রায়গঞ্জ, 4 ডিসেম্বর: সারারাত ঘেরাও হয়ে থেকে অসুস্থ রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপক কুমার রায় । বুধবার সকালে রায়গঞ্জ গভঃ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে । যদিও ঘেরাওয়ের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির পর্যবেক্ষক বিজয় দাস ৷
বিগত কিছুদিন ধরেই সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষা বন্ধু সমিতির রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট সভাপতি তপন নাগকে অনৈতিকভাবে সাসপেন্ড করার অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নেমেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ-শিক্ষক কর্মচারীরা । এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় অফিসিয়াল কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায় ৷ মঙ্গলবার চরমে ওঠে বিরোধ । অভিযোগ, উপাচার্যকে ঘেরাও করে আন্দোলনে নামে অ-শিক্ষক কর্মীরা । তাদের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদও । সারারাত ঘেরাও হয়ে থাকার পর সকালে অসুস্থবোধ করেন উপাচার্য দীপক কুমার রায় । তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
যদিও ঘেরাওয়ের ঘটনা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে জানান শিক্ষাবন্ধু সমিতির পর্যবেক্ষক বিজয় দাস ৷ তাঁর কথায়, "উপাচার্যকে আমরা ঘেরাও করিনি । আমরা গতকাল ওনাদের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছিলাম । আমরা দেখলাম উপাচার্য-সহ চার-পাঁচজন যারা আধিকারিক ছিলেন, তারা তালা বন্ধ করে ভিতরে বসেছিলেন । সেখানে পুলিশ অফিসাররাও ছিল । ওনারা ভিতরে ছিল আমরা বাইরে অপেক্ষায় ছিলাম । সকালে রেজিস্টার স্যর বাড়ি গেলেন, আমরা যেতে দিলাম । ভিসি স্যর বাড়ি যেতে চাননি । তিনি যখন অসুস্থবোধ করলেন, আমরাই ডাক্তার ডেকে প্রথমে তাঁকে দেখাই । পরবর্তীকালে আমরাই তাঁকে রায়গঞ্জ গভঃ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসি । উনি এখন ভালো আছেন । আমরা চাই, তিনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে কাজে যোগ দিন ।"
এ ঘটনায় উপাচার্য দীপক কুমার রায় বলেন, "প্রায় 24 ঘণ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলাম, রাত থেকেই শারীরিকভাবে অসুস্থবোধ করি । ভোরের দিকে বুকে ও মাথায় সমস্যা হচ্ছিল । প্রেসারটা আপ-ডাউন করছে মনে হচ্ছিল । তাই সকালে বাধ্য হয়ে মেডিক্যাল কলেজে আসি । টিচিং-ননটিচিং সকলেই আমার সঙ্গে আসে ।"