোর্ড । ফলে পানীয় জলের সমস্যা সমাধান, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত, রাস্তার হাল ফেরানো বা নিকাশি উন্নত মানের করে জমা জলের যন্ত্রণা মুক্তি দিতে চেয়েছেন ফিরহাদ । আর শহুরে নাগরিকদের এমন গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা পেলে তার প্রভাব পড়বে ভোট ব্যাংকে । 26-এর বিধানসভা নির্বাচনে কলকাতার আসনগুলি ধরে রাখতে পুর বাজেট তাই বড় হাতিয়ার তৃণমূলের ।

একনজরে দেখে নেওয়া যাক কোন কোন পরিষেবায় বরাদ্দ বেড়েছে এবং কত বরাদ্দ হয়েছে -

  • পানীয় জল: বরাদ্দ হয়েছে প্রায় 455 কোটি টাকা । গত বছর ছিল 445 কোটি টাকার কাছে ।
  • নিকাশি উন্নয়ন ও পরিষেবা: গত বছর বাজেট ধরা হয়েছিল 335 কোটি টাকা, 25-26 অর্থবর্ষে সেই বাজেট বেড়ে হয়েছে 352 কোটি টাকার বেশি ।
  • রাস্তা: গত অর্থবর্ষে 318 কোটি বরাদ্দ করা হয়েছিল । এই অর্থবর্ষে বেড়ে হয়েছে 325 কোটি টাকা ।
  • জঞ্জাল সাফাই: 666 কোটির কিছু বেশি টাকা । এই বাজেটে বেড়ে সেই বরাদ্দ দাঁড়িয়েছে 686 কোটি টাকার বেশি ।
  • শিক্ষা: গতবার ছিল 52 কোটি টাকার কিছু বেশি । এই বাজেটে 59 কোটির কিছু বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে ।
  • বস্তি উন্নয়ন: 232 কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল গতবার । এবার সেই বরাদ্দ বেড়ে হয়েছে 249 কোটি টাকার বেশি ।

প্রায় 45 লাখ মানুষের বসবাস এই শহরে । তাদের সব রকমের পুর পরিষেবা দিয়ে থাকে কলকাতা কর্পোরেশন । এই বাজেটে প্রতি নাগরিকের পর্যাপ্ত পানীয় জল, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নতমানের, নিরাপত্তার স্বার্থে আলোকায়ন, রাস্তা, বস্তিবাসীদের উন্নত পরিষেবা প্রদান, দারিদ্র্য দূরীকরণ, সমাজকল্যাণমূলক কাজ নজর দেওয়া হয়েছে । বৃক্ষরোপণ, ঐতিহ্যশালী স্থাপনা রক্ষায় প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে ।

কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘নাগরিকদের স্বার্থরক্ষা উন্নত পরিষেবা প্রদান মূল লক্ষ্য । আয় বৃদ্ধি করে ব্যয়ের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা চালানো হচ্ছে ।’’ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বকেয়া মেটানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি । পাশাপাশি অহেতুক খরচে লাগাম দেওয়া থেকে অগ্রাধিকার ও প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে খরচ করার পক্ষে সওয়াল করেছেন । রাজ্যের ও কেন্দ্রের অনুদান সঠিক ব্যবহার করার কথা জানান ।

যদিও কেন্দ্রীয় অনুদান সংক্রান্ত বিষয়টি অসঙ্গতি রয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে ৷ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অনুদান বা আর্থিক সাহায্যের সম্পূর্ণ তথ্য বাজেটে উল্লেখ করেনি কলকাতা কর্পোরেশন । টালিনালা প্রকল্প কেন্দ্রের অনুদান থাকলেও সেই সংস্কার কাজ রাজ্যের অনুদানে বলে বারবার দাবি করে এসেছে কলকাতা পুরনিগম । সেই খাতে বরাদ্দ বা খরচ কোনোটি দেখানো হয়নি । নদীপাড় সংস্কার খাতেও শূন্য বরাদ্দ ও খরচ ৷

