ETV Bharat / state

সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স দখল করে ভাড়া খাটাচ্ছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য, অভিযোগ প্রধানের - TMC Member Occupied Ambulance

TMC Member Occupied Panchayat Ambulance in Ghatal: মনসুকা-1 গ্রাম পঞ্চায়েতের অ্যাম্বুল্যান্স জবরদখল করে ভাড়া খাটানোর অভিযোগ তৃণমূল সদস্যের বিরুদ্ধে ৷ অভিযোগ 5 বছর আগে লিজ শেষ হয়ে গেলেও অ্যাম্বুল্যান্স ফেরত দেননি তৃণমূলের ওই সদস্য ৷ এখনও বেআইনিভাবে ভাড়া খাটাচ্ছেন ওই অ্যাম্বুল্যান্সটি ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 13, 2024, 5:24 PM IST

TMC Member Occupied Panchayat Ambulance in Ghatal
পঞ্চায়েতের অ্যাম্বুল্যান্স দখল করে ভাড়া খাটানোর অভিযোগ তৃণমূল সদস্যের বিরুদ্ধে ৷ (নিজস্ব চিত্র)

ঘাটাল, 13 সেপ্টেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের মনসুকা-1 গ্রাম পঞ্চায়েতকে একটি অ্যাম্বুল্যান্স দিয়েছিলেন তৎকালীন বিধায়ক শংকর দোলই ৷ অভিযোগ, সেই অ্যাম্বুল্যান্সটি প্রায় 5 বছর ধরে নিজের কাছে আটকে রেখেছেন পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য রাম পাল ৷ নিজে অ্যাম্বুল্যান্সটি ভাড়ায় খাটিয়ে টাকা রোজগার করছেন ৷ কিন্তু, সেই টাকার কোনও ভাগ পঞ্চায়েতে জমা পড়ছে না বলে অভিযোগ ৷ রাম পালকে অ্যাম্বুল্যান্স ফেরাতে বলে চিঠিও দেন পঞ্চায়েত প্রধান মিলন পাত্র ৷ কিন্তু, তিনি অ্যাম্বুল্যান্স ফেরাবেন না বলে জানিয়েছেন ৷ ফলে তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার পরিকল্পনা করছেন মনসুকা-1 গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ৷

পঞ্চায়েতের অ্যাম্বুল্যান্স দখল করে ভাড়া খাটানোর অভিযোগ তৃণমূল সদস্যের বিরুদ্ধে ৷ (ইটিভি ভারত)

ঘাটালের মনসুকা-1 গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্তমান প্রধান মিলন পাত্র জানান, 2018 সালে পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে অ্যাম্বুল্যান্সটি 2020 সাল পর্যন্ত মাসিক মাত্র 1 হাজার বিনিময়ে লিজে নিয়েছিলেন রাম পাল ৷ প্রথম বছর প্রত্যেক মাসে এক হাজার টাকা পঞ্চায়েতকে দিলেও, পরবর্তী সময়ে আরও কোনও টাকা জমা পড়েনি ৷ এমনকি 2020 সালে সেই লিজের চুক্তি শেষ হয়ে যায় ৷ তার পরেও সরকারি সম্পত্তিকে জবরদখল করে রেখেছেন অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ৷ মাসখানেক আগে রাম পালকে অ্যাম্বুল্যান্স ফেরাতে বলে চিঠিও দেওয়া হয় ৷ কিন্তু, তিনি জানিয়ে দেন, অ্যাম্বুল্যান্স তিনি ফেরাবেন না ৷

উল্লেখ্য, এই অ্যাম্বুল্যান্সটি শংকর দোলইয়ের বিধায়ক তহবিলের টাকায় কেনা হয়েছিল ৷ অ্যাম্বুল্যান্সের গায়ে বড় বড় অক্ষরে তা লেখাও ছিল ৷ কিন্তু, বর্তমানে বিধায়কের নাম এবং তাঁর বিধায়ক তহবিলের টাকায় কেনা অ্যাম্বুল্যান্সের গায়ে লেখা রয়েছে 'বালাজী' ৷ আর সেটি বর্তমানে দাঁড়িয়ে রয়েছে ঘাটাল হাসপাতাল মোড়ে ৷ প্রশ্ন 20 লাখ টাকার অ্যাম্বুল্যান্স, মাত্র 1 হাজার টাকা মাসিক লিজে কীভাবে পেয়েছিলেন রাম পাল ? তবে, কি প্রভাব খাটিয়েছিলেন তিনি ?

