ETV Bharat / state

পাশাপাশি পতাকা নিয়ে হেঁটেও লক্ষ্যপূরণ হয়, বামেদের সঙ্গে জোট প্রসঙ্গে দাবি শুভঙ্করের

উপনির্বাচনে বামেদের সঙ্গে জোট হয়নি । একা লড়ছে কংগ্রেস। বছর দুয়েক বাদে বিধানসভা নির্বাচনে কী হবে? ইটিভি ভারতের মুখোমুখি শুভঙ্কর সরকার।

SUBHANKAR SARKAR
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 27, 2024, 10:15 PM IST

Updated : Oct 27, 2024, 10:26 PM IST

কলকাতা, 27 অক্টোবর: মাস দেড়েক আগে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন শুভঙ্কর সরকার ৷ এরপর নির্বাচনে বাম-কংগ্রেসের আসন সমঝোতা হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল।

ছটি বিধানসভার উপনির্বাচনে তার বাস্তবায়ন ঘটেছে। নিজেদের শক্তি পরীক্ষা করতে একলা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস । 2026 সালের বিধানসভা নির্বাচনেও কি কংগ্রেস একলা হাঁটার লক্ষ্যেই এগোচ্ছে ? ইটিভি ভারতের মুখোমুখি হয়ে এরকম একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিলেন শুভঙ্কর সরকার ।

ইটিভি ভারতের মুখোমুখি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার (ইটিভি ভারত)


ইটিভি ভারত : সভাপতি পদে বসার প্রথম দিনেই দলের শক্তি বৃদ্ধি এবং শক্তি যাচাইয়ের কথা বলেছিলেন ৷ এখনও পর্যন্ত কতদূর এগোলেন ?

শুভঙ্কর : কতদূর এগিয়েছি বা কতদূর এগোব তা সময়ই বলবে। এখনই বলার সময় আসেনি। দল এমন একটা জিনিস যাকে রোজ মানুষের কাছে তুলে ধরতে হয় । কংগ্রেসের আদর্শ এবং লক্ষ্য কী তা-ও তুলে ধরতে হয় । বিপণনের যুগে মানুষ প্রতি মুহূর্ত গোটা বিশ্বের খোঁজখবর রাখছেন । ফলে রাজনৈতিক দলগুলোকেও মানুষের কাছে পৌঁছতে বিভিন্ন পথ অবলম্বন করতে হচ্ছে। মানুষ সেই সমস্ত পথ গ্রহণও করছেন। রাজনীতির অভিমুখ বদলাচ্ছে । রাজনীতির বাগান সমৃদ্ধ হচ্ছে । কংগ্রেসকে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের পাশাপাশি দেশ সমৃদ্ধ হওয়ার ইতিহাসও জড়িত ৷ আর তাই সামগ্রিকভাবে কংগ্রেস মানে এক আন্দোলন। মানুষের কাছে আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। আবার অভিমানেরও একটা জায়গা। এরকম একটা রাজনৈতিক দলের সভাপতি হতে পেরে আমি গর্বিত ।


ইটিভি ভারত : দলীয় স্তরে একটা অভিমান তো ছিলই । সভাপতি বদলের পর সাধারণ মানুষ থেকে দলীয় কর্মীরা কি নতুন সভাপতির সঙ্গ পাচ্ছেন ?

শুভঙ্কর : দলীয় স্তরে কী ছিল না ছিল তা আমি জানি না । একেকজন মানুষের কাজ করার ধরন একেকরকম। কেউ কম কথা বলেন, কেউ বেশি কথা বলেন আবার কেউ চলতে চলতেও কথা বলেন। আর তাই বিভিন্ন সভাপতি বিভিন্নভাবে কাজ করবেন ।


ইটিভি ভারত : সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের এক ব্লক সভাপতি তার গুটিকতক কর্মী নিয়ে আপনার কাছে এসেছিলেন । তিনি বলেছিলেন,"কাজ দিন । দলের কাজ করতে পারছি না । দলটাকে বাঁচাতে পারছি না ।" কী পরামর্শ দিলেন ?