Kolkata Municipal Corporation
কলকাতা পুরনিগমের অধিবেশন (নিজস্ব ছবি)

এছাড়া অম্রুত প্রকল্পে বড় অঙ্কের টাকা অনুদান মিললেও বাজেটে উল্লেখ আছে মাত্র 20 কোটি টাকার । গত অর্থবর্ষেও সেই সংখ্যাটি একই ছিল । একই ভাবে গ্রিন সিটি মিশনেও খরচ ও বরাদ্দ শূন্য দেখানো হয়েছে । পাশাপাশি স্বচ্ছ ভারত মিশন খাতে 20 লাখ বরাদ্দ দেখানো হয়েছে । পঞ্চদশ অর্থ কমিশন থেকে স্বাস্থ্য খাতে অনুদান পেয়েছে কর্পোরেশন, যার পরিমাণ 13.50 কোটি টাকা । গত বছর 11 কোটি টাকা পেয়েছিল ।

পঞ্চদশ অর্থ কমিশন থেকে অনুদান 750 কোটি টাকা ছিল গত অর্থবর্ষে ৷ এবার সেই টাকার অঙ্ক কমে 550 কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে । 200 কোটি টাকা কম অনুদান পেয়েছে এবার । প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা খাতে 20 কোটি টাকা বরাদ্দ উল্লেখ রয়েছে বাজেটে । 10 লাখ টাকা নির্ভয়া ফান্ডের তরফে এসেছে ৷ আলোকায়নের জন্য টাকা পেয়েছে কলকাতা কর্পোরেশন ।

ফলে বাজেট নিয়ে পুর কর্তৃপক্ষের সমালোচনায় সরব হয়েছে সিপিএম ও বিজেপি ৷

বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা করে থাকে কলকাতা কর্পোরেশনকে । কিন্তু নির্লজ্জভাবে কলকাতা কর্পোরেশন কেন্দ্রের সেই অনুদান বা সহায়তা পুঙ্খানুপুঙ্খ উল্লেখ করে না । সিংহভাগই রাজ্যের দেওয়া অনুদান বলে চালানোর চেষ্টা করে । চেপে না ধরলে বাজেট অধিবেশনে নির্দিষ্ট করে তথ্য না চাইলে কখনোই কেন্দ্রের সাহায্যের কথা স্বীকার করে না এই তৃণমূল । এরা অকৃতজ্ঞ ।’’

বামফ্রন্ট কাউন্সিলর তথা কলকাতা কর্পোরেশনের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান মধুছন্দ দেব বলেন, ‘‘1 লক্ষ 2 লক্ষ টাকা নয় কোটি কোটি টাকা কেন্দ্রের কাছ থেকে কলকাতা পুরসভা অনুদান বাবদ পায় । ঠিক কত টাকা পেয়েছে একটি অর্থবর্ষে, সেই টাকা কোন খাতে কতটা খরচ করতে পেরেছে, কতটা ফেরত গিয়েছে অথবা কতটা টাকা আছে, এর কোথাও কোনও নির্দিষ্ট উল্লেখ নেই । আমরা বাজেটের উপর আলোচনায় সেই জবাবদিহি করতে বলব মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে ৷’’

কলকাতা, 22 ফেব্রুয়ারি: বছরখানেক পরই রাজ্যে বিধানসভা ভোটের দামামা বেজে যাবে ৷ তাই পরপর তিন বছরের ঘাটতি সত্ত্বেও জনমুখী বাজেটের দিকেই মন দিয়েছে কলকাতা পুরনিগম ৷ 2025-26 অর্থবর্ষের জন্য যে বাজেট পেশ করা হয়েছে, সেখানে পুর-পরিষেবার মান বৃদ্ধির দিকেই নজর দেওয়া হয়েছে ৷ সেই কারণেই বরাদ্দ বেড়েছে পানীয় জল সরবরাহ থেকে শুরু করে জঞ্জাল সাফাই, বস্তি উন্নয়ন থেকে রাস্তা নির্মাণ, আলোক সজ্জা থেকে পার্কিং একাধিক খাতে ।

