ETV Bharat / state

ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে স্থগিত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রথম বর্ষের পরীক্ষা

Molestation Case in Jadavpur University: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগের ঘটনায় এবার পিছিয়ে গেল পরীক্ষা ৷ সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রথম বর্ষের প্রথম সেমেস্টারের আজকের পরীক্ষা স্থগিত রাখার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ ৷

ETV BHARAT
ETV BHARAT
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 23, 2024, 5:31 PM IST

কলকাতা, 23 ফেব্রুয়ারি: বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ৷ সূত্রের খবর, সেই বিতর্কের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগের প্রথম বর্ষের পরীক্ষা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ ৷ জানা গিয়েছে, শ্লীলতাহানির অভিযোগকারী ছাত্রী ওই বিভাগেরই পড়ুয়া ৷ কিন্তু, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ ৷ তারা পরীক্ষা বন্ধ রাখার কারণ নিয়ে কোনও কথা বলতে চায়নি ৷ যদিও সূত্রের খবর, শ্লীলতাহানির অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষ ৷ তাই ওই বিভাগের পরীক্ষা এই মুহূর্তে বন্ধ রাখা হয়েছে ৷

ঘটনার সূত্রপাত 19 ফেব্রুয়ারি, সে দিন ছিল প্রথম বর্ষের প্রথম পরীক্ষা ৷ ছাত্রীর অভিযোগ, আচমকাই পরীক্ষার হলে ওই অধ্যাপক সবার সামনে তাঁর নাম ধরে ডাকেন ৷ তাঁকে তল্লাশির প্রয়োজন বলে জানান তিনি ৷ মেয়েটির অভিযোগ, অধ্যাপক বলেছিলেন তিনি চিরকুটে পরীক্ষার উত্তর লিখে এনেছেন ৷ যদি, তল্লাশি করতে না দেওয়া হয় তাহলে পরীক্ষা বাতিল করা হবে ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে করা অভিযোগে ছাত্রী জানিয়েছেন, পরীক্ষার হলে তাঁর বহু পুরুষ সহপাঠীর ছিল ৷ তাঁদের সামনেই তাঁর তল্লাশির কথা বলেন অভিযুক্ত অধ্যাপক ৷ এমনকি সকলের সামনেই অধ্যাপক তাঁর শরীরের তল্লাশি নেন বলে অভিযোগ ৷

বুধবার 21 ফেব্রুয়ারি ছিল প্রথম বর্ষের প্রথম সেমেস্টারের দ্বিতীয় পরীক্ষা ছিল ৷ সেদিনও একই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রী ৷ অভিযোগে ছাত্রী জানিয়েছেন, প্রায় দেড়ঘণ্টা পরীক্ষা দেওয়ার পর হলের গার্ড তাঁকে জানান, অধ্যাপক তাঁকে ডাকছেন ৷ এরপর গার্ডের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক পরীক্ষার মাঝখান থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে অভিযুক্ত অধ্যাপকের ঘরে নিয়ে যান ৷ ওই ছাত্রীর অভিযোগ, গার্ডের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক নিজে বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন ৷ রেজিস্ট্রারকে লেখা অভিযোগে ছাত্রী জানিয়েছেন, অধ্যাপক তাঁকে শারীরিক নির্যাতন করেছেন ৷

যদিও ছাত্রীর অভিযোগ মিথ্যা বলে জানিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন জুটা ৷ তাদের মতে, টুকলি করতে গিয়ে ধরা পড়ে ওই ছাত্রী ৷ এমনকি যে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি বলেন, "বুধবার, 21 ফেব্রুয়ারি পরীক্ষার দায়িত্বেই ছিলাম না ৷ তবে জানি, একজন ছাত্রীর হাতে লেখা ছিল ৷ ইনভিজিলেটররা ধরেন এবং তাঁকে উপরে নিয়ে আসেন ৷ আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম ৷ ছিলেন প্রিসাইডিং অফিসার তথা বিভাগীয় প্রধান ও আরও একজন অধ্যাপক ৷ বিভাগীয় প্রধানই যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেন ৷ গোটা বিষয়টার সঙ্গে আমি কোনওভাবেই যুক্ত নই ৷ তিনজনের সামনেই ঘটনাটি ঘটেছে ৷ টোকাটুকি করার অধিকার পাওয়ার জন্য যদি এই ধরনের কাদা ছোড়াছুড়ি করা হয়, তাহলে পরীক্ষা ব্যবস্থা তুলে দিলেই হয় ৷"

আরও পড়ুন:

