ETV Bharat / state

'রাজ্যে অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে', মমতার সরকারকে তোপ সেলিমের - MD Salim Slams WB Govt - MD SALIM SLAMS WB GOVT

MD Salim Criticised WB Govt: রাজ্য সরকারের একাধিক পদক্ষেপের সমালোচনায় সরব হলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ৷ তাঁর দাবি, রাজ্যে প্রতিবাদীদের ভয় দেখানো হচ্ছে ৷ সমাবেশ বানচাল করার চক্রান্ত চলছে ।

Md Salim
সাংবাদিক বৈঠকে মহম্মদ সেলিম (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 26, 2024, 10:49 PM IST

কলকাতা, 26 সেপ্টেম্বর: আরজি করের ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায় প্রতিদিনই শহর কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে নানান প্রতিবাদ কর্মসূচি চলছে । গতকাল কলকাতা পুলিশ বিজ্ঞপ্তি জারি করে পুজোতে মিটিং মিছিল নিষিদ্ধ করেছে শহরে, যা নিয়ে ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েছেন সিপিএমের প্রতিনিধিরা । তারই রেশ ধরে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বৃহস্পতিবার বলেন, "রাজ্যে অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে । সংবাদমাধ্যমের উপরও চাপ দেওয়া হচ্ছে । সরকারি পোষ্য তৈরি হয়েছে । এর আগে গোটা দেশে হয়েছে । এখন আমাদের রাজ্যে হচ্ছে । প্রতিবাদীদের ভয় দেখানো হচ্ছে । পুলিশের শত বাধা সত্ত্বেও সমাবেশ চলছে । ক্রমাগত বাধা দেওয়া হচ্ছে । সমাবেশ বানচাল করার চক্রান্ত চলছে । শুধু প্রকাশ্য সমাবেশ নয় । ইনডোরের প্রোগ্রামেও বাধা দেওয়া হচ্ছে ।"

মীনাক্ষীদের ধর্মতলার সমাবেশ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, "আজকে ধারাবাহিক বৃষ্টি । দুর্যোগেও বাম ছাত্র যুব মহিলারা ব্যাপক সমাবেশ করেছেন । যাঁরা অপরাধী তাদের বিরুদ্ধে বিচারের দাবিতে যাঁরা দিন গুনছেন, তাঁদের প্রতি সংহতি জানাচ্ছি । আসলে মীনাক্ষী, ধ্রুবদের ভয় পেয়েছে সরকার । এই কারণেই তাঁরা হাইকোর্টে গিয়েছে । পুলিশি রাজ্য গড়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছে । এনআরসির সময় মোদি, অমিত শাহ, যোগীরা যা যা করেছিল, সেটাই তৈরির চেষ্টা হচ্ছে ।"

মমতার সরকারকে তোপ সেলিমের (ইটিভি ভারত)

অন্যদিকে, এদিন ধর্মতলার সভা থেকে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, "144 ধারা জারি করেছেন পুলিশ কমিশনার । বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড় । কী সমস্যা হল কলকাতায় ? পুলিশ কমিশনার ভয় পাচ্ছেন মানুষের আন্দোলনকে । কলতানকে জেলে ঢুকিয়েছিল । সে আবার রাস্তায় । এখনও কিছু পুলিশ অফিসার আছেন, যাঁরা মেরুদন্ড সোজা রেখেছেন । টালা থানার ওসির এত সাহস ! তাহলে কি ওপর থেকে নির্দেশ ? পুলিশ কর্মী অফিসারদের বলছি, মৌখিক অর্ডারে কাজ করবেন না । লিখিত অর্ডার চান । না হলে বাঁচার রাস্তা থাকবে না । গরু চোর বাঘ জামিনে ছাড়া পেয়েছে । আমাদের বাঘ আশুতোষ মুখোপাধ্যায় ৷"

এদিকে, বুধবার থেকে আরজি কর ইস্যুতে ধর্মতলায় অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন কংগ্রেসের নেতারা । অধীর রঞ্জন চৌধুরী-সহ শুভঙ্কর সরকার, প্রদীপ ভট্টাচার্যরা সরব হয়েছেন । আর এই মন্ত্রীর অদূরে অনুমতি না পেয়ে আজকের সমাবেশ আয়োজন করতে বাধ্য হয় বাম ছাত্রযুবরা । তাকে ঘিরে একই সময়ে মাইক বাজানো বা বক্তব্য পেশ নিয়ে প্রাথমিক স্তরে জটিলতা তৈরি হলেও শেষ পর্যন্ত উভয়পক্ষই পরস্পরের প্রতি সম্মতি জানায় । মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় যখন বলতে শুরু করেন, তখন কংগ্রেসের মঞ্চ থেকে মাইক বন্ধ করে রাখা হয় । একইভাবে অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলতে শুরু করার আগেই মীনাক্ষীদের সভা শেষ করা হয় ।