শুভঙ্কর : আপনার কাছে কে এরকম অভিযোগ করল আমি জানি না । যদি কেউ কাজ করতে চায়, তাকে কি কেউ আটকে রাখতে পারে ? যিনি কাজ করতে চান তাঁর নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট প্যাটার্ন থাকে ৷ সেই প্যাটার্ন ফলো করলে দলীয় রীতি-নীতি মানলে নিশ্চয়ই কাজ করতে পারবেন।

ইটিভি ভারত : জেলার দলীয় নেতাদের পরামর্শ নিয়ে উপনির্বাচনে একলা চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস । ভোটের প্রচারে তাহলে কি কংগ্রেস এবার সিপিএম বা বামেদের বিরুদ্ধে সুর চড়াবে ?

শুভঙ্কর : প্রচারের সময়ই বোঝা যাবে । এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয় । আপনারা ফোন ক্যামেরা নিয়ে লক্ষ্য রাখবেন ৷ ক্যামেরাবন্দি করবেন, আমরা কী বলছি ।

ইটিভি ভারত : ইন্ডিয়া জোটে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম রূপ দেখা যাচ্ছে । এখানে যেমন বামেদের সঙ্গে লিবারেশনের জোট হয়েছে । কংগ্রেসের হয়নি । ঝাড়খণ্ডে আবার নির্বাচনে লিবারেশনের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট হলেও সিপিএম বা সিপিআই এর সঙ্গে আসন সমঝোতা হয়নি। বরং, জামতাড়া আসনে সিপিএমও প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেসও প্রার্থী দিয়েছে ।

শুভঙ্কর : ঝাড়খণ্ডের বিষয়টি সেখানকার নেতারা বলবেন ৷ আমি এই মুহূর্তে কিছু বলছি না। তবে, রাজনীতিতে কৌশল একটা বড় একটা জিনিস । ফলে নির্বাচনের সময় কৌশলগত দিক থেকে কী অবস্থান গ্রহণ করা হয় তা সম্পূর্ণ পার্টির বিষয় । এটুকুই আমি বলতে পারি ছ'টি বিধানসভা উপনির্বাচনে আমাদের প্রার্থী আছেন । আমাদের প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন । সেই সব প্রার্থীদের সমর্থনে আমরা প্রচার করব ৷ তাঁরা নিজেও প্রচার করবেন । মানুষ সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা কাকে বেছে নেবেন ।

ইটিভি ভারত : একলা চলে দলকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছেন ৷ তাহলে কি 26-এর বিধানসভা ভোটে বিশেষ কিছু পরিবর্তন হবে ?

শুভঙ্কর : আমাদের মিশন 2026 সালের বিধানসভা নির্বাচন । তার আগে দলীয় স্তরের নানা কর্মসূচি আছে । পদ্ধতিগত অবস্থানও নেওয়া হবে । ব্লক স্তর থেকে পঞ্চায়েত কিংবা জেলা- সব স্তরেই সংগঠন মজবুত করার কাজ চলবে । কিন্তু তার আগে এই উপনির্বাচন এবং পুজো থাকায় কিছুটা থমকে গেল বিষয়টি । 13 নভেম্বর উপনির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পরেই জোরকদমে সেই কাজ চলতে থাকবে ।

ইটিভি ভারত : মুজাফফর আহমেদ ভবন বা সিপিএম রাজ্য দফতর এবং কংগ্রেসের বিধান ভবনের দূরত্ব অনেকটাই কম । তারপরেও যোগাযোগে দেরি হওয়ার কারণে উপনির্বাচনে আসন সমঝোতা হল না বাম কংগ্রেসের । বিধানসভা নির্বাচনে কি পুনরাবৃত্তি ঘটবে ?

