জলপাইগুড়ি, 23 ফেব্রুয়ারি: বাজেয়াপ্ত হয়েছিল 265 গ্রাম ব্রাউন সুগার । কিন্তু পুলিশ পেশ করে 190 গ্রাম ব্রাউন সুগার । 75 গ্রাম ব্রাউন সুগার কোথায় গেল ? এডিজি উত্তরবঙ্গকে তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট । এর আগে পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছিল 265 গ্রাম ব্রাউন সুগার, 22 বোতল কাফ সিরাপ । কিন্তু আদালতে পেশ করা হয় 190 গ্রাম ব্রাউন সুগার আর দুই বোতল কাফ সিরাপ । বাকি 75 গ্রাম ব্রাউন সুগার আর কাফ সিরাপের বোতল গেল কোথায়, প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি। একইসঙ্গে, এই বিষয়ে এডিজি উত্তরবঙ্গকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ। তদন্তকারী অফিসারের কাজ নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের আইনজীবী বিশ্বরূপ রায় বলেন, "শিলিগুড়ির মাটিগাড়া থানার পুলিশ 2021 সালে ব্রাউন সুগার ও কাফ সিরাপ-সহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে । কিন্তু তারা উদ্ধার হওয়া মাদক সঠিক পরিমাণে আদালতের কাছে জমা করতে পারেনি । বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হয়েছিল । থানা থেকে উধাও হয়ে গেল 75 গ্রাম ব্রাউন সুগার ও 20 বোতল কাফ সিরাপ । পুলিশের কাছ থেকে কীভাবে এই মাদকদ্রব্য উধাও হল তা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতি হরীশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি সুপ্রতীম ভট্টাচার্য ডিভিশন বেঞ্চ ।"
কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের আইনজীবী বিশ্বরূপ রায় বলেন, "2021 সালে দু'জন মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করে মাটিগাড়া থানার পুলিশ । তাদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল 265 গ্রাম ব্রাউন সুগার ও 22 বোতল কাফ সিরাপ ৷ যদিও পরবর্তীতে যখন শিলিগুড়ি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাস্ট কোর্টের কাছে সেগুলো পেশ করেন তদন্তকারী অফিসার, তখন দেখা যায় তদন্তকারী অফিসার আদালতের কাছে 190 গ্রাম ব্রাউন সুগার ও দুই বোতল কাফ সিরাপ পেশ করতে পেরেছেন ।"
একইসঙ্গে তিনি বলেন, "বিষয়টি আদালতের নজরে আসে । বাকি 75 গ্রাম ব্রাউন সুগার ও 20 বোতল কাফ সিরাপ কোথায় গেল তার কোনও হদিশ মেলেনি । এদিন বিচারপতি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন । বিষয়টি নিয়ে এডিজি-কে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে 10 দিনের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ ।"
আরও পড়ুন