ETV Bharat / state

সীমান্তে মাংস পরিবহণকারীদের থেকে টাকা নিচ্ছেন শান্তনু, সরব মহুয়া; অস্বীকার বনগাঁর সাংসদের - Mahua slams Shantanu

Mahua Slams Shantanu: ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় মাংস পরিবহণকারীদের থেকে টাকা নিচ্ছেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ৷ এই নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র ৷ তবে এই ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে শান্তনু ৷

Mahua Slams Shantanu
মহুয়া মৈত্র-শান্তন ঠাকুর (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 9, 2024, 6:01 PM IST

কলকাতা, 9 জুলাই: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় গোমাংস নিয়ে যাওয়ার জন্য 200 টাকা করে নিচ্ছেন ৷ এমনই অভিযোগ তুলেছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র৷ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে 11টা নাগাদ সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন মহুয়া ৷ সেখানেই তিনি এই অভিযোগ করেছেন ৷

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বক্তব্য (ইটিভি ভারত)

মহুয়ার দাবি, গোমাংস পরিবহণকারীদের থেকে 200 টাকা করে নিচ্ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ৷ এই নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক কি কোনও ব্যবস্থা নেবে, সেই প্রশ্নও সোশাল মিডিয়ায় করা ওই পোস্টে তুলেছেন তৃণমূলের এই সাংসদ ৷

সোমবার সন্ধ্য়ায় এই নিয়ে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক নীলাঞ্জন দাস৷ সেই ভিডিয়ো-তে জিয়ারুল গাজি নামে এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে গোমাংস নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিনিধির মাধ্যমে সাংসদকে 200 টাকা করে দিতে হয় ৷ নিজের পোস্টে নীলাঞ্জন দাবি করেছিলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সীমান্তে পাচারে যুক্ত ৷ তিনি এই নিয়ে তদন্তের দাবিও তুলেছিলেন ৷ নীলাঞ্জনের সেই পোস্টই এ দিন বেলায় রিপোস্ট করেন মহুয়া ৷

আসলে পুরো বিতর্কের সূত্রপাত মহুয়া মৈত্রর সোমবার করা একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে ৷ ওই পোস্টে মহুয়া দাবি করেছিলেন যে গোমাংস পাচারের জন্য শান্তনু ঠাকুর নিজের লেটারহেডে ‘পাস’ দিচ্ছেন ৷ এমন একটি ’পাস’-এর ছবিও পোস্ট করেছিলেন মহুয়া ৷ ওই পোস্টে তিনি বিএসএফ ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে ট্যাগ করেছিলেন ৷

কিন্তু তৃণমূলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন শান্তনু ঠাকুর ৷ প্রথমে সোশাল মিডিয়ায় এই নিয়ে পোস্ট করেন ৷ সেখানে তিনি দাবি করেন, তৃণমূল বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করছে ৷ তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানরাও এই ধরনের ‘পাস’ ইস্যু করেন ৷ পরে এই নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকও করেন শান্তনু ৷

সেখানে তিনি বলেন, ‘‘হাকিমপুর এলাকায় বিএসএফ-এর চেকপোস্ট থাকার কারণে স্থানীয় সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে । স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব তাদের নিজেদের লোকদের সার্টিফিকেট দিচ্ছে । কিন্তু সাধারণ মানুষ বা বিজেপি কর্মীরা সার্টিফিকেট না পাওয়ার কারণে বিএসএফের চেকপোস্ট দিয়ে তাঁদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে বাড়িতে আসতে পারছিলেন না ।’’

শান্তনুর আরও দাবি, ‘‘আমি তাদেরকে সার্টিফিকেট দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি । এই সার্টিফিকেটের মাধ্যমে বাড়ির প্রয়োজনীয় সামগ্রী তাঁরা নিয়ে যান ৷ এটা পাচারের জন্য সার্টিফিকেট দেওয়া নয় । আমায় নামে ভুল প্রচার করা হচ্ছে । আমি এই বিষয়ে আইনত ব্যবস্থা নেব ।’’

শান্তনুর সঙ্গেই সাংবাদিক বৈঠকে দেখা গিয়েছিল জিয়ারুল গাজিকে ৷ পরে তিনি নীলাঞ্জন দাসের পোস্ট করা ভিডিয়োতে দাবি করেছেন যে তাঁকে সাংসদের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ৷ সেখানে তাঁকে যা বলতে বলা হয়, তিনি তাই বলেছেন ৷ জিয়ারুলের এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে মহুয়ার দাবি, বিএসএফ যদি বলে যে ‘পাস’ দেওয়া প্রটোকল, তাহলে তারা মিথ্যা কথা বলছে ৷

