কলকাতা, 5 সেপ্টেম্বর: পুলিশ যদি টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে থাকে, সেই অভিযোগ তদন্তকারী এজেন্সি সিবিআইকে কি জানানো হয়নি ? প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের প্রাক্তন মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ৷ বুধবার রাত দখলের রাতে আরজি কর হাসপাতালে নিহত পড়ুয়া-চিকিৎসকের বাবা অভিযোগ করেছেন, ডিসি নর্থ তাঁদের টাকা দিতে চেয়েছিলেন ৷ আর ডিসি সেন্ট্রাল মিডিয়ার সামনে আগাগোড়া মিথ্যা বলে চলেছেন ৷
আরজি করে নির্যাতিতা পড়ুয়া চিকিৎসকের মৃত্যুতে গতকাল সাংবাদিকদের সামনে এই দাবি করেছেন নিহতের বাবা-মা ৷ এই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে প্রশ্ন করলেন, "টাকা ? অভিযোগ মারাত্মক ।"
টাকা?
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) September 5, 2024
অভিযোগ মারাত্মক।
টাকা কিংবা টাকা নয়, দুরকম ভিডিওই প্রকাশ্যে।
কৌতূহল, টাকার অভিযোগটা সিবিআইকে দেওয়া বয়ানে ছিল কি না। না থাকলে, কেন এত বড় অংশটা সিবিআইকে বলা হয়নি? আর যদি বলা হয়ে থাকে, তাহলে সিবিআই এতদিনে সংশ্লিষ্ট অফিসারকে জিজ্ঞাসা করল না কেন?
9 অগস্ট সকাল আনুমানিক 10টার সময় আরজি কর হাসপাতালের চার তলায় সেমিনার হল থেকে পড়ুয়া-চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয় ৷ তিনি কলেজের স্নাতকোত্তর স্তরের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন ৷ জানা যায়, তাঁকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে ৷
রাত দখলে 4 সেপ্টেম্বর আরজি কর হাসপাতালে নির্যাতিতার বাবা-মা বলেছেন, "আমার মেয়ের দেহ সেখানে শোয়ানো, ডিসি নর্থ আমাদের টাকা দিতে চায় ৷" প্রথম দিকে এই ঘটনার তদন্ত করছিল কলকাতা পুলিশ ৷ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে 16 অগস্ট থেকে সিবিআই এর তদন্ত শুরু করে ৷ সেদিন থেকে 5 সেপ্টেম্বরের আগে পর্যন্ত পুলিশের টাকা দেওয়ার প্রস্তাবের বিষয়টি সামনে আসেনি ৷
গতকালের অভিযোগের পর তৃণমূল কংগ্রেস বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠকে আরেকটি ভিডিয়ো দেখায় ৷ সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের দুই মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও শশী পাঁজা ৷
ভিডিয়োতে নির্যাতিতার বাবা-মাকে প্রশ্ন করা হয়, "বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করা হচ্ছে, পুলিশ নাকি আপনাদের টাকা দিতে চেয়েছে ?" এর উত্তরে বাবা-মা বলেন, "এই অভিযোগ মিথ্যা ৷ পুলিশ আমাদের টাকা দিতে চেয়েছে, এই মিথ্যা প্রচার ৷ আমরা মেয়ের বিচার চাই ৷" এদিকে নির্যাতিতার বাবা-মা এর ঠিক উলটো বয়ান দিলেন 4 সেপ্টেম্বর ৷
এ নিয়েও প্রশ্ন করে কুণাল ঘোষ লেখেন, "টাকা কিংবা টাকা নয়, দু'রকম ভিডিওই প্রকাশ্যে ৷ কৌতূহল, টাকার অভিযোগটা সিবিআইকে দেওয়া বয়ানে ছিল কি না ৷ না থাকলে, কেন এত বড় অংশটা সিবিআইকে বলা হয়নি ? আর যদি বলা হয়ে থাকে, তাহলে সিবিআই এতদিনে সংশ্লিষ্ট অফিসারকে জিজ্ঞাসা করল না কেন ?"
এদিকে নির্যাতিতার বাবা-মা একটি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ওই ভিডিয়োটি তাঁদের দিয়ে জোর করে করানো হয়েছিল ৷ পুলিশ তাঁদের প্রবল চাপের মধ্যে রেখেছিল বলেও অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা ৷