কলকাতা, 15 জুলাই: আনুষ্ঠানিকভাবে একুশে জুলাই প্রস্তুতি শুরু হয়ে করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস । সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের উপস্থিতিতে সেখানে খুঁটি পুজো করে মঞ্চ তৈরির কাজের সূচনা হল ।
একুশে জুলাই মানে তৃণমূল কংগ্রেসের মেগা সমাবেশ । 1993 সালে ‘নো আইডেন্টিটি কার্ড, নো ভোট’ এই দাবিতে তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী তথা বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে মহাকরণ অভিযান করেছিলেন, সেই নিয়ে কলকাতার রাজপথেই ঝরে গিয়েছিল তরতাজা 13টি প্রাণ । তারপর থেকেই এই দিনটিকে শহিদ দিবস হিসাবে পালন করা হয় ।
প্রথমে যুব কংগ্রেস ও কংগ্রেসের তরফে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এই দিনটি পালন করতেন ৷ তিনি তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি করার পর থেকে এই দিন পালনের আয়োজন করে ঘাসফুল শিবির ৷ এ বছর সেই ঘটনার 31 বছর৷ প্রতিবারের মতো এবারও কলকাতার ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে সভা করবে শাসক দল ৷ যে সভা থেকে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেবেন স্বয়ং নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
এ বছর একুশে জুলাইয়ের তাৎপর্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৷ কারণ এই বছরই লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে 29টি আসন পেয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস । তাই এবার একুশে জুলাই শুধু শহিদ তর্পণ নয়, একই সঙ্গে এই বিপুল জয়ের বিজয় উৎসবও পালন করা হবে ।
তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘‘প্রত্যেক বছর একুশে জুলাই তার পুরনো রেকর্ড ভেঙে দেয় । লক্ষ লক্ষ মানুষ এসে জমা হন এই ধর্মতলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে দিকনির্দেশ শোনার জন্য । এবারও রেকর্ড সংখ্যক মানুষের জমায়েত হবে ধর্মতলায় । এবারের জমায়েত অতীতের রেকর্ডকে ভেঙে দেবে ৷’’
অন্যদিকে এ দিন এই একুশে জুলাই-এর তাৎপর্য বিশ্লেষণ করেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বকসি । কেন এই একুশে জুলাই বাংলা তথা দেশের রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সেই নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘এই আন্দোলন পরবর্তী সময়ে সারা দেশে সচিত্র ভোটার কার্ড নিয়ে আসার ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল । তাই এর তাৎপর্য সারা দেশের মানুষের কাছেই রয়েছে ।’’