চন্দননগর, 23 জুলাই: চন্দননগর উর্দি বাজারে হকার উচ্ছেদ অভিযান । ভেঙে সরিয়ে দেওয়া হল তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় । কয়েকদিন আগে চন্দননগর পুরনিগমের থেকে নোটিশ করা হয়েছিল উর্দি বাজারের ব্যবসায়ীদের । রবিবার ছিল তার শেষ দিন । এরপরেই সোমবার পুলিশ ও কর্পোরেশনের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে ভাঙা হল অনেক দোকানও ।
চন্দননগর পৌরনিগমের 11 নম্বর ওয়ার্ডের উর্দি বাজার হল লক্ষ্মীগঞ্জ বাজার থেকে চন্দননগর স্ট্যান্ড রোড যাওয়ার রাস্তা । বাজারের রাস্তার দুই পাশে ফুটপাথ দখল করে চলছিল ব্যবসা । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফুটপাথ দখল মুক্ত করার নির্দেশ দেওয়ার পর নড়েচড়ে বসে চন্দননগর কর্পোরেশন ৷ জবর দখল হঠাতে বৈঠক হয় । কোথায় কোথায় ফুটপাথ দখল হয়ে আছে তার সমীক্ষা হয় । এরপরেই আজ দোকান ভাঙা হল ৷
এ বিষয়ে 11 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ও দু'নম্বর বোরোর চেয়ারম্যান মহম্মদ সামাদ আলি বলেন, "দিদির নির্দেশ পাওয়ার পর আমরা ফুটপাত দখল মুক্ত করতে নেমেছি । আমাদের একটি দলীয় কার্যালয় ছিল সেটাকেও আমরা ভেঙে সরিয়ে দিয়েছি । অনেক দোকানের সামনের দিকটা ফুটপাতের উপর চলে এসেছিল এগুলিকেও মূলত সরানো হয়েছে ।" স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ফুটপাত দখল করে থাকা বড় দোকানগুলিকে এ দিন সরানো হয়নি । সিআইটিইউ-এর পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের দাবি জানানো হয়েছে ।
সিআইটিইউ হুগলি জেলা ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য তথা চন্দননগর হকার ইউনিয়নের সহ-সভাপতি গোপাল শুক্লা বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করার পর থেকেই এই কাজ শুরু হয়েছে । আমাদের দেশের আইন আছে ৷ স্ট্রিট ভেন্ডার এক্ট 2014 বলে পুনর্বাসন ছাড়া কোন উচ্ছেদ হবে না । দশকের পর দশক ধরে তারা রাস্তার উপরে ব্যবসা করছে । এখান থেকে তাদের রুজি রুটি চলে সংসার চলে । আমরা দাবি করছি, এদের পুনর্বাসন দেওয়া হোক । ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক । আজকে তৃণমূল মুখ লুকানোর জন্য বলছেন যে তাদের দলীয় কার্যালয় তুলে নিয়েছেন ৷ কিন্তু গরীব মানুষগুলির কথা বলছেন না ।"