আগামী অর্থবর্ষে কলকাতা পুরনিগমের ঘাটতির পরিমাণ হতে পারে প্রায় 114 কোটি টাকা ৷ 2023-24 ও 2024-25 আর্থিক বছরেও কর্পোরেশনের ঘাটতির মধ্যে দিয়েই চলেছে ৷ এই দুই অর্থবর্ষে পুরনিগমের ঘাটতির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে 146 কোটি ও 112 কোটি ৷

Kolkata Municipal Corporation
কলকাতা পুরনিগমের অধিবেশন (নিজস্ব ছবি)

তবে কোষাগারের হাল যেমনই থাক, তার জেরে যাতে মনক্ষুন্ন না হন নাগরিক মহল, সেদিকে নজর দিয়েছে বর্তমান তৃণমূল পরিচালিত বোর্ড । ফলে পানীয় জলের সমস্যা সমাধান, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত, রাস্তার হাল ফেরানো বা নিকাশি উন্নত মানের করে জমা জলের যন্ত্রণা মুক্তি দিতে চেয়েছেন ফিরহাদ । আর শহুরে নাগরিকদের এমন গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা পেলে তার প্রভাব পড়বে ভোট ব্যাংকে । 26-এর বিধানসভা নির্বাচনে কলকাতার আসনগুলি ধরে রাখতে পুর বাজেট তাই বড় হাতিয়ার তৃণমূলের ।

একনজরে দেখে নেওয়া যাক কোন কোন পরিষেবায় বরাদ্দ বেড়েছে এবং কত বরাদ্দ হয়েছে -

  • পানীয় জল: বরাদ্দ হয়েছে প্রায় 455 কোটি টাকা । গত বছর ছিল 445 কোটি টাকার কাছে ।
  • নিকাশি উন্নয়ন ও পরিষেবা: গত বছর বাজেট ধরা হয়েছিল 335 কোটি টাকা, 25-26 অর্থবর্ষে সেই বাজেট বেড়ে হয়েছে 352 কোটি টাকার বেশি ।
  • রাস্তা: গত অর্থবর্ষে 318 কোটি বরাদ্দ করা হয়েছিল । এই অর্থবর্ষে বেড়ে হয়েছে 325 কোটি টাকা ।
  • জঞ্জাল সাফাই: 666 কোটির কিছু বেশি টাকা । এই বাজেটে বেড়ে সেই বরাদ্দ দাঁড়িয়েছে 686 কোটি টাকার বেশি ।
  • শিক্ষা: গতবার ছিল 52 কোটি টাকার কিছু বেশি । এই বাজেটে 59 কোটির কিছু বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে ।
  • বস্তি উন্নয়ন: 232 কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল গতবার । এবার সেই বরাদ্দ বেড়ে হয়েছে 249 কোটি টাকার বেশি ।

প্রায় 45 লাখ মানুষের বসবাস এই শহরে । তাদের সব রকমের পুর পরিষেবা দিয়ে থাকে কলকাতা কর্পোরেশন । এই বাজেটে প্রতি নাগরিকের পর্যাপ্ত পানীয় জল, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নতমানের, নিরাপত্তার স্বার্থে আলোকায়ন, রাস্তা, বস্তিবাসীদের উন্নত পরিষেবা প্রদান, দারিদ্র্য দূরীকরণ, সমাজকল্যাণমূলক কাজ নজর দেওয়া হয়েছে । বৃক্ষরোপণ, ঐতিহ্যশালী স্থাপনা রক্ষায় প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে ।

কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘নাগরিকদের স্বার্থরক্ষা উন্নত পরিষেবা প্রদান মূল লক্ষ্য । আয় বৃদ্ধি করে ব্যয়ের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা চালানো হচ্ছে ।’’ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বকেয়া মেটানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি । পাশাপাশি অহেতুক খরচে লাগাম দেওয়া থেকে অগ্রাধিকার ও প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে খরচ করার পক্ষে সওয়াল করেছেন । রাজ্যের ও কেন্দ্রের অনুদান সঠিক ব্যবহার করার কথা জানান ।

