মালদা, 25 জানুয়ারি: কালিয়াচকে তৃণমূল কর্মীকে খুনের ঘটনায় দুই মূল অভিযুক্তকে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ ৷ ধৃতদের ট্রানজিট রিমান্ডে মালদায় নিয়ে আসা হচ্ছে ৷ তবে ঘটনাস্থল থেকে তাজা কার্তুজ উদ্ধার হলেও গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি পুলিশের ৷
পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, “গত 14 জানুয়ারি কালিয়াচকের দারিয়াপুর এলাকায় একটি ঘটনাতে একজনের মৃত্যু হয়েছিল। দু'জন আহত হয়েছিল। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। সেই ঘটনার মূল অভিযুক্ত আবদুল আলিম ওরফে জাকির ও তার সঙ্গী জাবিউল মোমিনকে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত 5 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও দু'জনের খোঁজে তল্লাশি জারি রয়েছে । ধৃতদের ট্রানজিট রিমান্ডে মালদায় নিয়ে আসা হচ্ছে ।”
গত 14 জানুয়ারি ড্রেন উদ্বোধন করতে গিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে প্রাণ হারান তৃণমূল নেতা আতাউল শেখ ওরফে হাসা ৷ আহত হয়েছিলেন নওদা যদুপুর অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি বকুল শেখ (53) ও তাঁর ভাই তথা পঞ্চায়েত সদস্য এসারুদ্দিন শেখ ৷ ঘটনার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা একটি ভিডিয়ো করে সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন ৷
এ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, “ঘটনার একটি ভিডিয়োতে একটি আগ্নেয়াস্ত্র দেখা গিয়েছিল, সেই আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তবে কার কাছে সেই আগ্নেয়াস্ত্র ছিল তা এখনও সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। ঘটনায় যারা আহত হয়েছেন বা যিনি খুন হয়েছেন তাঁর কাছেও এই আগ্নেয়াস্ত্র থাকার সম্ভবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এখনও পর্যন্ত তদন্তে গুলি চালানোর মতো কোনও তথ্য উঠে আসেনি। ঘটনাস্থলে একটি তাজা কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে।”
ভিডিয়ো পুলিশের হাতে এসে পৌঁছয় ৷ সেই ভিডিয়োতে আগ্নেয়াস্ত্র প্রকাশ্যে দাপাদাপি করার ছবি ধরা পড়ে ৷ আতাউল শেখকে মাথা থেঁতলে খুন করার ছবিও দেখা যায় ৷ সেই ঘটনার তদন্তে নেমে অবশেষে মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করল কালিয়াচক থানার পুলিশ ৷ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট 5 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