রায়পুর\বিজাপুর, 8 জানুয়ারি: ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে সোমবার মাওবাদী বিস্ফোরণে 8 জওয়ান শহিদ হয়েছেন । এই আট জওয়ানের মধ্যে শহিদ পাঁচজন প্রাক্তন মাওবাদী ছিলেন ৷ অর্থাৎ তাঁরা নকশাল বা মাওবাদী কার্যকলাপে যুক্ত ছিলেন ৷ পরে মতাদর্শ ছেড়ে আত্মসমর্পণ করে নিরাপত্তা বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন ৷
বস্তারের আইজি সুন্দররাজ পি বলেন, "শহিদ হেড কনস্টেবল বুধরাম কোরসা, কনস্টেবল দুম্মা মারকাম, পান্ড্রু রাম ও বামন সোধি সকলেই ছিলেন জেলা রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) জওয়ান । কনস্টেবল সোমদু ভেট্টিও আগে একজন সক্রিয় মাওবাদী ছিলেন এবং আত্মসমর্পণের পরে পুলিশে যোগদান করেছিলেন তিনি । বুধরাম কোরসা ও বামন সোধি বিজাপুর জেলার স্থানীয় বাসিন্দা ৷ বাকি তিনজন পাশের দান্তেওয়াড়া জেলার বাসিন্দা ছিলেন ।"
বস্তারের আইজি সুন্দররাজ পি জানান, 2024 সালে বস্তার অঞ্চলে 792 জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছিল । ওই আত্মসমর্পণ করা মাওবাদী ও স্থানীয় যুবকদের মধ্য থেকে ডিআরজি কর্মীদের বস্তার বিভাগের জন্য নিয়োগ করা হয় । যার মধ্যে ছিলেন বিস্ফোরণে শহিদ 5 জওয়ান ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,গত চার দশক ধরে মাওবাদীদের দমনে ও তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বস্তারের সাতটি জেলায় বিভিন্ন সময়ে ডিআরজি গঠন করা হয়েছিল । এটি প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় 2008 সালে কাঙ্কের (উত্তর বস্তার) এবং নারায়ণপুর (আবুজহমাদ সহ) জেলায় । পাঁচ বছরের ব্যবধানে 2013 সালে বিজাপুর এবং বস্তার জেলায় বাহিনী গঠন করা হয় ।
পরবর্তীকালে, 2014 সালে সুকমা এবং কোন্ডাগাঁও জেলায় বাহিনী সম্প্রসারিত হয়েছিল ৷ পাশাপাশি 2015 সালে দান্তেওয়াড়াতে নিরাপত্তা বাহিনী গঠিত হয়েছিল । রাজ্য পুলিশের 'বস্তার ফাইটারস' ইউনিট 2022 সালে গঠিত হয়েছিল ৷ যেখানে স্থানীয় বস্তার যুবকদের নিয়োগ করা হয়েছিল ৷ স্থানীয় সংস্কৃতি, ভাষা, ভূখণ্ডের সঙ্গে পরিচিত এমন যুবকদের নেওয়া হয় 'বস্তার ফাইটারস'এ ।