যদিও কেন্দ্রীয় অনুদান সংক্রান্ত বিষয়টি অসঙ্গতি রয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে ৷ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অনুদান বা আর্থিক সাহায্যের সম্পূর্ণ তথ্য বাজেটে উল্লেখ করেনি কলকাতা কর্পোরেশন । টালিনালা প্রকল্প কেন্দ্রের অনুদান থাকলেও সেই সংস্কার কাজ রাজ্যের অনুদানে বলে বারবার দাবি করে এসেছে কলকাতা পুরনিগম । সেই খাতে বরাদ্দ বা খরচ কোনোটি দেখানো হয়নি । নদীপাড় সংস্কার খাতেও শূন্য বরাদ্দ ও খরচ ৷

Kolkata Municipal Corporation
কলকাতা পুরনিগমের অধিবেশন (নিজস্ব ছবি)

এছাড়া অম্রুত প্রকল্পে বড় অঙ্কের টাকা অনুদান মিললেও বাজেটে উল্লেখ আছে মাত্র 20 কোটি টাকার । গত অর্থবর্ষেও সেই সংখ্যাটি একই ছিল । একই ভাবে গ্রিন সিটি মিশনেও খরচ ও বরাদ্দ শূন্য দেখানো হয়েছে । পাশাপাশি স্বচ্ছ ভারত মিশন খাতে 20 লাখ বরাদ্দ দেখানো হয়েছে । পঞ্চদশ অর্থ কমিশন থেকে স্বাস্থ্য খাতে অনুদান পেয়েছে কর্পোরেশন, যার পরিমাণ 13.50 কোটি টাকা । গত বছর 11 কোটি টাকা পেয়েছিল ।

পঞ্চদশ অর্থ কমিশন থেকে অনুদান 750 কোটি টাকা ছিল গত অর্থবর্ষে ৷ এবার সেই টাকার অঙ্ক কমে 550 কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে । 200 কোটি টাকা কম অনুদান পেয়েছে এবার । প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা খাতে 20 কোটি টাকা বরাদ্দ উল্লেখ রয়েছে বাজেটে । 10 লাখ টাকা নির্ভয়া ফান্ডের তরফে এসেছে ৷ আলোকায়নের জন্য টাকা পেয়েছে কলকাতা কর্পোরেশন ।

ফলে বাজেট নিয়ে পুর কর্তৃপক্ষের সমালোচনায় সরব হয়েছে সিপিএম ও বিজেপি ৷

বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা করে থাকে কলকাতা কর্পোরেশনকে । কিন্তু নির্লজ্জভাবে কলকাতা কর্পোরেশন কেন্দ্রের সেই অনুদান বা সহায়তা পুঙ্খানুপুঙ্খ উল্লেখ করে না । সিংহভাগই রাজ্যের দেওয়া অনুদান বলে চালানোর চেষ্টা করে । চেপে না ধরলে বাজেট অধিবেশনে নির্দিষ্ট করে তথ্য না চাইলে কখনোই কেন্দ্রের সাহায্যের কথা স্বীকার করে না এই তৃণমূল । এরা অকৃতজ্ঞ ।’’

বামফ্রন্ট কাউন্সিলর তথা কলকাতা কর্পোরেশনের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান মধুছন্দ দেব বলেন, ‘‘1 লক্ষ 2 লক্ষ টাকা নয় কোটি কোটি টাকা কেন্দ্রের কাছ থেকে কলকাতা পুরসভা অনুদান বাবদ পায় । ঠিক কত টাকা পেয়েছে একটি অর্থবর্ষে, সেই টাকা কোন খাতে কতটা খরচ করতে পেরেছে, কতটা ফেরত গিয়েছে অথবা কতটা টাকা আছে, এর কোথাও কোনও নির্দিষ্ট উল্লেখ নেই । আমরা বাজেটের উপর আলোচনায় সেই জবাবদিহি করতে বলব মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে ৷’’

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.