কলকাতা, 31 ডিসেম্বর: বর্ষশেষের লগ্নে বাংলা ফুটবলে সন্তোষের সাফল্য ৷ হায়দরাবাদে কেরলকে 1-0 গোলে হারিয়ে ফের ভারতসেরা বাংলা ৷ গতবছর মূলপর্বের যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ বাংলা দলের কাছে এই জয় অনেককিছু জবাব দেওয়ার ৷ ম্য়াচের সংযুক্তি সময় গোল করে বাংলাকে জয় এনে দিলেন রবি হাঁসদা ৷ টুর্নামেন্টে 12 গোল করে সন্তোষের একটি সংস্করণে সর্বাধিক গোলদাতা হলেন সঞ্জয় সেনের দলের নাম্বার নাইন ৷ প্রয়াত মহম্মদ হাবিবের শহরেই তাঁকে ছাপিয়ে গেলেন রবি ৷
স্বাভাবিকভাবেই রবি-নরহরিদের এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বাংলার ফুটবল মহল ৷ ইস্টবেঙ্গল কর্তা শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার যেমন জানালেন, সঞ্জয় সেনই জয়ের কারিগর ৷ তাঁর কথায়, "বাংলা চ্যাম্পিয়ন হল কিন্তু মনে হচ্ছে যেন ইস্টবেঙ্গলই চ্য়াম্পিয়ন হল ৷ ইস্টবেঙ্গল যেমন হৃদয়ে তেমন বাংলাও আমাদের হৃদয়ে ৷ দীর্ঘদিন ধরে স্কাউটিং করেছে ৷ খুব পরিকল্পনামাফিক দলটা করেছে বাংলা ৷ প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি-সহ বাংলার পুরো গভর্নিং বডিকে আমি ধন্যবাদ জানাই ৷"
আইএফএ সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আজকে বাংলার জয় ৷ ফুটবলার, কোচ, সাপোর্ট স্টাফ-সহ ভারতবর্ষের সকল মানুষকে অভিনন্দিত করছি ৷" জয়ের কিছুক্ষণ পরেই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে সচিব রূপক সাহাও বাংলা দলকে অভিনন্দন জানান ৷ একইসঙ্গে জানিয়ে দেন খুব শীঘ্রই ইস্টবেঙ্গলের তরফে ক্লাব তাঁবুতে বিজয়ী বাংলা দলকে সংবর্ধিত করা হবে ৷
গতবছর মূলপর্বে ওঠার যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছিল বাংলা ৷ এবছর তাই সঞ্জয় সেনের হাতে দায়িত্ব তুলে দিয়েছিল আইএফএ ৷ করে দেখালেন মোহনবাগানকে আইলিগ দেওয়া কোচ ৷ সেরা হয়ে সঞ্জয় সেন বলছেন, "এই জয় ছেলেদের আত্মত্যাগের ছবি। ট্রফি জয়ের লক্ষ্যে ফুটবলাররা সবকিছু করেছিল।"