কলকাতা, 17 জুলাই: উত্তর কলকাতার কাশীপুরে প্রোমোটারের প্রকাশ্যে দাদাগিরির ঘটনার রেশ কাটতে না-কাটতেই ফের মহানগরে আক্রান্ত প্রতিবাদী মহিলা। অভিযোগ এলাকায় বেআইনি প্রমোটিংয়ের প্রতিবাদ করায় কলকাতা পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের প্রয়াত কাউন্সিলর গৌতম হালদারের দাদা উত্তম হালদারের 'দাদাগিরি'। অভিযোগ, নিজেকে অতীন ঘোষের লোক বলে পরিচিয় দিয়ে মহিলাকে মারধর করে সে। যদিও এই বিষয়ে অতীত ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
অভিযোগ, লোকজন এনে প্রতিবাদী মহিলাকে মারধর করা হয়। মহিলাকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁর স্বামী। গতকাল ঘটনাটি ঘটেছে চিৎপুর থানা এলাকায়। ইতিমধ্যেই স্থানীয় চিৎপুর থানায় ওই মহিলা উত্তম হালদারের নামে একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন। ওই মহিলার দাবি, এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে একটি প্রমোটিং চলছিল। সেই প্রোমোটিং বেআইনি বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর ওই মহিলা প্রমোটিংয়ের বাধা দিলে উত্তম হালদার নিজেকে অতীন অনুগামী দাবি করে ভয় দেখান। পরে ওই মহিলাকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ।
এই ঘটনায় স্থানীয় চিৎপুর থানার পুলিশ তদন্ত নেমেছে এবং এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন বলেন, "অভিযোগ ওঠা এবং দোষী প্রমাণ হওয়া দুটো বিষয় একেবারেই আলাদা। যদি এরকম কোনও ঘটনা ঘটে থাকে তার জন্য পুলিশ প্রশাসন রয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করবে। সত্য ঘটনা তুলে ধরবে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের তৃণমূল দল কোনওরকমের ব্যভিচার এবং অন্যায় সহ্য করেনি, করবেও না।"
তবে এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। উত্তর কলকাতার ভারাটে উচ্ছেদ করে দেবেন বলে বাড়িওয়ালার সঙ্গে পাঁচ লক্ষ টাকার চুক্তি করেন ওই প্রোমোটার। পরে শান্তিপূর্ণভাবে ওই ভাড়াটিয়া বাড়ি ছেড়ে দিলে বাড়িওয়ালার সঙ্গে টাকা পয়সাকে কেন্দ্র করে ওই প্রোমোটারের বিবাদ বাধে। অভিযোগ সেই সময়ও এলাকার এক প্রোমোটার নিজেকে অতীন ঘোষের লোক বলে তাদের মারধর করে। সেই ঘটনায় অবশ্য পুলিশ তদন্তে নেমে অভিযুক্ত প্রোমোটারকে গ্রেফতার করেছিল। এবার এই ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের কী পদক্ষেপ হবে সেটাই দেখার বিষয়।