কলকাতা, 26 সেপ্টেম্বর: আরজি করের ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায় প্রতিদিনই শহর কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে নানান প্রতিবাদ কর্মসূচি চলছে । গতকাল কলকাতা পুলিশ বিজ্ঞপ্তি জারি করে পুজোতে মিটিং মিছিল নিষিদ্ধ করেছে শহরে, যা নিয়ে ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েছেন সিপিএমের প্রতিনিধিরা । তারই রেশ ধরে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বৃহস্পতিবার বলেন, "রাজ্যে অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে । সংবাদমাধ্যমের উপরও চাপ দেওয়া হচ্ছে । সরকারি পোষ্য তৈরি হয়েছে । এর আগে গোটা দেশে হয়েছে । এখন আমাদের রাজ্যে হচ্ছে । প্রতিবাদীদের ভয় দেখানো হচ্ছে । পুলিশের শত বাধা সত্ত্বেও সমাবেশ চলছে । ক্রমাগত বাধা দেওয়া হচ্ছে । সমাবেশ বানচাল করার চক্রান্ত চলছে । শুধু প্রকাশ্য সমাবেশ নয় । ইনডোরের প্রোগ্রামেও বাধা দেওয়া হচ্ছে ।"

মীনাক্ষীদের ধর্মতলার সমাবেশ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, "আজকে ধারাবাহিক বৃষ্টি । দুর্যোগেও বাম ছাত্র যুব মহিলারা ব্যাপক সমাবেশ করেছেন । যাঁরা অপরাধী তাদের বিরুদ্ধে বিচারের দাবিতে যাঁরা দিন গুনছেন, তাঁদের প্রতি সংহতি জানাচ্ছি । আসলে মীনাক্ষী, ধ্রুবদের ভয় পেয়েছে সরকার । এই কারণেই তাঁরা হাইকোর্টে গিয়েছে । পুলিশি রাজ্য গড়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছে । এনআরসির সময় মোদি, অমিত শাহ, যোগীরা যা যা করেছিল, সেটাই তৈরির চেষ্টা হচ্ছে ।"

মমতার সরকারকে তোপ সেলিমের (ইটিভি ভারত)

অন্যদিকে, এদিন ধর্মতলার সভা থেকে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, "144 ধারা জারি করেছেন পুলিশ কমিশনার । বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড় । কী সমস্যা হল কলকাতায় ? পুলিশ কমিশনার ভয় পাচ্ছেন মানুষের আন্দোলনকে । কলতানকে জেলে ঢুকিয়েছিল । সে আবার রাস্তায় । এখনও কিছু পুলিশ অফিসার আছেন, যাঁরা মেরুদন্ড সোজা রেখেছেন । টালা থানার ওসির এত সাহস ! তাহলে কি ওপর থেকে নির্দেশ ? পুলিশ কর্মী অফিসারদের বলছি, মৌখিক অর্ডারে কাজ করবেন না । লিখিত অর্ডার চান । না হলে বাঁচার রাস্তা থাকবে না । গরু চোর বাঘ জামিনে ছাড়া পেয়েছে । আমাদের বাঘ আশুতোষ মুখোপাধ্যায় ৷"

এদিকে, বুধবার থেকে আরজি কর ইস্যুতে ধর্মতলায় অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন কংগ্রেসের নেতারা । অধীর রঞ্জন চৌধুরী-সহ শুভঙ্কর সরকার, প্রদীপ ভট্টাচার্যরা সরব হয়েছেন । আর এই মন্ত্রীর অদূরে অনুমতি না পেয়ে আজকের সমাবেশ আয়োজন করতে বাধ্য হয় বাম ছাত্রযুবরা । তাকে ঘিরে একই সময়ে মাইক বাজানো বা বক্তব্য পেশ নিয়ে প্রাথমিক স্তরে জটিলতা তৈরি হলেও শেষ পর্যন্ত উভয়পক্ষই পরস্পরের প্রতি সম্মতি জানায় । মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় যখন বলতে শুরু করেন, তখন কংগ্রেসের মঞ্চ থেকে মাইক বন্ধ করে রাখা হয় । একইভাবে অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলতে শুরু করার আগেই মীনাক্ষীদের সভা শেষ করা হয় ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.