শুভঙ্কর : আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি । আবার বলছি, রাজনীতিতে কৌশল একটা বিষয় । রাজনীতিতে ক'পা এগিয়ে গিয়ে ক'পা পিছোতে হবে বা কখন কত পা এগিয়ে যাওরা যাবে তা সবই সময় এবং পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে । একইভাবে একসঙ্গে ঝান্ডা নিয়ে না এগিয়ে পাশাপাশি এগিয়েও লক্ষ্যপূরণ করা যায়। সবটাই কৌশলগত দিক । দেখতে থাকুন । এখন শুধু এটুকু দেখুন কংগ্রেস তার ঝান্ডা নিয়ে ছ'টি বিধানসভা কেন্দ্রের রাস্তায় থাকবে ।

কলকাতা, 27 অক্টোবর: মাস দেড়েক আগে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন শুভঙ্কর সরকার ৷ এরপর নির্বাচনে বাম-কংগ্রেসের আসন সমঝোতা হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল।

ছটি বিধানসভার উপনির্বাচনে তার বাস্তবায়ন ঘটেছে। নিজেদের শক্তি পরীক্ষা করতে একলা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস । 2026 সালের বিধানসভা নির্বাচনেও কি কংগ্রেস একলা হাঁটার লক্ষ্যেই এগোচ্ছে ? ইটিভি ভারতের মুখোমুখি হয়ে এরকম একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিলেন শুভঙ্কর সরকার ।

ইটিভি ভারতের মুখোমুখি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার (ইটিভি ভারত)


ইটিভি ভারত : সভাপতি পদে বসার প্রথম দিনেই দলের শক্তি বৃদ্ধি এবং শক্তি যাচাইয়ের কথা বলেছিলেন ৷ এখনও পর্যন্ত কতদূর এগোলেন ?

শুভঙ্কর : কতদূর এগিয়েছি বা কতদূর এগোব তা সময়ই বলবে। এখনই বলার সময় আসেনি। দল এমন একটা জিনিস যাকে রোজ মানুষের কাছে তুলে ধরতে হয় । কংগ্রেসের আদর্শ এবং লক্ষ্য কী তা-ও তুলে ধরতে হয় । বিপণনের যুগে মানুষ প্রতি মুহূর্ত গোটা বিশ্বের খোঁজখবর রাখছেন । ফলে রাজনৈতিক দলগুলোকেও মানুষের কাছে পৌঁছতে বিভিন্ন পথ অবলম্বন করতে হচ্ছে। মানুষ সেই সমস্ত পথ গ্রহণও করছেন। রাজনীতির অভিমুখ বদলাচ্ছে । রাজনীতির বাগান সমৃদ্ধ হচ্ছে । কংগ্রেসকে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের পাশাপাশি দেশ সমৃদ্ধ হওয়ার ইতিহাসও জড়িত ৷ আর তাই সামগ্রিকভাবে কংগ্রেস মানে এক আন্দোলন। মানুষের কাছে আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। আবার অভিমানেরও একটা জায়গা। এরকম একটা রাজনৈতিক দলের সভাপতি হতে পেরে আমি গর্বিত ।


ইটিভি ভারত : দলীয় স্তরে একটা অভিমান তো ছিলই । সভাপতি বদলের পর সাধারণ মানুষ থেকে দলীয় কর্মীরা কি নতুন সভাপতির সঙ্গ পাচ্ছেন ?

শুভঙ্কর : দলীয় স্তরে কী ছিল না ছিল তা আমি জানি না । একেকজন মানুষের কাজ করার ধরন একেকরকম। কেউ কম কথা বলেন, কেউ বেশি কথা বলেন আবার কেউ চলতে চলতেও কথা বলেন। আর তাই বিভিন্ন সভাপতি বিভিন্নভাবে কাজ করবেন ।


ইটিভি ভারত : সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের এক ব্লক সভাপতি তার গুটিকতক কর্মী নিয়ে আপনার কাছে এসেছিলেন । তিনি বলেছিলেন,"কাজ দিন । দলের কাজ করতে পারছি না । দলটাকে বাঁচাতে পারছি না ।" কী পরামর্শ দিলেন ?

শুভঙ্কর : আপনার কাছে কে এরকম অভিযোগ করল আমি জানি না । যদি কেউ কাজ করতে চায়, তাকে কি কেউ আটকে রাখতে পারে ? যিনি কাজ করতে চান তাঁর নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট প্যাটার্ন থাকে ৷ সেই প্যাটার্ন ফলো করলে দলীয় রীতি-নীতি মানলে নিশ্চয়ই কাজ করতে পারবেন।

ইটিভি ভারত : জেলার দলীয় নেতাদের পরামর্শ নিয়ে উপনির্বাচনে একলা চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস । ভোটের প্রচারে তাহলে কি কংগ্রেস এবার সিপিএম বা বামেদের বিরুদ্ধে সুর চড়াবে ?

