কলকাতা, 26 সেপ্টেম্বর: আরজি করের ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায় প্রতিদিনই শহর কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে নানান প্রতিবাদ কর্মসূচি চলছে । গতকাল কলকাতা পুলিশ বিজ্ঞপ্তি জারি করে পুজোতে মিটিং মিছিল নিষিদ্ধ করেছে শহরে, যা নিয়ে ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েছেন সিপিএমের প্রতিনিধিরা । তারই রেশ ধরে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বৃহস্পতিবার বলেন, "রাজ্যে অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে । সংবাদমাধ্যমের উপরও চাপ দেওয়া হচ্ছে । সরকারি পোষ্য তৈরি হয়েছে । এর আগে গোটা দেশে হয়েছে । এখন আমাদের রাজ্যে হচ্ছে । প্রতিবাদীদের ভয় দেখানো হচ্ছে । পুলিশের শত বাধা সত্ত্বেও সমাবেশ চলছে । ক্রমাগত বাধা দেওয়া হচ্ছে । সমাবেশ বানচাল করার চক্রান্ত চলছে । শুধু প্রকাশ্য সমাবেশ নয় । ইনডোরের প্রোগ্রামেও বাধা দেওয়া হচ্ছে ।"
মীনাক্ষীদের ধর্মতলার সমাবেশ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, "আজকে ধারাবাহিক বৃষ্টি । দুর্যোগেও বাম ছাত্র যুব মহিলারা ব্যাপক সমাবেশ করেছেন । যাঁরা অপরাধী তাদের বিরুদ্ধে বিচারের দাবিতে যাঁরা দিন গুনছেন, তাঁদের প্রতি সংহতি জানাচ্ছি । আসলে মীনাক্ষী, ধ্রুবদের ভয় পেয়েছে সরকার । এই কারণেই তাঁরা হাইকোর্টে গিয়েছে । পুলিশি রাজ্য গড়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছে । এনআরসির সময় মোদি, অমিত শাহ, যোগীরা যা যা করেছিল, সেটাই তৈরির চেষ্টা হচ্ছে ।"
অন্যদিকে, এদিন ধর্মতলার সভা থেকে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, "144 ধারা জারি করেছেন পুলিশ কমিশনার । বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড় । কী সমস্যা হল কলকাতায় ? পুলিশ কমিশনার ভয় পাচ্ছেন মানুষের আন্দোলনকে । কলতানকে জেলে ঢুকিয়েছিল । সে আবার রাস্তায় । এখনও কিছু পুলিশ অফিসার আছেন, যাঁরা মেরুদন্ড সোজা রেখেছেন । টালা থানার ওসির এত সাহস ! তাহলে কি ওপর থেকে নির্দেশ ? পুলিশ কর্মী অফিসারদের বলছি, মৌখিক অর্ডারে কাজ করবেন না । লিখিত অর্ডার চান । না হলে বাঁচার রাস্তা থাকবে না । গরু চোর বাঘ জামিনে ছাড়া পেয়েছে । আমাদের বাঘ আশুতোষ মুখোপাধ্যায় ৷"
এদিকে, বুধবার থেকে আরজি কর ইস্যুতে ধর্মতলায় অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন কংগ্রেসের নেতারা । অধীর রঞ্জন চৌধুরী-সহ শুভঙ্কর সরকার, প্রদীপ ভট্টাচার্যরা সরব হয়েছেন । আর এই মন্ত্রীর অদূরে অনুমতি না পেয়ে আজকের সমাবেশ আয়োজন করতে বাধ্য হয় বাম ছাত্রযুবরা । তাকে ঘিরে একই সময়ে মাইক বাজানো বা বক্তব্য পেশ নিয়ে প্রাথমিক স্তরে জটিলতা তৈরি হলেও শেষ পর্যন্ত উভয়পক্ষই পরস্পরের প্রতি সম্মতি জানায় । মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় যখন বলতে শুরু করেন, তখন কংগ্রেসের মঞ্চ থেকে মাইক বন্ধ করে রাখা হয় । একইভাবে অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলতে শুরু করার আগেই মীনাক্ষীদের সভা শেষ করা হয় ।