কলকাতা, 11 জুন: মাঝামাঝি সময় পেড়িয়েও জুনে দেখা নেই বৃষ্টির ৷ বরং দক্ষিণবঙ্গে ফের তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর ৷ নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সোমবার অর্থাৎ 10 জুন বর্ষা প্রবেশের কথা ছিল দক্ষিণবঙ্গে।কিন্তু তা পিছিয়ে গিয়েছে ৷ উলটে দক্ষিণবঙ্গে অস্বস্তিকর গরম বাড়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস ৷ অন্যদিকে, ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভবনা উত্তরবঙ্গে ৷
আলিপুর আবহাত্তয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত জানান, আপাতত ঝলসানো গরমে পুড়বে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ। সোমবারের পাশাপাশি মঙ্গলবারও দক্ষিণবঙ্গে চরম অস্বস্তিকর গরম থাকবে ৷ আগামী তিনদিন আর্দ্র অস্বস্তিকর গরম আবহাওয়া থাকবে দক্ষিণবঙ্গে। এদিকে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিতে ভিজবে উত্তরবঙ্গ। দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের চার জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা রয়েছে। বুধবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি থাকার সম্ভাবনা বলে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
যদিও স্বস্তি মিলতে পারে বৃহস্পতিবার ৷ কারণ, ওইদিন রাজ্যজুড়ে রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। যদিও 14 তারিখের আগে মৌসুমী বায়ুর দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ নিয়ে নিশ্চিত পূর্বাভাস দিতে পারছে না আবহাওয়া দফতর। সপ্তাহের শেষে দক্ষিণবঙ্গে মৌসুমী বায়ুর প্রবেশের সম্ভাবনা। বুধ, বৃহস্পতিবারের আগে মৌসুমী বায়ুর অগ্রগতির সম্ভাবনা খুব কম বলেই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। উত্তরবঙ্গে তড়িঘড়ি বর্ষা ঢুকে পড়লেও আপাতত থমকে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বা বর্ষা সপ্তাহের মাঝামাঝি গতি পেতে পারে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের।
কলকাতাও থাকবে বৃষ্টিহীন ৷ অস্বস্তিকর গরমে নাজেহাল হতে হবে শহরবাসীকে ৷ পূর্বাভাস আলিপুরের। স্থানীয় ভাবে আবহাওয়া অতি উত্তপ্ত হয়ে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। তা ক্ষণিকের স্বস্তি দিলেও তা বর্ষার আগমনী নয়। বদলে আংশিক মেঘলা আকাশ পাওয়া যাবে। মঙ্গলবারও অস্বস্তি চরমে উঠবে। বুধবার বিকেলের পর আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে বুধবার ও বৃহস্পতিবারে।
অন্যদিকে, বাংলার বাইরে মৌসুমী অক্ষরেখা আহমেদ নগর, নিজামাবাদ, সুকমা, মালকানগিরি, বিজয়নগর পর্যন্ত বিস্তৃত। অক্ষরেখার অন্য অংশ ইসলামপুরেই থমকে আছে। মধ্য আরব সাগরের বেশিরভাগ অংশেই ঢুকে পড়বে মৌসুমী বায়ু । আগামী 24 ঘন্টায় মহারাষ্ট্র, মুম্বাইয়ের বাকি অংশ এবং তেলেঙ্গানায় সমগ্র অংশেই মৌসুমী বায়ুর প্রভাব থাকবে বলে জানা গিয়েছে।