  1. অতিরিক্ত নম্বরের টোপ দিয়ে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি যাদবপুরে! গুরুতর অভিযোগ অধ্যাপকের বিরুদ্ধে
  2. যাদবপুরে রাম মন্দির উদ্বোধনের বিশেষ স্ক্রিনিংয়ের আয়োজন পড়ুয়াদের একাংশের, বিরোধীতা করে চিঠি জুটার

কলকাতা, 23 ফেব্রুয়ারি: বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ৷ সূত্রের খবর, সেই বিতর্কের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগের প্রথম বর্ষের পরীক্ষা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ ৷ জানা গিয়েছে, শ্লীলতাহানির অভিযোগকারী ছাত্রী ওই বিভাগেরই পড়ুয়া ৷ কিন্তু, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ ৷ তারা পরীক্ষা বন্ধ রাখার কারণ নিয়ে কোনও কথা বলতে চায়নি ৷ যদিও সূত্রের খবর, শ্লীলতাহানির অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষ ৷ তাই ওই বিভাগের পরীক্ষা এই মুহূর্তে বন্ধ রাখা হয়েছে ৷

ঘটনার সূত্রপাত 19 ফেব্রুয়ারি, সে দিন ছিল প্রথম বর্ষের প্রথম পরীক্ষা ৷ ছাত্রীর অভিযোগ, আচমকাই পরীক্ষার হলে ওই অধ্যাপক সবার সামনে তাঁর নাম ধরে ডাকেন ৷ তাঁকে তল্লাশির প্রয়োজন বলে জানান তিনি ৷ মেয়েটির অভিযোগ, অধ্যাপক বলেছিলেন তিনি চিরকুটে পরীক্ষার উত্তর লিখে এনেছেন ৷ যদি, তল্লাশি করতে না দেওয়া হয় তাহলে পরীক্ষা বাতিল করা হবে ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে করা অভিযোগে ছাত্রী জানিয়েছেন, পরীক্ষার হলে তাঁর বহু পুরুষ সহপাঠীর ছিল ৷ তাঁদের সামনেই তাঁর তল্লাশির কথা বলেন অভিযুক্ত অধ্যাপক ৷ এমনকি সকলের সামনেই অধ্যাপক তাঁর শরীরের তল্লাশি নেন বলে অভিযোগ ৷

বুধবার 21 ফেব্রুয়ারি ছিল প্রথম বর্ষের প্রথম সেমেস্টারের দ্বিতীয় পরীক্ষা ছিল ৷ সেদিনও একই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রী ৷ অভিযোগে ছাত্রী জানিয়েছেন, প্রায় দেড়ঘণ্টা পরীক্ষা দেওয়ার পর হলের গার্ড তাঁকে জানান, অধ্যাপক তাঁকে ডাকছেন ৷ এরপর গার্ডের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক পরীক্ষার মাঝখান থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে অভিযুক্ত অধ্যাপকের ঘরে নিয়ে যান ৷ ওই ছাত্রীর অভিযোগ, গার্ডের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক নিজে বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন ৷ রেজিস্ট্রারকে লেখা অভিযোগে ছাত্রী জানিয়েছেন, অধ্যাপক তাঁকে শারীরিক নির্যাতন করেছেন ৷

যদিও ছাত্রীর অভিযোগ মিথ্যা বলে জানিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন জুটা ৷ তাদের মতে, টুকলি করতে গিয়ে ধরা পড়ে ওই ছাত্রী ৷ এমনকি যে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি বলেন, "বুধবার, 21 ফেব্রুয়ারি পরীক্ষার দায়িত্বেই ছিলাম না ৷ তবে জানি, একজন ছাত্রীর হাতে লেখা ছিল ৷ ইনভিজিলেটররা ধরেন এবং তাঁকে উপরে নিয়ে আসেন ৷ আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম ৷ ছিলেন প্রিসাইডিং অফিসার তথা বিভাগীয় প্রধান ও আরও একজন অধ্যাপক ৷ বিভাগীয় প্রধানই যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেন ৷ গোটা বিষয়টার সঙ্গে আমি কোনওভাবেই যুক্ত নই ৷ তিনজনের সামনেই ঘটনাটি ঘটেছে ৷ টোকাটুকি করার অধিকার পাওয়ার জন্য যদি এই ধরনের কাদা ছোড়াছুড়ি করা হয়, তাহলে পরীক্ষা ব্যবস্থা তুলে দিলেই হয় ৷"

আরও পড়ুন:

  1. অতিরিক্ত নম্বরের টোপ দিয়ে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি যাদবপুরে! গুরুতর অভিযোগ অধ্যাপকের বিরুদ্ধে
  2. যাদবপুরে রাম মন্দির উদ্বোধনের বিশেষ স্ক্রিনিংয়ের আয়োজন পড়ুয়াদের একাংশের, বিরোধীতা করে চিঠি জুটার
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.