জলপাইগুড়ি, 29 জানুয়ারি: তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বদল । সভাপতি পদ যেতেই সোমবার তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়লেন আইএনটিটিইউসির প্রাক্তন জেলা সভাপতি রাজেশ লাকড়া। এই বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, "তৃণমূলের যখন আদিবাসী নেতার দরকার নেই তখন আদিবাসীদেরও তৃণমূলের দরকার নেই । আমি তৃণমূল ছেড়ে দিলাম । তৃণমূলের সঙ্গে আজ থেকে কোনও সম্পর্ক নেই আমার । আমি আদিবাসীদের দাবিদাওয়া নিয়ে ভারতীয় মূল আদিবাসী বিকাশ পরিষদের ছাতার তলায় এসে লাগাতার আন্দোলন শুরু করব ।"
রাজেশ আরও বলেন, "আমাকে 2021 সালের নির্বাচনে তৃণমূল টিকিট দিয়েছিল। তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ । আমি কোনও পদের জন্য তৃণমূল করতে আসিনি । আজকে আমাকে রাজ্যের সাধারণ সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়েছে । আমি তাই দল ছাড়লাম । 2022 সাল থেকে জলপাইগুড়ি জেলা শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি পদে বসানো হয় । আমরা চাই জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং জেলার আদিবাসীদের জন্য সংবিধান অনুযায়ী পঞ্চম তফশিলির সুবিধা দিক সরকার । আজ সরকার আদিবাসীদের জমির পাট্টা দিচ্ছে এটা ভোটের গিমিক মাত্র । আদিবাসীদের দাবিদাওয়া নিয়ে যে দল তাদের ভোটের ইস্তাহারে লিখবে আমরা সেই দলকে লোকসভা ভোটে সমর্থন করব। ভোট দেব । আগামিদিনে আমি সাংবিধানিক অধিকারের জন্য রাজ্যপালের দ্বারস্থ হব ৷ 2020 সালে মুখ্যমন্ত্রী আমাদের দাবিদাওয়া পূরণ করবেন বলে আমি তৃণমূল কংগ্রেসে এসেছিলাম । কিন্তু তিনি আজ জেলায় এলেও আদিবাসীদের অধিকার নিয়ে কোনও কথা বললেন না। তাই দল ছাড়লাম ।"
জলপাইগুড়ি জেলা আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি হলেন তপন দে । দীর্ঘদিন থেকেই জেলায় শ্রমিক নেতা নামেই পরিচিত তপন । উত্তরবঙ্গ থেকে বেশ কয়েকজনকে রাজ্য কমিটিতে রাখা হয়েছে । আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলার গঙ্গা প্রসাদ শর্মা, মান্নালাল জৈন ও নকুল সোনারকে রাজ্য সহ সভাপতি করা হয়েছে । পাশাপাশি, রাজেশ লাকড়াকে জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে । এছাড়া রবীন রাই, বীরেন্দ্র বারাকে আইএনটিটিইউসির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে ।
অন্যদিকে, আলিপুরদুয়ার জেলার আইএনটিটিইউসির সভাপতি করা হয়েছে বিনোদ মিঞ্জকে । দল তাঁর উপরেই আস্থা রেখেছে । দ্বিতীয়বারের জন্য বিনোদ মিঞ্জকে আলিপুরদুয়ারের শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি করা হয়েছে । জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি মহুয়া গোপের কথায়, "রাজেশকে সরিয়ে তপনকে দায়িত্ব দেওয়া হল । তিনি ভালো কাজ করবেন আশা রাখি । উনি দলের পুরনো কর্মী । তবে রাজেশ যদি তৃণমূল ছেড়ে দেন তাতে দলের কোনও ক্ষতি হবে না। রাজেশকে দল প্রার্থী করেছিল। সেটার প্রতি ওর কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। তিনি যদি বলে থাকেন তৃণমূল কংগ্রেসে থাকবেন না এই কথাটা তাঁর ফিরিয়ে নেওয়া উচিত ।"
আরও পড়ুন :