ETV Bharat / state

শিলিগুড়িতে ডাইনি অপবাদে গণপিটুনিতে খুন গৃহবধূ, গ্রেফতার 3 - Woman lynched in Siliguri

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 4, 2024, 8:01 PM IST

Woman lynched in Siliguri: ফুলবাড়ির পর এবার ফাঁসিদেওয়ায় ডাইনি অপবাদে এলাকাবাসীদের সঙ্গে মিলে গৃহবধূকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করল পরিবার ৷ এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ৷ পুলিশ এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ৷

ETV BHARAT
ডাইনি অপবাদে গণপিটুনিতে গৃহবধূ খুনে গ্রেফতার 3 (নিজস্ব চিত্র)

দার্জিলিং, 4 জুলাই: ফুলবাড়ির বকরাভিটার পর এবার ফাঁসিদেওয়া ব্লক । ডাইনি অপবাদে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল ৷ এলাকাবাসীর সঙ্গে মিলে মৃতার পরিবারের সদস্যরা এই কাজ করেছেন বলে অভিযোগ । বৃহস্পতিবার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায় । প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও । এই ঘটনায় তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশ ।

ধৃতদের বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক জামিনের আবেদন খারিজ করে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন । এ বিষয়ে দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশ বলেন, "অভিযোগ পেতেই তিনজনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে । ধৃতদের মধ্যে দু'জন মৃতার ননদ ও একজন মৃতার স্বামীর প্রথম পক্ষের স্ত্রী । এই ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন জড়িত রয়েছে । তাদের তল্লাশি শুরু হয়েছে । সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।"

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফাঁসিদেওয়া ব্লকের পেটকির জজটোলা এলাকায় । ওই গ্রামের বাসিন্দা চুন্ডা সোরেন নামে এক ব্যক্তির 20 দিন আগে মৃত্যু হয় । চুন্ডা সোরেন স্থানীয় একটি চা বাগানে শ্রমিকের কাজ করতেন । চুন্ডা সোরেনের মৃত্যুর জন্য তাঁর স্ত্রীকে দায়ী করেন পরিবারের সদস্যরা । প্রথমে কিছু না-বললেও স্বামীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হতেই পরিবারের সদস্যরা ওই গৃহবধূকে ডাইনি অপবাদ দিয়ে মারধর শুরু করেন । পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মারধরে এলাকাবাসীরাও সামিল হন বলে অভিযোগ ।

অভিযোগ, ওই মহিলাকে চা গাছ কাটার অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয় । গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে 29 জুন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । টানা পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর বুধবার মাঝরাতে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয় । ঘটনার পরই গৃহবধূর দাদা ফাঁসিদেওয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেফতার করে ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশ । ধৃতরা হলেন হীরামতি মুর্মু, বাচ্চা সোরেন, রানি সোরেন ।

ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও দু'জন পলাতক । পুলিশ ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জায়গায় তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে । তবে এই ঘটনার পেছনে আর কে বা কারা জড়িত রয়েছেন, তার তদন্ত শুরু করেছে ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশ । মিতার দাদা ভোগেন টুডু বলেন, "খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা । যাঁরা জড়িত তাঁদের যেন কড়া শাস্তি হয় । আর আগামীতে যেন এই ধরনের ঘটনা আর না-ঘটে, সে জন্য পদক্ষেপ করুক পুলিশ ও প্রশাসন ।"

দার্জিলিং, 4 জুলাই: ফুলবাড়ির বকরাভিটার পর এবার ফাঁসিদেওয়া ব্লক । ডাইনি অপবাদে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল ৷ এলাকাবাসীর সঙ্গে মিলে মৃতার পরিবারের সদস্যরা এই কাজ করেছেন বলে অভিযোগ । বৃহস্পতিবার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায় । প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও । এই ঘটনায় তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশ ।

ধৃতদের বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক জামিনের আবেদন খারিজ করে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন । এ বিষয়ে দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশ বলেন, "অভিযোগ পেতেই তিনজনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে । ধৃতদের মধ্যে দু'জন মৃতার ননদ ও একজন মৃতার স্বামীর প্রথম পক্ষের স্ত্রী । এই ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন জড়িত রয়েছে । তাদের তল্লাশি শুরু হয়েছে । সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।"

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফাঁসিদেওয়া ব্লকের পেটকির জজটোলা এলাকায় । ওই গ্রামের বাসিন্দা চুন্ডা সোরেন নামে এক ব্যক্তির 20 দিন আগে মৃত্যু হয় । চুন্ডা সোরেন স্থানীয় একটি চা বাগানে শ্রমিকের কাজ করতেন । চুন্ডা সোরেনের মৃত্যুর জন্য তাঁর স্ত্রীকে দায়ী করেন পরিবারের সদস্যরা । প্রথমে কিছু না-বললেও স্বামীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হতেই পরিবারের সদস্যরা ওই গৃহবধূকে ডাইনি অপবাদ দিয়ে মারধর শুরু করেন । পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মারধরে এলাকাবাসীরাও সামিল হন বলে অভিযোগ ।

অভিযোগ, ওই মহিলাকে চা গাছ কাটার অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয় । গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে 29 জুন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । টানা পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর বুধবার মাঝরাতে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয় । ঘটনার পরই গৃহবধূর দাদা ফাঁসিদেওয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেফতার করে ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশ । ধৃতরা হলেন হীরামতি মুর্মু, বাচ্চা সোরেন, রানি সোরেন ।

ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও দু'জন পলাতক । পুলিশ ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জায়গায় তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে । তবে এই ঘটনার পেছনে আর কে বা কারা জড়িত রয়েছেন, তার তদন্ত শুরু করেছে ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশ । মিতার দাদা ভোগেন টুডু বলেন, "খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা । যাঁরা জড়িত তাঁদের যেন কড়া শাস্তি হয় । আর আগামীতে যেন এই ধরনের ঘটনা আর না-ঘটে, সে জন্য পদক্ষেপ করুক পুলিশ ও প্রশাসন ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.