শুভঙ্কর : প্রচারের সময়ই বোঝা যাবে । এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয় । আপনারা ফোন ক্যামেরা নিয়ে লক্ষ্য রাখবেন ৷ ক্যামেরাবন্দি করবেন, আমরা কী বলছি ।

ইটিভি ভারত : ইন্ডিয়া জোটে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম রূপ দেখা যাচ্ছে । এখানে যেমন বামেদের সঙ্গে লিবারেশনের জোট হয়েছে । কংগ্রেসের হয়নি । ঝাড়খণ্ডে আবার নির্বাচনে লিবারেশনের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট হলেও সিপিএম বা সিপিআই এর সঙ্গে আসন সমঝোতা হয়নি। বরং, জামতাড়া আসনে সিপিএমও প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেসও প্রার্থী দিয়েছে ।

শুভঙ্কর : ঝাড়খণ্ডের বিষয়টি সেখানকার নেতারা বলবেন ৷ আমি এই মুহূর্তে কিছু বলছি না। তবে, রাজনীতিতে কৌশল একটা বড় একটা জিনিস । ফলে নির্বাচনের সময় কৌশলগত দিক থেকে কী অবস্থান গ্রহণ করা হয় তা সম্পূর্ণ পার্টির বিষয় । এটুকুই আমি বলতে পারি ছ'টি বিধানসভা উপনির্বাচনে আমাদের প্রার্থী আছেন । আমাদের প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন । সেই সব প্রার্থীদের সমর্থনে আমরা প্রচার করব ৷ তাঁরা নিজেও প্রচার করবেন । মানুষ সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা কাকে বেছে নেবেন ।

ইটিভি ভারত : একলা চলে দলকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছেন ৷ তাহলে কি 26-এর বিধানসভা ভোটে বিশেষ কিছু পরিবর্তন হবে ?

শুভঙ্কর : আমাদের মিশন 2026 সালের বিধানসভা নির্বাচন । তার আগে দলীয় স্তরের নানা কর্মসূচি আছে । পদ্ধতিগত অবস্থানও নেওয়া হবে । ব্লক স্তর থেকে পঞ্চায়েত কিংবা জেলা- সব স্তরেই সংগঠন মজবুত করার কাজ চলবে । কিন্তু তার আগে এই উপনির্বাচন এবং পুজো থাকায় কিছুটা থমকে গেল বিষয়টি । 13 নভেম্বর উপনির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পরেই জোরকদমে সেই কাজ চলতে থাকবে ।

ইটিভি ভারত : মুজাফফর আহমেদ ভবন বা সিপিএম রাজ্য দফতর এবং কংগ্রেসের বিধান ভবনের দূরত্ব অনেকটাই কম । তারপরেও যোগাযোগে দেরি হওয়ার কারণে উপনির্বাচনে আসন সমঝোতা হল না বাম কংগ্রেসের । বিধানসভা নির্বাচনে কি পুনরাবৃত্তি ঘটবে ?

শুভঙ্কর : আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি । আবার বলছি, রাজনীতিতে কৌশল একটা বিষয় । রাজনীতিতে ক'পা এগিয়ে গিয়ে ক'পা পিছোতে হবে বা কখন কত পা এগিয়ে যাওরা যাবে তা সবই সময় এবং পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে । একইভাবে একসঙ্গে ঝান্ডা নিয়ে না এগিয়ে পাশাপাশি এগিয়েও লক্ষ্যপূরণ করা যায়। সবটাই কৌশলগত দিক । দেখতে থাকুন । এখন শুধু এটুকু দেখুন কংগ্রেস তার ঝান্ডা নিয়ে ছ'টি বিধানসভা কেন্দ্রের রাস্তায় থাকবে ।

Last Updated : Oct 27, 2024, 10:26 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.