রাম পালের দাবি, তিনি যখন অ্যাম্বুল্যান্সটি নিয়েছিলেন, তখন লিখিত চুক্তি বিষয়ে তাঁকে জানানো হয়নি ৷ মৌখিক চুক্তিতে সব হয়েছিল ৷ আর কত টাকায় চুক্তি হয়েছিল, তা তিনি বলতে রাজি হননি ৷ তবে তাঁর দাবি, অ্যাম্বুল্যান্সটি ঝড়-জলে পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল ৷ সেটাকে মেরামত করে তিনি কাজে লাগান ৷ তাই সেই সময় যে খরচ হয়েছিল, তা এখনও ওঠেনি ৷ সেই খরচের টাকা উঠলেই তিনি পঞ্চায়েতকে অ্যাম্বুল্যান্স ফেরাবেন ৷ আর তা না-হলে পঞ্চায়েতকে সেই টাকা মেটাতে হবে ? কিন্তু, চুক্তি অনুযায়ী, গাড়ির দেখাশোনা এবং মেরামতির খরচ রাম পালের ৷ বাকি গাড়ির কাগজপত্র সংক্রান্ত খরচ বা ফাইন হলে, তার খরচ সরকার দেবে ৷

অভিযোগ উঠেছে, সেই চুক্তি অস্বীকার করছেন পঞ্চায়েত সদস্য রাম পাল ৷ তিনি দাবি করেছেন, অ্যাম্বুল্যান্স মেরামতির খরচের দায়িত্ব তাঁর নয় ৷ কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, 2020 সালের 1 জানুয়ারি লিজ শেষ হয়ে গেলেও, কীভাবে তিনি অ্যাম্বুল্যান্স আটকে রেখে ভাড়া খাটাচ্ছেন ? তাও আবার পঞ্চায়েতকে কোনও টাকা না-দিয়ে ! অভিযোগ উঠেছে, শাসক শিবিরের পঞ্চায়েত সদস্য় হওয়াতেই এত দাপট রাম পালের ৷ এখন দেখার পঞ্চায়েত প্রধানের অভিযোগ পেলে, পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয় কি না !

ঘাটাল, 13 সেপ্টেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের মনসুকা-1 গ্রাম পঞ্চায়েতকে একটি অ্যাম্বুল্যান্স দিয়েছিলেন তৎকালীন বিধায়ক শংকর দোলই ৷ অভিযোগ, সেই অ্যাম্বুল্যান্সটি প্রায় 5 বছর ধরে নিজের কাছে আটকে রেখেছেন পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য রাম পাল ৷ নিজে অ্যাম্বুল্যান্সটি ভাড়ায় খাটিয়ে টাকা রোজগার করছেন ৷ কিন্তু, সেই টাকার কোনও ভাগ পঞ্চায়েতে জমা পড়ছে না বলে অভিযোগ ৷ রাম পালকে অ্যাম্বুল্যান্স ফেরাতে বলে চিঠিও দেন পঞ্চায়েত প্রধান মিলন পাত্র ৷ কিন্তু, তিনি অ্যাম্বুল্যান্স ফেরাবেন না বলে জানিয়েছেন ৷ ফলে তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার পরিকল্পনা করছেন মনসুকা-1 গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ৷

পঞ্চায়েতের অ্যাম্বুল্যান্স দখল করে ভাড়া খাটানোর অভিযোগ তৃণমূল সদস্যের বিরুদ্ধে ৷ (ইটিভি ভারত)

