হুগলি, 8 মে: কোচবিহারের সুনীতি অ্যাকাডেমির প্রতীচী রায় তালুকদারের সঙ্গেই উচ্চমাধ্যমিকে মেয়েদের মধ্যে যুগ্ম প্রথম হুগলির স্নেহা ঘোষ। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর 493 ৷ মেধাতালিকায় সার্বিকভাবে চতুর্থ সে ৷ তবে কেবল স্নেহাই নয়, বুধবার প্রকাশিত উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফলে প্রথম দশে হুগলির আরও 12 জন ছাত্রছাত্রী ৷ সবমিলিয়ে উচ্চমাধ্যমিকের মেধাতালিকায় জেলা থেকে জায়গা পেল 13 জন কৃতী ৷ ফলাফল প্রকাশের পর থেকে স্বভাবতই খুশির হাওয়া জেলার শিক্ষামহলে। উল্লেখযোগ্যভাবে জেলায় প্রথম স্নেহার যমজ বোন সোহা ঘোষ-ও মেধাতালিকায় দশম স্থান অধিকার করেছে।
পাশাপাশি জেলা থেকে মেধাতালিকায় ষষ্ঠ স্থান অধিকার করে নিয়েছেন কোন্নগর ক্রাইফার রোডের রুদ্র দত্ত। মাহেশ রামকৃষ্ণ আশ্রম বিদ্যামন্দিরের ছাত্র রুদ্রর প্রাপ্ত নম্বর 491। ভালো ফল হবে আশা করলেও এতটা ভালো ফলের আশা তিনি করেননি বলে জানালেন রুদ্র । তাঁর প্রিয় বিষয় পদার্থবিদ্যা ৷ স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও বাবা-মা'কে সাফল্যের কৃতিত্ব দিয়ে চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন কোন্নগরের রুদ্র।
ষষ্ঠ স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন হুগলির চুঁচুড়া গ্রিন পার্কের বাসিন্দা শুভ্র কিশোর ভট্টাচার্য। হুগলি কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র শুভ্র পড়াশোনার পাশাপাশি ভালো গায়ক-ও বটে। যদিও ঘড়ি ধরে পড়াশোনায় বিশ্বাসী ছিল না শুভ্র। হুগলি কলেজিয়েটের ছাত্র-ও ভবিষ্যতে চায় চিকিৎসক হতে ৷ মেধাতালিকায় সপ্তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন আরামবাগ হাই স্কুলের ছাত্র মহম্মদ শহিদ। চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছে শহিদের ৷ তাঁর প্রাপ্ত নম্বর 490।
শুভ্র কিশোরের পাশাপাশি হুগলি কলেজিয়েট থেকে মেধাতালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন ঋতব্রত দাস ৷ ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চায় সে ৷ 489 নম্বর পেয়ে অষ্টম স্থান পেয়েছেন শ্রীরামপুর মাহেশ রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র অস্মিত কুমার মুখোপাধ্য়ায়। পরীক্ষার কিছুদিন আগেই বাবার মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। শিক্ষক হতে চায় সে। আরামবাগ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র সোমশুভ্র কর্মকারও 489 নম্বর পেয়ে মেধাতালিকায় অষ্টম ৷ ক্রিকেট এবং গল্পের বইয়ের নেশা সোমশুভ্রের ৷ আরামবাগের কৃতী চায় ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে ৷
জেলা থেকে নবম স্থান অধিকার করেছেন চন্দননগর বঙ্গ বিদ্যালয়ের পৃথা দত্ত এবং চুঁচুড়া বালিকা বাণী মন্দিরের ছাত্রী বৃষ্টি পাল ৷ দু'য়ের প্রাপ্ত নম্বর 488 ৷ ভূগোল নিয়ে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী পৃথা ৷
আরও পড়ুন: