কান্দি, 14 ডিসেম্বর: তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যু ঘিরে রহস্য। পৌলমী বিজয়পুরী নামে সরকারি হাসপাতালের ওই চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হল শুক্রবার। কান্দি এলাকায় নিজের বাড়ি থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের দাবি, বছর আঠাশের ওই চিকিৎসকের গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানোর দাগ পাওয়া গিয়েছে।
পৌলমী বহড়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এমও ছিলেন। মৃত চিকিৎসকের বাবা প্রশান্ত বিজয়পুরীও চিকিৎসক। স্কিন স্পেশালিস্ট পৌলমী বিজয়পুরী বড়ঞা গ্রামীণ হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় সপ্তাহে একদিন প্রাইভেট প্যাকটিস করতেন বলেও পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে। পরিবার,সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে বাড়িতে ভাইয়ের সঙ্গে একটি ঘরে বসে গল্প করছিলেন পৌলমী। রাত সাড়ে নটা নাগাদ ভাইকে ম্যাগি করতে পাঠান দিদি। খানিকক্ষণ বাদে ম্যাগি তৈরি করে নিয়ে এসে ভাই দেখেন দিদি ওড়নার ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন।
সঙ্গে সঙ্গে পৌলমীকে উদ্ধার করে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শনিবার কান্দি মহকুমা হাসপাতালেই তাঁর ময়নাতদন্ত হয়েছে। ঘটনা সম্পর্কে কান্দি থানার আইসি মৃনালকান্তি দাস বলেন, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সম্পর্কে সবিস্তারে জানার কাজ শুরু হয়েছে।
আরও বিস্তারিত তথ্য পেতে পৌলমীর কয়েকজন বন্ধু ও পরিচিতদের সঙ্গে কথা বলবেন তদন্তকারীরা। কয়েকটি সূত্রে পুলিশ জানতে পেরেছে, পৌলমী এক চিকিৎসককে ভালোবাসতেন । কিন্তু পরিবার সেই সম্পর্ক মেনে নেয়নি। তাঁর অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়েছিল। অনুমান সেই থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন পৌলমী । এ প্রসঙ্গে পরিবারের কেউ অবশ্য প্রতিক্রিয়া দেননি ।