কলকাতা, 4 জুলাই: রাজ্য বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন ডাকলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিধানসভায় সাংবাদিক সম্মেলন করে এই বিশেষ অধিবেশনের কথা জানিয়ে দিয়েছেন অধ্যক্ষ ৷ এই বিশেষ অধিবেশনের কারণ হিসাবে তিনি অবশ্য বিধানসভায় থাকা সংসদীয় কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার বিষয়টিকে উল্লেখ করেছেন ৷
তবে এদিন শাসকদলের তরফে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ সোশাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছিলেন, যাতে বিধানসভায় অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ নিয়ে কোনও বার্তা দিতে চলেছেন এমন কথার উল্লেখ ছিল ৷ যদিও এদিন এই অধিবেশনের সঙ্গে শপথের কোনও যোগ রয়েছে বলে স্বীকার করেননি অধ্যক্ষ ৷ তিনি শুধু জানিয়েছেন, শুক্রবার, 5 জুলাই বিধানসভায় বিজনেস এডভাইসারি কমিটির বৈঠক রয়েছে ৷ তারপর দুপুর 2টো থেকে বিশেষ অধিবেশন শুরু হবে ৷ সেখানেই পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা ঠিক করা হবে ৷ কিন্তু সেই পদক্ষেপ শপথের দিকে যাবে কি না, তা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি অধ্যক্ষ ৷
হোটেল তাজ প্যালেস, নয়াদিল্লির অকথিত কাহিনির নায়ক ভুলে যাচ্ছেন, আইনত চলতি শপথ বিতর্কে তাঁর ভূমিকা নেই। তিনি ছাড়াও সব হতে পারে। সৌজন্যকে দুর্বলতা ভাবা ভুল। যাদের বুদ্ধিতে চলছেন, তারা আপনাকে আরও ডোবাবে।
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) July 4, 2024
বিধানসভার অধ্যক্ষের সাংবাদিক বৈঠকে নজর রাখুন। pic.twitter.com/rZgyRBZS3p
তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, দুই বিধায়কের শপথের জন্যই মূলত এই অধিবেশন ডাকা হচ্ছে ৷ এই অধিবেশন থেকেই দুই তৃণমূল বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেনের শপথ কীভাবে হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে ৷ ইতিমধ্যে কীভাবে এই দুই বিধায়কের শপথ নেওয়া যায়, তা নিয়ে বিভিন্ন আইনি পরামর্শ নিয়েছিল রাজ্য ৷ তারপর বিধানসভার একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, বিশেষ অধিবেশনকে সামনে রেখে রাজ্যপালকে বাদ দিয়েও শপথের সংস্থান রয়েছে ৷ আগামিকাল দুপুর 12 টায় যে বিজনেস এডভাইসারি কমিটির সভা রয়েছে, সেখানে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কি না, সেটাই এখন দেখার ৷
প্রসঙ্গত লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে এই দুই বিধায়কের উপনির্বাচন সংগঠিত হলেও তারপর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে ৷ আজ 30 দিন পরেও বিধানসভায় ধরনা দিতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের দুই বিধায়ককে ৷ আজ তাদেরও এই অধিবেশন নিয়ে প্রশ্ন করা হয়, কিন্তু তাঁরা নীরব থেকেছেন ৷ এদিনও সায়ন্তিকা জানান, তিনি রাজ্যপালের জন্য অপেক্ষায় আছেন ৷ রাজ্যপাল বিধানসভায় এসে তাঁদের শপথ বাক্য পাঠ করাবেন বলছেন তিনি ৷ অন্যদিকে রেয়াত হোসেন সরকার সম্পূর্ণ ঘটনায় একটা রাজনীতি দেখতে পাচ্ছেন ৷ শেষ পর্যন্ত আগামিকাল তাঁদের শপথ নিয়ে কোনও সমাধান বের হয় কি না, সেদিকেই রাজ্যবাসীর চোখ ৷