কলকাতা, 9 জুলাই: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় গোমাংস নিয়ে যাওয়ার জন্য 200 টাকা করে নিচ্ছেন ৷ এমনই অভিযোগ তুলেছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র৷ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে 11টা নাগাদ সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন মহুয়া ৷ সেখানেই তিনি এই অভিযোগ করেছেন ৷

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বক্তব্য (ইটিভি ভারত)

মহুয়ার দাবি, গোমাংস পরিবহণকারীদের থেকে 200 টাকা করে নিচ্ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ৷ এই নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক কি কোনও ব্যবস্থা নেবে, সেই প্রশ্নও সোশাল মিডিয়ায় করা ওই পোস্টে তুলেছেন তৃণমূলের এই সাংসদ ৷

সোমবার সন্ধ্য়ায় এই নিয়ে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক নীলাঞ্জন দাস৷ সেই ভিডিয়ো-তে জিয়ারুল গাজি নামে এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে গোমাংস নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিনিধির মাধ্যমে সাংসদকে 200 টাকা করে দিতে হয় ৷ নিজের পোস্টে নীলাঞ্জন দাবি করেছিলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সীমান্তে পাচারে যুক্ত ৷ তিনি এই নিয়ে তদন্তের দাবিও তুলেছিলেন ৷ নীলাঞ্জনের সেই পোস্টই এ দিন বেলায় রিপোস্ট করেন মহুয়া ৷

আসলে পুরো বিতর্কের সূত্রপাত মহুয়া মৈত্রর সোমবার করা একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে ৷ ওই পোস্টে মহুয়া দাবি করেছিলেন যে গোমাংস পাচারের জন্য শান্তনু ঠাকুর নিজের লেটারহেডে ‘পাস’ দিচ্ছেন ৷ এমন একটি ’পাস’-এর ছবিও পোস্ট করেছিলেন মহুয়া ৷ ওই পোস্টে তিনি বিএসএফ ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে ট্যাগ করেছিলেন ৷

কিন্তু তৃণমূলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন শান্তনু ঠাকুর ৷ প্রথমে সোশাল মিডিয়ায় এই নিয়ে পোস্ট করেন ৷ সেখানে তিনি দাবি করেন, তৃণমূল বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করছে ৷ তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানরাও এই ধরনের ‘পাস’ ইস্যু করেন ৷ পরে এই নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকও করেন শান্তনু ৷

সেখানে তিনি বলেন, ‘‘হাকিমপুর এলাকায় বিএসএফ-এর চেকপোস্ট থাকার কারণে স্থানীয় সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে । স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব তাদের নিজেদের লোকদের সার্টিফিকেট দিচ্ছে । কিন্তু সাধারণ মানুষ বা বিজেপি কর্মীরা সার্টিফিকেট না পাওয়ার কারণে বিএসএফের চেকপোস্ট দিয়ে তাঁদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে বাড়িতে আসতে পারছিলেন না ।’’

শান্তনুর আরও দাবি, ‘‘আমি তাদেরকে সার্টিফিকেট দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি । এই সার্টিফিকেটের মাধ্যমে বাড়ির প্রয়োজনীয় সামগ্রী তাঁরা নিয়ে যান ৷ এটা পাচারের জন্য সার্টিফিকেট দেওয়া নয় । আমায় নামে ভুল প্রচার করা হচ্ছে । আমি এই বিষয়ে আইনত ব্যবস্থা নেব ।’’

শান্তনুর সঙ্গেই সাংবাদিক বৈঠকে দেখা গিয়েছিল জিয়ারুল গাজিকে ৷ পরে তিনি নীলাঞ্জন দাসের পোস্ট করা ভিডিয়োতে দাবি করেছেন যে তাঁকে সাংসদের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ৷ সেখানে তাঁকে যা বলতে বলা হয়, তিনি তাই বলেছেন ৷ জিয়ারুলের এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে মহুয়ার দাবি, বিএসএফ যদি বলে যে ‘পাস’ দেওয়া প্রটোকল, তাহলে তারা মিথ্যা কথা বলছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.