মালদা, 18 অক্টোবর: দশমীর রাতে দুর্গা প্রতিমার বিসর্জন ও তারই পাশে অনুষ্ঠান দেখে ফেরার পথে নির্যাতনের শিকার হতে হয় নাবালিকাকে। 14 অক্টোবর এনিয়ে বৈষ্ণবনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন। অভিযোগের ভিত্তিতে মূল অভিযুক্ত, এলাকায় তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত জসিম শেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে ওই নির্যাতিতা মালদা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। আজ, শুক্রবার ওই নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান রাজ্য মহিলা কমিশনের সদস্য দেবযানী চক্রবর্তী। পরে পুরো ঘটনা নিয়ে জেলা পুলিশের আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
এদিন বিকেলে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন দেবযানী চক্রবর্তী। তিনি বলেন, "কমিশনের চেয়ারপার্সনের নির্দেশে আমরা ওই ওই নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করেছি। বর্তমানে ওই নির্যাতিতা মালদা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। তাঁর চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসা চলায় ওই মেয়েটি স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারেনি। তবে মেয়েটির মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি ওই পরিবারের থেকেও শুনেছি এবং পুলিশ আধিকারিকের থেকে জেনেছি। ওই মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে কি না, তা এখনও প্রমাণ করা যায়নি। তদন্ত চলছে।"
তিনি আরও বলেন, "মেয়েটির গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত তার পূর্ব পরিচিত। নাবালিকা পুলিশকর্মীকে ঘটনাটি বলেছিলেন, সেই ভিডিয়োটি আমি দেখেছি। গোপন জবানবন্দিতে যদিও ওই মেয়েটি অন্য কথা বলেছে। এনিয়ে এখনই আর কিছু বলা যাবে না ৷" মহিলা কমিশনের সদস্যের এই বক্তব্য থেকেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
তবে কি ক্যামেরার সামনে বলার জন্য নির্যাতিতাকে কোনওরকম চাপ দেওয়া হচ্ছিল? তা না-হলে কেন নির্যাতিতা পুলিশকে একরকম বললেন, অথচ গোপন জবানবন্দিতে বয়ান পরিবর্তন করলেন? এখানেই শেষ নয়, তদন্তে গাফিলতি রয়েছে কি না, তা নিয়েও সরাসরি কিছু বলতে রাজি হননি দেবযানী চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, "পুলিশ যথেষ্ট কাজ করেছে। তদন্ত কতদূর এগিয়েছে, তা আমাদের দেখানো হয়েছে। আমাদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পুলিশ দিয়েছে। তদন্তে কোনও গাফিলতি রয়েছে কি না তা এখনই বলা যাবে না। যা রিপোর্ট পেলাম, তা কমিশনকে জানাব। সেই অনুযায়ী চেয়ারপার্সন পদক্ষেপ নেবেন। "