ঘাটালের মনসুকা-1 গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্তমান প্রধান মিলন পাত্র জানান, 2018 সালে পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে অ্যাম্বুল্যান্সটি 2020 সাল পর্যন্ত মাসিক মাত্র 1 হাজার বিনিময়ে লিজে নিয়েছিলেন রাম পাল ৷ প্রথম বছর প্রত্যেক মাসে এক হাজার টাকা পঞ্চায়েতকে দিলেও, পরবর্তী সময়ে আরও কোনও টাকা জমা পড়েনি ৷ এমনকি 2020 সালে সেই লিজের চুক্তি শেষ হয়ে যায় ৷ তার পরেও সরকারি সম্পত্তিকে জবরদখল করে রেখেছেন অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ৷ মাসখানেক আগে রাম পালকে অ্যাম্বুল্যান্স ফেরাতে বলে চিঠিও দেওয়া হয় ৷ কিন্তু, তিনি জানিয়ে দেন, অ্যাম্বুল্যান্স তিনি ফেরাবেন না ৷

উল্লেখ্য, এই অ্যাম্বুল্যান্সটি শংকর দোলইয়ের বিধায়ক তহবিলের টাকায় কেনা হয়েছিল ৷ অ্যাম্বুল্যান্সের গায়ে বড় বড় অক্ষরে তা লেখাও ছিল ৷ কিন্তু, বর্তমানে বিধায়কের নাম এবং তাঁর বিধায়ক তহবিলের টাকায় কেনা অ্যাম্বুল্যান্সের গায়ে লেখা রয়েছে 'বালাজী' ৷ আর সেটি বর্তমানে দাঁড়িয়ে রয়েছে ঘাটাল হাসপাতাল মোড়ে ৷ প্রশ্ন 20 লাখ টাকার অ্যাম্বুল্যান্স, মাত্র 1 হাজার টাকা মাসিক লিজে কীভাবে পেয়েছিলেন রাম পাল ? তবে, কি প্রভাব খাটিয়েছিলেন তিনি ?

রাম পালের দাবি, তিনি যখন অ্যাম্বুল্যান্সটি নিয়েছিলেন, তখন লিখিত চুক্তি বিষয়ে তাঁকে জানানো হয়নি ৷ মৌখিক চুক্তিতে সব হয়েছিল ৷ আর কত টাকায় চুক্তি হয়েছিল, তা তিনি বলতে রাজি হননি ৷ তবে তাঁর দাবি, অ্যাম্বুল্যান্সটি ঝড়-জলে পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল ৷ সেটাকে মেরামত করে তিনি কাজে লাগান ৷ তাই সেই সময় যে খরচ হয়েছিল, তা এখনও ওঠেনি ৷ সেই খরচের টাকা উঠলেই তিনি পঞ্চায়েতকে অ্যাম্বুল্যান্স ফেরাবেন ৷ আর তা না-হলে পঞ্চায়েতকে সেই টাকা মেটাতে হবে ? কিন্তু, চুক্তি অনুযায়ী, গাড়ির দেখাশোনা এবং মেরামতির খরচ রাম পালের ৷ বাকি গাড়ির কাগজপত্র সংক্রান্ত খরচ বা ফাইন হলে, তার খরচ সরকার দেবে ৷

অভিযোগ উঠেছে, সেই চুক্তি অস্বীকার করছেন পঞ্চায়েত সদস্য রাম পাল ৷ তিনি দাবি করেছেন, অ্যাম্বুল্যান্স মেরামতির খরচের দায়িত্ব তাঁর নয় ৷ কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, 2020 সালের 1 জানুয়ারি লিজ শেষ হয়ে গেলেও, কীভাবে তিনি অ্যাম্বুল্যান্স আটকে রেখে ভাড়া খাটাচ্ছেন ? তাও আবার পঞ্চায়েতকে কোনও টাকা না-দিয়ে ! অভিযোগ উঠেছে, শাসক শিবিরের পঞ্চায়েত সদস্য় হওয়াতেই এত দাপট রাম পালের ৷ এখন দেখার পঞ্চায়েত প্রধানের অভিযোগ পেলে, পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয় কি না !

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.